তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে শত বছরের পুরাতন রাতোয়াল হাট আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত

রাণীনগরে শত বছরের পুরাতন রাতোয়াল হাট আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত
[ভালুকা ডট কম : ১৬ আগস্ট]
নওগাঁর রাণীনগরের শত বছরের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী রাতোয়াল হাট আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত। হাটে নেই পানি নিষ্কাশনের কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই তৈরী হয় জলাবদ্ধতা। আধুনিকতার সময়ে এই ঐতিহ্যবাহী হাটে নেই আধুনিকতার ছোঁয়া। দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বাজারের বিভিন্ন সেড ও চলাচলের জন্য ইট সোলিং রাস্তা।

স্থানীয় সূত্রে জানা, প্রায় শতাধিক বছর পূর্বে রাতোয়াল গ্রামের বাসিন্দা মরহুম নমিরুদ্দিন দরবেশ এই হাটটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতি শুক্রবার ও সোমবার সপ্তাহে দু’দিন এই হাট এলাকার মানুষের একমাত্র ব্যবসায়িক কেন্দ্র। এই এলাকা থেকে রাণীনগর সদর ও আবাদপুকুর হাট দূরে বলে দুই হাটবারে এখান থেকেই প্রয়োজনীয় নিত্য পণ্য ক্রয় করে প্রায় আশেপাশের ৭ থেকে ৮টি গ্রামের মানুষ। এই এলাকা ধানের জন্য বিখ্যাত। অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও এখনো আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই প্রত্যন্ত এলাকার এই ঐতিহ্যবাহী হাটে লাগেনি।

দীর্ঘদিনে জরাজীর্ণ পুরাতন সেডের মাঝেই হাটুরিরা তাদের ব্যবসায়ী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। অথচ সরকার প্রতিবছর এই হাট থেকে হাজার হাজার টাকা রাজস্ব আয় করছে। বর্তমানে পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী ব্যবস্থা সহ নেই আধুনিকতার অবকাঠামো। যার কারণে অল্প পানিতেই জলাবদ্ধতা তৈরী হয়ে অচল হয়ে পরে হাটের উত্তর পার্শ্বে মাছ বাজার এলাকা। বর্ষা মৌসুমে হাটে হাটু পানি ও কাঁদার মধ্যে ব্যবসায়ী কার্যক্রম চালিয়ে আসতে হচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। ইতিমধ্যে ফাটল ধরে নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে গেছে হাটের উত্তর-পূর্ব পার্শ্বের সেড ও ইট সোলিং রাস্তা। চলতি বছরে প্রায় ১ লাখ টাকায় এই হাট ইজারা দেয়া হয়েছে।  

হাটের নিয়মিত মাছ ব্যবসায়ী মোঃ জহুরুল ইসলাম, মোঃ রাজ্জাক সহ অরো অনেকে জানান, বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার কারণে ব্যবসার কাজকর্ম করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। যতশিঘ্রই সম্ভব এই মাছ বাজার এলাকাসহ হাটের বিভিন্ন স্থানের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা অতিব প্রয়োজনীয়।

বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারন সম্পাদক এ এম জাহিদ নেওয়াজ বলেন, বহু বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এই হাটে আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। আমরা স্থানীয় ভাবে অনেকবার উপড় মহল বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছি তবুও কোন কাজ হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া বিনতে তাবিব জানান, ঐতিহ্যবাহী এই হাটের নতুন করে সংস্কার করার জন্য উপড় বিভাগে লিখিত ভাবে জানিয়েছি বরাদ্দ এলেই সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই