তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের বেহাল অবস্থা

গৌরীপুরে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের বেহাল অবস্থা
[ভালুকা ডট কম : ২৪ আগস্ট]
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট, জরাজীর্ন ভবন, অনিয়ম-দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থ আত্নসাত সহ নানা কারনে প্রাথমিক শিক্ষার মুখ থুবড়ে পড়েছে।

এলাকার অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের এসএমসি কমিটির অভিযোগ শিক্ষকগন যথাসময়ে স্কুলে আসেন না ও নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। অনেকের অভিযোগ বিদ্যালয়ের ছোট ধরনের মেরামত, স্লিপ ও শিশু শ্রেণীর জন্য সরকারি বরাদ্ধকৃত অর্থ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজের মাধ্যমে কাজ না করেই আত্নসাত করেন শিক্ষক ও এসএমসি কমিটির লোকজন। ৩০ শে জুনের মধ্যে স্লিপ ও শিশু শ্রেণীর জন্য অতিরিক্ত বরাদ্ধের টাকায় শিক্ষা উপকরন ক্রয় সহ অন্যান্য কাজ করার করার কথা থাকলেও অধিকাংশ স্কুলে এখনো তা সম্পন্ন হয়নি।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার ১১৩ নং নিজ মাওহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন ছাদের নিচে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা  ক্লাস করছে। ১৯৮৬ সনে স্থাপিত এই বিদ্যালয়টির ভবনের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। সুরকী, সিমেন্ট বিহীন পিলারের রডের উপর ঝুঁলে আছে ছাদ। যে কোন সময় তা  ধ্বসে পড়ে প্রাণহানি ঘটতে পারে। অথচ ছোট ধরনের মেরামতের জন্য বরাদ্ধকৃত  অর্থে আংশিক কাজ করে বাকী টাকা আ্ত্নসাত করা হয়েছে। স্কুলে নেই পর্যাপ্ত ব্রেঞ্চ,ভাঙ্গা ব্রেঞ্চগুলো স্তুপ করে রাখা হয়েছে রুমের এক কোনায়। স্লিপ ও শিশু শ্রেণীর বরাদ্ধকৃত টাকায় কোন কাজ করা হয়নি।

৮০ নং রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন কাগজপত্র সত্যায়িত করার জন্য শিক্ষা অফিসে যাওয়ার কারনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে দেখা গেছে ওই স্কুলের দপ্তরীকে।

১১২ নং চল্লিশা কড়েহা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের নাম ভাংগিয়ে স্লিপ ও শিশু শ্রেণীর জন্য বরাদ্ধকৃত টাকা আত্নসাত করেন।

২৮নং নহাটা স্কুলের শিশু শ্রেনীটি ঝুকিপূর্ন। শিক্ষার্থীর ব্যবহারের জন্য ২ বছর পূর্বে নির্মিত ওয়াস বল্ক দুটি নিন্মমানের কাজের জন্য হস্তান্তরের পূর্বেই ভেঙ্গে গেছে। স্লিপ ও শিশু শ্রেণীর বরাদ্ধকৃত টাকা এখনো উত্তোলন করা হয়নি। জুনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়ায় এসএসসি কমিটির সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

১১১ নং বিষমপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক তহুরা খাতুন প্রতিদিন স্কুলে আসেন ১১টায় ছুটি দেন সাড়ে ৩ টায়। স্লিপ, শিশু শ্রেণীর বরাদ্ধ সহ অন্যান্য বরাদ্ধে কোন কাজ হয়নি। এরকম অসংখ্য অভিযোগ উপজেলার অধিকাংশ প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক ও এসএসসি কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। সরজমিনে এসব অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে।

উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা অফিসার মোজাহিদুল ইসলাম জানান, ট্রেজারী অফিসের গাফিলতির কারনে স্লিপ ও শিশু শ্রেণীর টাকা বরাদ্ধ প্রদানে একটু সময়ক্ষেপন হয়েছে। যে কারনে বরাদ্ধকৃত অর্থে অনেক স্কুলে এখনো কাজ সম্পন্ন হয়নি। এসব অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন নূরুউল্লাহকে যখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয় তখন স্কুলে কোন সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জহির উদ্দিন বলেন, নিজ মাওহা প্রাইমারী স্কুলের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন নতুন ভবন নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন করা হয়েছে।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, ১ সপ্তাহের মধ্যেই নহাটা স্কুলের দুটি ওয়াসবল্ক মেরামত করে স্কুল কমিটির হাতে চাবি হস্তান্তর করা হবে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই