তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্যেও খারিজ দেয়ার অভিযোগ

মোট জমির চেয়ে দ্বিগুণ খারিজ প্রদান
ভালুকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্যেও খারিজ দেয়ার অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ২১ আগস্ট]
ভালুকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্যেও মোট জমির চেয়ে দ্বিগুণ ভূমির নামজারি ও জমা খারিজ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রকৃত ভূমি মালিকগন নিরুপায় হয়ে আদালতের সরনাপন্নসহ হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।

ভূক্তভোগী জমির মালিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামিরদিয়া মৌজার এসএ ৪৫ নম্বর খতিয়ানের ২২৪ দাগে মোট জমি রয়েছে ৫ একর ২২ শতাংশ এবং ওই খতিয়ানের সম্পূর্ণ জমির মালিক ছিলেন মৃত জুলমত সেখ। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী ছালেমন নেছা, ছয় ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রেখে যান। ৫ একর ২২ শতাংশ জমি থেকে প্রথম জনৈক কাছুম আলী জমির মালিকের স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও এক নাতির (ওয়ারিশান) কাছ থেকে ১ একর ২৬ শতাংশ, প্রতিবেশি আশরাফ আলীর কাছ থেকে ১৪ শতাংশ ও আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে সাড়ে ৭৯ শতাংশসহ ২ একর সাড়ে ৪৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে নামজারি ও জমা খারিজ করেন।

পরবর্তীতে অপরাপর ওয়ারিশানদের কাছ থেকে জনৈক আশরাফ আলী এক একর ৩৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে নামজারি ও জমা খারিজ করেতে গিয়ে জানতে পারেন, ৫ একর ২২ শতাংশ জমি থাকলেও ওই দাগে ইতোমধ্যে বিধি বহির্ভূতভাবে ৯ একর ৯৫ শতাংশ জমির নামজারি ও জমা খরিজ দেয়া হয়েছে। পরে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর মিস আপিল মোকাদ্দমা নম্বর ২৩, ২০১২ করলে দীর্ঘ শুনানির পর সৃষ্ট খতিয়ান ও হল্ডিং ২২৪ নম্বর দাগের সমুদয় ভূমি মুল খতিয়ান ও হুল্ডিংয়ে স্থানান্তরের জন্য হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে ওই আদেশের ব্যাপারে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর কাছুম আলীর ছেলে আব্দুল হাই গং আপিল করেন। যা বর্তমানে বিচারাধির রয়েছে।

আব্দুল হাই ভালুকা ডট কম কে জানান, মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই দাগে যাতে কোন নামজারি ও জমা খারিজ না দেয়া হয় সে জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর ৭ মার্চ/১৬ আবেদন করি। তারপরও বিনা নোটিশে এবং কাউকে না জানিয়ে অতিগোপনে ও বিধিবর্হিভূত ভাবে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বর্তমান নায়েব ইমাম হাসান ৩৭১২, ১৫/১৬ নম্বর খারিজ মূলে আব্দুল মান্নান ও সবুজ মিয়াকে ২ একর ১৯ শতাংশ জমির খারিজ প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর খারিজ বাতিলের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করি। তিনি আরো জানান, আমি বর্তমারে ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি।

হবিরবাড়ি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইমাম হাসান ভালুকা ডট কম কে জানান, আবেদনের পরও ভুলবসত খারিজ দেয়া হয়েছিল। তবে মামলা চলমান থাকায় সরেজমিন ২১ আগস্ট তদন্ত করে ওই খারিজটি বাতিলের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ মূলে আবেদন করছি। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরোজা আক্তার ভালুকা ডট কম কে জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।    



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই