তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

চাই প্রাণী সম্পদ ব্যবস্থাপনা আইন

চাই প্রাণী সম্পদ ব্যবস্থাপনা আইন
[ভালুকা ডট কম : ১৬ জুন]
প্রাণী জগত নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে। এর বিপুলত্বের তুলনায় সম্ভবতঃ চলমান গবেষণা-কর্ম ততটা অগ্রসর হয়নি। যা কিছু হয়েছে তা যৎ সামান্য বটে। এক্ষেত্রে ইস্পিত সাফল্য মানবজাতিকেই বেশি উপকৃত করবে বলে আমার ধারণা। একটি ইমারতের প্রতিটি ইট খন্ড যেমন ঐ ইমারতকে দন্ডায়মান রাখার ক্ষেত্রে অপরিহার্য। তেমনি সৃষ্টির প্রতিটি প্রাণীর সাবলিল জীবনযাত্রার বিষয়ই মানবজাতি তথা সৃষ্টি জগতের জন্য গুরুত্বপুর্ণ। যে ভূখন্ডের মানুষ এ বিষয়গুলো যতবেশি গুরুত্ব দিয়ে সে অনুসারে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। সে সকল ভূখন্ডের মানুষ তত বেশি উপকৃত ও সমৃদ্ধ হয়েছে। যা সারা বিশ্বে দৃশ্যমান। এ কারণে প্রকৃতি প্রেমিক পরিবেশবাদী গবেষক বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেকেই তাদের জীবন উৎসর্গ করে কাজ করে থাকেন। এবং তা প্রাণী জগতের কল্যাণের মধ্য দিয়ে পুরো সৃষ্টি জগতের কল্যাণ সাধনের নিমিত্ত।

প্রাণী জগতের একটি অংশের জন্য হলেও বাংলাদেশ সরকার আধুনিক ও যুগান্তকারী একটি পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ আইন ২০১২ পাশ হয়েছে। ধীরগতিতে হলেও কাজ চলছে এ আইন বাস্তবায়নের। তবে পরিতাপের বিষয় হলো এই যে দেশের সাধারণ নাগরিক তো দুরের কথা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনেক দায়িত্বশীল কর্মকর্তাই এখনো এ আইন পরিস্কারভাবে জানেন না। কেননা অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পাখি শিকারীদের নিকট থেকে ওর্ডার দিয়ে পাখি কিনতে আমি দেখেছি। অপরদিকে দেখেছি গলায় দড়ি দিয়ে স্বাধীনতা হরণ করে গৃহে পালনের নামে ভাষাহীন প্রাণীর উপর নির্মম অত্যচারের দৃশ্য। বেশি লাভ করার আশায় গবাদি পশুকে অপেক্ষাকৃত কম খাবার কম পরিচর্যা দিয়ে নির্বোধ পাষন্ডের মত নির্যাতনের কাজটি অধিকাংশ কৃষক-গৃহস্থ বা পশু পালকেরা করে থাকেন। তাদের ধারণা পশু তো পশুই তাদের আবার ভালমত পরিচর্যার প্রয়োজন কী। তাই ঐসকল পশুর প্রতি যে ধরণের আচরণ করা হয় সে আচরণ পাশবিকতার ব্যাখ্যাকে হার মানায়। যে সকল প্রাণী স্বাধীনভাবে প্রকৃতিতে বিচরণ করে থাকে তাদের রক্ষার জন্য যদি আইন প্রনয়ন করা সংগত হয়। তবে যে সকল প্রাণীকে গলায় দড়ি দিয়ে তাদের স্বাধীনতা হরণ করে আমাদের দয়া-দাক্ষিণ্যের উপর নির্ভরশীল করে রেখেছি। খাদ্য পানীয় না দিলে প্রাণপাত হলেও যার নিজের খাদ্য গ্রহনের সুযোগ নেই। এমন গৃহপালিত প্রাণীর প্রতি নির্দয় হলে, তাদের স্বাধীনতা হরণকারী নির্দয় অবিবেচকদের বিরুদ্ধে কী শাস্তির বিধান থাকা জরুরী নয় ? স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করার অধিকার কি শুধুই মানুষের ? ঐ ভূ-খন্ডের স্বাধীন মানুষের গৃহ পালিত অন্যান্য প্রাণীরা কি এর কিছুটা আস্বাদ পেতে পারে না ?

এক্ষেত্রে ধর্মমতের কথা যদি বলি। তাহলে বলতে হয় বিভিন্ন  ধর্মে জীবে প্রেমের কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে গৃহপালিত প্রাণীদের প্রয়োজনীয় খাবার প্রদান, পরিচর্যা, চিকিৎসা, ও স্বাস্থ্য সম্মতবাসস্থানের ব্যবস্থপনাসহ অতি যত্নসহকারে লালন পালনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এরপরও ধর্ম পালন করেন সবাই কিন্তু ধর্মের এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা যথাযথভাবে অনেকেই মানেন না। তথাকথিত নানা প্রকার সংক্রামক রোগ থেকে মুক্ত রাখতে মুর্খ গোয়ালাদের দ্বারা লৌহ শলাকা আগুণে পুড়িয়ে গন-গনে লাল করে গরু-মহিষের পাছায় নির্মমভাবে দাগা (ছ্যাঁকা) দেয়ার প্রচলন এখনো অনেক এলাকায় বিদ্যমান। এতে লোম, চামড়া ও মাংস ভেদ করে পুড়তে পুড়তে জীবন্ত প্রাণী গুলোর শরীরে সেঁধে যায় জলন্ত অঙ্গারময় লৌহ শলাকা। অবর্ণনীয় যন্ত্রনায় গগণভেদি আর্তচিৎকার করেও ঐ বন্দী অসহায় প্রাণীগুলো তাদের মনিবদের হৃদয়ে এতটুকু মমতারও সৃষ্টি করতে পারেনা। অনেকে আবার গরু-মহিষের  নাক ফুটো করে লাগাম লাগায় ; যথেচ্ছ অত্যাচার করলেও যেন বেশি লাফালাফি করতে সে না পারে নাকে টানের কাতরতায়। অথচ বিভিন্ন ধর্ম মতেও পুড়িয়ে দাগা দেয়া বা কষ্ট দিয়ে চিহ্নিত করা, অঙ্গহানি করা কড়াভাবে নিষিদ্ধ। কেউ কেঊ কুকুরকে তথাকথিত হিংস্র বানাতে কৃতজ্ঞতার সংকেত জানানোর জন্য তার সবচেয়ে প্রিয় অঙ্গ লেজটিও কেটে দেয়। কখনো কখনো এদের পুরুষত্ব হ্রাস করে খাসি বানানো হয়।

আমরা দেখেছি ভোগ্যপন্য সামগ্রী পরিবহন করা হয় পরিপাটি করে অতি যত্ন সহকারে। অথচ গবাদিপশু পরিবহনের চিত্র অববর্ণনীয় কষ্ট দায়ক। যেখানে মাত্র ১০টি গরুর স্থান সংকুলান হতে পারে সেখানে ২০-২৫টি করে বোঝাই দিয়ে মাইলের পর মাইল দুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে গরুগুলোর দেহের ভর যেন আর পায়ে সয়না। না পারে শুতে না পারে বসতে। দড়ির কর্ষণ আর ট্রাকের ডালার ঘসায় গায়ের ছাল বাকলা ছিলে রক্ত ঝরে। চরম যন্ত্রনায় চোখ বেয়ে ঝরে অশ্রু আর মুখ দিয়ে ঝরে পড়তে থাকে লালা। গাদাগাদি ঠাসাঠাসি করে শত শত মাইল দুরত্বে এভাবে এই প্রাণীগুলোকে চালান করা হয়। সবার দৃষ্টির সামনে। কেউ যেন তা দেখেনা। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে কোন কোন গরু অকুলান হয়ে পড়ে যায়। কারো গলায় খাটো করে বাঁধা নির্মম দড়িতে প্যাঁচ লেগে যায়। ফাঁস লেগে এভাবে অনেক গরু মারাও পড়ে। দিনমান খাদ্য পানীয় বিহীন ক্ষুধার্ত-তৃষ্ণার্ত গরুগুলো নামানো হয় রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের কসাই খানায়। তারপর চলে জবাইয়ের মচ্ছব। জীবনাবসানের আগেও এরা পায়না এতটুকু তৃষ্ণার পানি আর খড়কুটো খাবার। ভোগ্যপন্য পরিবহনের মত কিঞ্চিৎ যত্নও পায়না জীবন্ত এই প্রাণীগুলো পরিবহনকালে। এ গুলো গৃহপালিত গবাদি প্রাণীর উপর অনেক নির্মিমতার সামান্য উদ্ধৃতি মাত্র। কে দেখবে এসব? এসব দেখে মনে হয় মানুষ নামের শ্রেষ্ঠজীবদের খাম-খেয়ালীর অত্যাচার সহ্য করতেই এদেরকে যেন সৃষ্টি করেছেন পরম দয়ালু স্রষ্টা।

অপরদিকে যাদের ইচ্ছা আছে পরম মমতায় উত্তম পরিচর্যার মাধ্যমে গবাদি প্রাণী লালন-পালন করার, তারা পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও পরিচর্যার আধুনিক উপকরণ। কারণ দেশের উপজেলা সদরে একটি করে জরাজীর্ণ পশু হাসপাতাল ছাড়া মফস্বল এলাকায় আর কোন পশু চিকিৎসালয় নেই। নেই উপজেলা পশু হাসপাতালেও পর্যাপ্ত উপকরণ, আধুনিক ও উপযুক্ত চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থাপনা।

মাংসের চাহিদা সূচকে আমাদের বড় ধরণের ঘাটতি রয়েছে। যার সিংহভাগ পুরণ হয় বিদেশ থেকে নায্য অনায্য বিভিন্ন পন্থায় আমদানি করা গবাদি প্রাণী দিয়ে। ভাতের জন্য উন্নত জাতের ধান চাষাবাদের ব্যবস্থা আছে। মাছ চার্ষে জন্যও চলছে নানা প্রকার অত্যাধুনিক পদ্ধতির চর্চা। কিন্তু জনগণের পুষ্টির জোগান দিতে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য হলো মাংস। এর  উৎপাদনের জন্য গবাদি প্রাণীর আধুনিক পরিচর্যা ও চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা এখনো জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছেনি। তাই কমিউনিটি ক্লিনিকের মত প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পযায়ে লাইভ স্টক সেন্টার স্থাপন করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এই সঙ্গে গৃহপালিত প্রাণী সমূহের জন্যও প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন তথা ‘প্রাণী সম্পদ ব্যবস্থাপনা আইন’ প্রণয়ন করা দরকার। এতে গবাদি প্রাণী প্রতিপালনে জনগণ যত্নবান, আস্থাবান ও উৎসাহী হবে এবং এক পর্যায়ে মাংসের ঘাটতি পুরণ করা সম্ভব হবে। এর সাথে প্রয়োজন গবাদি প্রাণী প্রতিপালনের ক্ষেত্রে কৃষক বা গবাদিপ্রাণী পালকদের জন্য বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা। অন্ততঃ প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে কম পক্ষে ৫০ জন কৃষককে প্রশিক্ষিত করা দরকার। এছাড়াও লাইভস্টক সেন্টারের স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা বিষয়ক প্রতিনিধি দলের নিয়মিত মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। যারা পর্যায়ক্রমে প্রতি কৃষকের বাড়িতে গৃহপালিত প্রাণীদের পরিচর্যার বিষয়ে উঠান বৈঠক করবে।

গবাদি প্রাণী দ্বারা ফসল বিনষ্টের শাস্তির জন্য সনাতনী ও কষ্টদায়ক খোয়ারের ব্যবস্থার পরিবর্তন করে প্রতিটি গ্রামে উপযুক্ত কৃষকদের নিয়ে একটি করে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা দরকার। যারা গবাদি প্রাণী দ্বারা অপরের ক্ষেত খামারের ক্ষয়-ক্ষতির বিষয় নিরূপন করে অভিযুক্ত প্রাণীর মালিকের নিকট থেকে জরিমানা আদায় বা অন্য কোন পদ্ধতিতে মিমাংসা করবে। গবাদি প্রাণীকে খোয়ারে আটকে রেখে শাস্তি দিয়ে নয়। কারণ ঐসকল প্রাণী মালিকের দ্বারা আটক, নিয়ন্ত্রিত এবং গৃহপালিত।

আমি মনেকরি বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা আইন প্রণেতাদের দুরদর্শীতার স্বাক্ষর রাখতে প্রাণী সম্পদ ব্যবস্থাপনা আইনও প্রণয়ন করা দরকার। এতে গৃহপালিত পরাধীন প্রাণীও এই ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভূক্ত হবে। ফলে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও ঘোড়াসহ সকল গৃহপালিত প্রাণী পরিচর্যার নামে চরম অবহেলা ও শারিরীক নির্যাতন থেকে হয়তো কিছুটা মুক্তি পাবে। কেননা কতিপয় অতিলোভী কৃষক বা ব্যক্তি এসব পরাধীন গবাদি প্রাণী প্রতিপালনের নামে কম খরচে বেশি লাভ করার আশায় প্রয়োজন মত খাবারও তাদের দেয়না। ছলে ছুতায় তাদের উপর চালায় অকথ্য নির্যাতন। অযত্ন অবহেলা, নির্যাতন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও খাদ্যাভাবে অনেক গৃহপালিত প্রাণী হাড্ডিসার হয়ে ধুকে ধুকে মারা যাচ্ছে। গরু-ছাগলের হাটগুলোতে গেলেই এর বাস্তব চিত্র দেখা যায়। অনেক গাভী পালকের বাছুর বাঁচেনা। ওটা নাকি তার কপালের দোষ! তারা এমনভাবে গাভী দহন করে যে যার জন্য বিধাতা এই দুধ দান করেছেন সেই বাছুরটির ক্ষুধা মেটানোর জন্য ন্যুনতম দুধটুকুও অবশিষ্ট রাখেনা। আবার বছুরের মায়ায় তার জন্য যদি কিছুটা দুধ নিজ সঞ্চয়ে রাখে তবে দুধ কম দিয়েছে বলে মা গাভীর উপর চলতে থাকে অকথ্য নির্যাতন। এমন স্বার্থপর নির্মমতার ঘটনায় বেঘোরে প্রাণ যায় অনেক গাভীর। আমার এক পরিবেশবাদী বন্ধু বলেছিলেন- আমরা কতবড় স্বার্থপর, গো-বৎসের জন্য সৃষ্টার দান দুধ আমরা এক প্রকার লুট করে খাচ্ছি গাভীর মুখে নাম মাত্র খাবার তুলে দেয়ার বিনিময়ে। অথচ যার জন্য ঐ দুধ বরাদ্দ তার ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিয়ে কোনো মাথা ব্যথাই যেন কারো নেই। এমনকি কীভাবে বাছুরটি সুস্থ্য সবল থাকবে আমরা অনেকেই তা সত্যি করে ভাবিনা।’

খাদ্যভাবে কঙ্কালসার শক্তিহীন অনেক হালের গরু লাঙ্গল টানতে না পেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। তার উপরও উপর্যুপরি লাঠির আঘাতে অকথ্য নির্যাতনের নির্মম দৃশ্য দেখে আমি চরম মর্মপীড়া অনুভব করেছি। কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করতে গিয়ে সেই মমতাহীন নির্বোধ লোকের এমন উক্তিও শুনেছি-‘আমার গরু আমি পেটাচ্ছি আপনি নাক গলানোর কে হে? গৃহ-পালনের নামে গলায় দড়ি দিয়ে বাঁধা (পরাধীন) এসব ভাষাহীন প্রাণীদের আর্তনাদ কে শুনবে?  কার কাছে তারা তাদের ভাষাহীন আকুতি আর মূল্যহীন চোখের জলে ফরিয়াদ করবে?  তাই ভাষাহীন এসব উপকারী গৃহপালিত প্রাণীদের পক্ষ হয়ে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সমীপে প্রাণী সম্পদ ব্যবস্থাপনা আইন প্রণয়ন ও তা দ্রুত বাস্তবায়নসহ তৃণমূল পর্যায়ে লাইভস্টক সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য আকুল আবেদন জানাই।   



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কলাম বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই