তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে যত্রতত্র ভাবে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন,বাড়ছে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা

রাণীনগরে যত্রতত্র ভাবে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন,বাড়ছে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা
[ভালুকা ডট কম : ২৪ আগস্ট]
নওগাঁর রাণীনগরে যেখানে-সেখানে নিয়ম-নীতি না মেনে বৈদ্যুতিক মেইন তার সংলগ্ন যত্রতত্র ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। এতে ওই ভবনগুলোতে বিভিন্ন কাজের সময় অসাবধানতাবশত বৈদ্যুতিক পৃষ্টে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। কেউ কেউ আবার দুর্ঘটনায় হারিয়ে ফেলছে শরীরে কোন অঙ্গ আর অচল হয়ে পড়ছে আজীবনের জন্য।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে যে, প্রায় অর্ধশতাধিক বহুতল ভবন কোন প্রকার নিয়ম-নীতি না মেনে হাতুরে মিস্ত্রি দ্বারা অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি করা হয়েছে অনেক ভবন। কোন কোন ভবন বৈদ্যুতিক মেইন তার (১১ হাজার ভোল্ট) সংলগ্ন করে নির্মাণ করা হয়েছে। যে ভবন গুলোতে বিভিন্ন অবকাঠামো কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকরা নিজের অসাবধানতাবশত এই বৈদুতিক তারের সঙ্গে পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কোলে হারিয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ ভবনের নিচের দিকে জায়গা ছেড়ে দিলেও ভবনেন উপরের দিকে পরিসর বাড়িয়ে দেওয়ায় ভবন বিদ্যুতিক তার সংলগ্ন হয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে।

উপজেলার রাণীনগর হাসপাতাল মোড়ে বৈদ্যুতিক মেইন তার সংলগ্ন করে গড়ে ওঠেছে একাধিক বহুতল ভবন। এই ভবনগুলোর জানালা দিয়ে কোন শিশু বা ব্যক্তি হাত বাড়িয়ে দিলেই এই বৈদুতিক তার স্পর্শ করতে পারবে। সম্প্রতি এই হাসপাতাল মোড়ের শহিদুল ইসলামের নতুন ভবনে এই বৈদ্যুতিক তার সংলগ্ন জানালায় থাই গ্লাসের কাজ করতে গিয়ে নিজের অসাবধানতাবশত এক যুবক ১১হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে হারিয়ে যায়। স্থানীয়রা আশংকা করছেন যে, এই ভবনের দুই তলায় রয়েছে আবাসিক মহিলা মাদ্রাসা। যেখানের বিভিন্ন বয়সের মেয়েরা পড়ালেখা করছে। তাদের দ্বারা যেকোন সময় যেকোন বড় ধরনরে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। অপরদিকে একই স্থানে রাণীনগর ক্লিনিকের উপড় দিয়ে চলে গেছে বিদ্যুতের ১১হাজার ভোল্টের তার।

উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ভাবে প্রায় অর্ধশতাধিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে বিদ্যুৎ অফিসের পরামর্শ না নিয়ে ও অভিজ্ঞ কোন প্রকৌশলীর ডিজাইন ছাড়া। যার কারণে উপজেলার কোন না কোন স্থানে বহুতল ভবনে কাজ করার সময় বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা যেন নিত্যমৈত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিওবা ভবনের মালিকরা ভবন সংলগ্ন তারে প্লাষ্টিকের পাইপ দিয়ে ঢেকে দিয়েছে তবুও এই উচ্চ ভোল্টের কাছে এই পাইপ কিছুই না তাই ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণের মধ্যই থেকে যাচ্ছে আর ঘটেই চলেছে দুর্ঘটনা।

রাণীনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা, উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ভবন নির্মাতাকারীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনুমতি ছাড়াই অপরিক্লপিত ভাবে সরকারি নিয়ম-নীতি অমান্য করে নিজের ইচ্ছে মতো পেশীবলের জোরে এই সব ভবন নির্মাণ করেছে যার কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে বিদ্যুৎ পৃষ্টে নিহত হবার ঘটনা। অথচ অনেক বছর আগে এই বিদ্যুতের লাইনগুলো স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু নতুন করে যারা ভবন নির্মাণ করছেন তারা ভবনের সম্প্রসারণ করার জন্য এই ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়কে না মেনেই ভবন নির্মাণ করছেন যার কারণে বিদ্যুত পৃষ্টে নিহত হবার ঘটনা ঘটেই চলেছে। জনসচেতনতার জন্য বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে একাধিকবার মাইক দিয়ে প্রচারনা চালনা হয়েছে। তবুও কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সেইসব নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করে বিদ্যুতের মেইন তার সংলগ্ন করে অবৈধ্য ভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছে। এতে করে যে সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

এবিষয়ে রাণীনগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মুতাচ্ছিম বিল্লা জানান, বিদ্যুতের লাইন থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে ভবন নির্মাণ করার জন্য একাধিকবার প্রচারনা চালানো হয়েছে। বিদ্যুতের তারের আশেপাশে ভবন নির্মাণ করার সময় পরামর্শ বা কিভাবে ভবন নির্মাণ করা হবে তা জানার জন্য কোন কেউ আমাদের কাছে আসে না। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে অচিরেই এই সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত ভাবে চিঠি দেওয়া হবে।#
 



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই