তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শৈলকুপা সেটেলমেন্ট অফিসে জালিয়াতির মাধ্যমে জমির কাগজ বদলের অভিযোগ

শৈলকুপা সেটেলমেন্ট অফিসে জালিয়াতির মাধ্যমে জমির কাগজ বদলের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ০৩ আগস্ট]
ঝিনাইদহের শৈলকুপা সেটেলমেন্ট অফিসে জালিয়াতির মাধ্যমে জমির কাগজ বদলে দেওয়া হচ্ছে। অফিসের পেসকার জাহাঙ্গীর আলম ও রেকর্ড কিপার বসির আহম্মেদ এই অনৈতিক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েছে।

অভিযোগ উঠেছে যশোর জোনাল অফিসের পেসকার আবু সাইদ ও নজরুল ইসলাম এ কাজে সহায়তা করে আসছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রকৃত ভুমি মালিকদের বঞ্চিত করে ভূয়া দলিল রেজিষ্ট্রি, ভূয়াপর্চা তৈরি, নামপত্তনের খারিজ খতিয়ান, রেকর্ড রুমের কাগজ টেম্পারিং, রেজিষ্ট্রি দলিলের ভলিউম বই ছেড়া ও সেটেলমেন্টের রেকর্ড জালিয়াতি করে একটি চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

শৈলকুপার হাটফাজিলপুর গ্রামের শামিমুল ইসলাম এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে তামাদী আপীল মামলা নং ২১৫৯৮৪/১৬, ২১৫৯৮১/১৬, ২১৮৪৫৩/১৬, ২১৫৯৮৩/১৬, ২১৫৯৮০/১৬ সহ সাতটি তামাদী আপীল পারমিশন মামলাগুলো বাতিল হলেও অবৈধ্য ও বে-আইনি ভাবে জোনাল অফিসের পেসকার আবু সাইদ, নজরুল ইসলাম ও শৈলকুপা সেটেলমেন্ট অফিসের পেসকার জাহাঙ্গীর আলম, রেকর্ড কিপার বসির আহম্মেদ ঘুষ-বানিজ্যের  মাধ্যমে তামাদী আপীল মামলা পারমিশন  করাতে সক্ষম হন। ভূমি মন্ত্রনালয়, জরিপশাখা-২, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা কর্তৃক জারীকৃত ০২/০২/২০১৫ তারিখে এক পরিপত্রানুযায়ী ১৫১ ধারার ক্ষমতা প্রয়োগ সম্পূন্য অবৈধ্য ও বে-আইনি হওয়ায় গত ০৩/০৯/২০১৫ খ্রিঃ তারিখের পর হতে সকল আপত্তি কেসের তামাদী বাতিল বলে গন্য হয়। আর এ কারনেই উক্ত সিন্ডিকেট জালিয়াতির আশ্রয় নেয়।

ভূমি মন্ত্রনালয়ের পরিপত্রানুযায়ী সকল আপত্তি কেসের তামাদী মওকুফ পূর্বক আপীল কেস শুনানীর নিমিত্তে আমলে না নেওয়ার জন্য সব উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে এক আদেশ জারি করে চিঠি দেন যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার (উপ সচিব) এম,ডি,আব্দুস সালাম। তামাদী আপীল মওকুফ বাতিল হওয়ার পরই শৈলকুপা সেটেলমেন্ট অফিসের দুই কর্মচারি পেসকার, রেকর্ড কিপার ও জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারির জোগসাজসে জালিয়াতির মাধ্যমে শৈলকুপা সেটেলমেন্টে বাতিল হওয়া প্রায় সাড়ে তিনশত পারমিশন মামলার মধ্যে অর্ধশতাধিক তামাদী আপীল পারমিশন মামলা অনুমোদন করা হয়। এ কাজে ঘুষ লেনদেন হয় ২০ লাখ টাকা।

অভিযোগে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার জনাব মতিয়ার রহমানের আদালতে গত ০১/১১/২০১৫ ইং তারিখে উল্লেখিত তামাদী আপীল মামলাগুলো শুনানী শেষে রায় হয়। কিন্তু রায় হওয়ার ৭/৮ বছর আগেই উক্ত রায়ের সার্টিফাই কপি বা সিভি তোলার জন্য ১৬/০৩/২০০৮ তারিখে শৈলকুপা সেটেলমেন্ট অফিসের রের্কড কিপারের ভলিউম খাতায় যার সিভি নাম্বার ১৬৮৩৩, ১৬৮৩৪, ১৬৮৩৫, ১৬৮৩৬, ১৬৮৩৭, ১৬৮৩৮ ও ১৬৮৩৯ জমা দেখানো হয়েছে।

মামলার রায় ঘোষনা হলো ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর। অথচ সেই রায়ের সার্টিফায় কপি তোলার জন্য আবেদন দেখানো হচ্ছে বিগত ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ। বিষয়টি জানাজানি হলে অফিসে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে শৈলকুপা সেটেলমেনটট অফিসের কোন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলতে চায়নি।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই