তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরের শফিকুল ইসলামের বাগান পরিদর্শনে কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

রাণীনগরের শফিকুল ইসলামের বাগান পরিদর্শনে কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
[ভালুকা ডট কম : ১৯ আগস্ট]
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় কৃষি ফসলের পাশাপাশি থাই পেয়ারা ও বেদেনা চাষে সফল ব্যক্তি উপজেলার শিয়ালা গ্রামের শিক্ষিত যুবক একেএম শফিকুল ইসলাম রবু (৪৮)। পেয়ারা ও বেদেনা চাষে জেলার একমাত্র উজ্জ্বল অনন্য দৃষ্টান্তর শফিকুল। তিনিই প্রথম জেলায় বাণিজ্যিক ভাবে মিশ্র ফল বাগানে বেদেনা চাষে এক সফল চাষী হিসেবে পরিচিত হয়েছেন।

সম্প্রতি কৃষি বিভাগরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ শফিকুলের মিশ্র ফল বাগান পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সত্যব্রত সাহা, ঢাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ববিদ পিপি ইউং জাহাঙ্গির আলম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলীম উদ্দীন, ঊর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাবিবুল আলম, ড. মো. শফিকুল ইসলাম, ডিটিও কৃষিবিদ মো. মাসুদুর রহমান, এডিটি (শস্য) ড. আব্দুল আজিজ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম গোলাম সারওয়ার প্রমুখ। কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় শফিকুলের মিশ্র ফল বাগানের মধ্যে থাই জাতের পেয়ারা ও বেদেনা বাগন পরিদর্শন করেন এবং তাকে বিভিন্ন রোগ-বালা সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করেন। এসময় বাগানে আসা এলাকার বিভিন্ন মানুষকে শফিকুলের মতো বাগান করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার একডালা ইউনিয়নের শিয়ালা গ্রামের মৃত-সায়েদার রহমানের তৃতীয় ছেলে একেএম শফিকুল ইসলাম রবু তার বড় ভাই প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের পরামর্শেক্রমে নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন এই মিশ্র ফল বাগান। তিনি পৈত্রিক ২বিঘা জমিতে মাটি ভরাট করে ফলের মিশ্র বাগান তৈরি করেছেন। বর্তমানে তার মিশ্র বাগানে বেদেনার গাছ আছে ১৬০টি, আম গাছ ৪৮টি, লেবু গাছ ১৬৪টি ও পেয়ারা গাছ ১৪৮টি। বর্তমানে তার বাগানে গাছের ডালে ডালে লাল রঙ্গের রসালো বেদেনা শোভা পাচ্ছে। লেবু গাছে লেবু আর পেয়ারা গাছে পেয়ারা ঝুলে আছে। এই মৌসুমে তিনি আম ও পেয়ারা বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেছেন। তার বাগানের বেদেনা গুলোকে বিভিন্ন রোগবালা থেকে রক্ষা করার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে তিনি বেদেনাগুলোকে পিপি পলিথিন ব্যাগে ভরে রেখেছেন। তার বাগানে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫জন বেকার যুবকের।

শফিকুল জানান, সরকারি ভাবে যদি কোন সহযোগিতা পান তাহলে তিনি এই মিশ্র ফল বাগানকে আরো সম্প্রসারিত করে বিভিন্ন প্রকারের ফলের গাছ সংযুক্ত করতে চান। তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে বাগানে ঔষুধ প্রয়োগ করে আসছেন।

রাণীনগর উপজেলা কৃসি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, শফিকুল মিশ্র ফল চাষী হিসেবে এক সফল ব্যক্তি। তিনি বেকারত্বকে জয় করেছেন। শিক্ষিত যুবকরা তাকে অনুসরন করে বেকারত্বকে জয় করতে পারবে। জেলায় তিনিই প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে তার মিশ্র ফল বাগানে বেদেনার চাষ শুরু করেছেন। আমি একাধিকবার তার বাগান পরিদর্শন করেছি। আমিসহ আমার অফিস সব সময় তাকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করে আসছি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই