তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গাজীপুরে জেএমবির ৫ সদস্য আটক,বিপুল পরিমাণ বিষ্ফোরক,পিস্তল,গুলি,সরঞ্জামাদি উদ্ধার

গাজীপুরে জেএমবির ৫ সদস্য আটক,বিপুল পরিমাণ বিষ্ফোরক,পিস্তল,গুলি,সরঞ্জামাদি উদ্ধার
[ভালুকা ডট কম : ২৪ আগস্ট]
র‌্যাব-১ এর উপঅধিনায়ক মেজর আজম জানান, কয়েকদফা তথ্যসুত্রের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা গাজীপুর থেকে জঙ্গি সংগঠনের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।

২৩ আগস্ট অভিযানের জন্য যাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছিল র‌্যাব:
জেএমবির’র দক্ষিণাঞ্চলের আমির মো: মাহমুদুল হাসান ওরফে হাসান ওরফে তানভীরকে টঙ্গী থেকে এবং ১৬ জুলাই জেএমবির মহিলা শাখার নেত্রী আকলিমাকে গত ১৬ আগস্ট ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে কয়েকজন জঙ্গি সদস্য ও জঙ্গি প্রশিক্ষকের নাম পাওয়া যায়। ঢাকার বাইরে থেকে বেশ কয়েকজন জঙ্গি সদস্য মিশন সম্পর্কে আলোচনা ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহের জন্য ঢাকায় প্রবেশের প্রস্তুতিরও খবর পাওয়া যায়।

২৩ আগস্ট মঙ্গলবার দিবাগত রাতে র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা:
র‌্যাব-১ এর একটি দল ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গীর পেশনরোড এলাকা থেকে জেএমবি’র মহিলা শাখার প্রশিক্ষক দক্ষিণাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত আমীর ঝিনাইদহ জেলা সদরের হলিদানী বাজার এলাকার মো: খয়বর রহমানের ছেলে কানাডা ফেরত মো: রাশেদুজ্জামান রোজ (৩০), কালিগঞ্জ থানার সাইটবাড়িয়া গ্রামের মৃত আশরাফুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল হাই (৩৬), দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার মারুপাড়া গ্রামের মো: ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো: সাহাবুদ্দিন ওরফে রকি ওরফে শিহাব (২৩)কে গ্রেপ্তার করে।

২৪ আগস্ট বুধবার ভোরে র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা:
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৪ আগস্ট বুধবার ভোর ৫টার দিকে গাজীপুরের উম্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন হাজিরপুকুর এলাকার লাইব্রেরী ও ফ্লেক্সিলোডের দোকান থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার বাদুল্লাহপুর গ্রামের সাইদুর রহমান শেখের ছেলে মো: ফিরোজ আহম্মেদ শেখ ওরফে ফিরোজ ওরফে আনসার (২৭), নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা থানার কৈলাদি গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে মো: সাইফুল ইসলাম (২৯)কে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের উদ্দেশ্য আবিষ্কার:
র‌্যাব তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে জানায়, রাশেদুজ্জামান রোজ, আব্দুল হাই চট্টগ্রাম ও সাহাবুদ্দিন পাবনা হতে টঙ্গীতে একত্রিত হয়। তারা নাশকতার উদ্দেশে বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহের জন্য গাজীপুরে ফিরোজ ও সাইফুলের কাছে যাচ্ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব জানান দিতে নাশকতা পরিচালনা করা।

উদ্ধারকৃত মালামাল:
২৫টি ইলেক্ট্রিক ক্রেকার, ১টি ল্যাপটপ, ১টি সিপিইউ, সিপিইউর ভেতর ১৫টি প্যাকেট যার প্রত্যেকটির ভেতর ৫টি করে চকলেট বোমা, আধা কেজি বিস্ফোরক, ৩’শ গ্রাম সাদা পাউডার, ডেটোনেটর ৫টি, ম্যাগজিন ৩টি, গুলি ৮ রাউন্ড, চাপাতি ও ডেগার ১৩টি, পিস্তল ২টি এবং বেশ কিছু জিহাদী বই।

র‌্যাব-১ এর উপঅধিনায়ক মেজর আজম আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি জানান:
রাশেদুজ্জামান রোজ:
রাশেদুজ্জামান রোজ বর্তমানে জেএমবি মহিলা শাখার প্রশিক্ষক ও দক্ষিণাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত আমির। সে ঝিনাইদহ থেকে ২০০১ সালে এসএসসি, ২০০৩ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করে এমবিবিএসএস-এর জন্য নির্বাচিত হয়েও ২০০৫ সালে আইইউবি-তে বিবিএ-তে ভর্তি হয়। দুই সেমেস্টিার শেষ করে সে কানাডায় চলে যায়। সেখানে সে ২০১২ সাল পর্যন্ত সেন্ট মারিজ বিশ^বিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী অর্জন করে। সে সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ও সিরিয়ান বন্ধুদের সাথে তার সখ্যতার ভিত্তিতে উগ্রজঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হয়। সে দেশে ফিরে এসে পরিবারকে মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে জঙ্গিবাদ প্রচার ও প্রসারের অভিপ্রায়ে সে ২০১৪ সালে গ্রামের বাড়িতে গমন করে জ্বালানি তেলের একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করে। এভাবে সে উচ্চ শিক্ষিত হয়েও ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা করতো। এ সময় সে নিজ জেলাতে আব্দুল হাই এর সাহচর্যে আসে। এই আব্দুল হাই এর মাধ্যমে তার জেএমবি এর দক্ষিণাঞ্চলের আমীর মাহমুদুল হাসানের সাথে পরিচয় হয়। মূলত শিক্ষিত ও সমমনা হওয়ায় মাহমুদুল হাসান তাকে জেএমবিতে অন্তর্ভুক্ত করে। পরবর্তীতে সে মাহমুদুল হাসানের সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতো। মাহামুদুল হাসান তাকে জেএমবি মহিলা শাখার সংগঠন পরিচালনা ও প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দেয়। এই মহিলা শাখার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনায় তার সঙ্গে জেএমবি মহিলা শাখার নেত্রী আকলিমার সাথে পরিচয় ঘটে। বর্তমানে গত ২১ জুলাই ২০১৬ তারিখে দক্ষিণাঞ্চলের জেএমবি আমির মাহামুুদুল হাসান র‌্যাবের হাতে আটক হলে তার পর হতে রাশেদুজ্জামান রোজ দক্ষিণাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন শুরু করতে থাকে। রাশেদের ল্যাপটপে জঙ্গি সংশ্লিষ্ট কিছু নৃশংস ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায় যা দ্বারা সে জঙ্গিদের নৃশংস হওয়ার প্রশিক্ষণ প্রদান করতো বলে জানায়। মূলতঃ সে জেএমবি এর সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিশেষ করে মহিলা সংগঠনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ প্রদান ও সদস্য সংগ্রহ করতো।

মোঃ আব্দুল হাই :
মোঃ আব্দুল হাই বর্তমানে ঝিনাইদহের একজন ইমাম। সে বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসা শিক্ষকতা, হোমিও চিকিৎসক ও মোবাইল টাওয়ারে সিকিউরিটি হিসেবে কাজ করতো। এছাড়া সে আহলে হাদিস আন্দোলনের ঝিনাইদহ শাখার সেক্রেটারি বলেও জানায়। সে প্রথমে নলডাঙ্গা ভুষন হাইস্কুলে দশম শ্রেণীতে অধ্যায়ন করে পরবর্তীতে সে মাদ্রাসা লাইনে পড়াশুনা করে ১৯৯৯ সালে আলিম এবং ২০০১ সালে দাখিল পাশ করে ২০০৭ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করে। সে কালিগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসায় দুই বছর শিক্ষকতা করে এবং পরবর্তীতে ২০১০ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে শিশুদের জন্য সহজ কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হন। কিন্তু তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন হতে ২০১৪ সালে চাকুরিচ্যুত হন। তিনি যশোর ও ঝিনাইদহ এলাকায় বিভিন্ন সময় জেএমবি এর বৈঠক আয়োজন করতেন। উক্ত বৈঠকে দক্ষিণাঞ্চলের আমির মাহমুদ ও অন্যান্য জেএমবি এর নেতারা উপস্থিত থাকতেন। এই ধরনের কোন এক বৈঠকে তিনি রাশেদুজ্জামানকে মাহমুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এছাড়া আব্দুল হাই মাহমুদের নির্দেশনা মোতাবেক দক্ষিণাঞ্চল থেকে জেএমবি রিক্রুটিং করে বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণের জন্য ফিরোজের নিকট প্রেরণ করতো এবং ইয়ানত সংগ্রহ করে সাইফুল ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেমের মাধ্যমে ফিরোজের নিকট পৌছাতো।

সাহাবুদ্দিন :
সাহাবুদ্দিন শিহাব রকি হচ্ছে শোলাকিয়া হামলায় অংশগ্রহণকারী শফিউলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং একজন জেএমবি এর আত্মঘাতী দলের সদস্য। সে জিজ্ঞাসাবাদে জানাায়, শফিউল ধৃত হওয়ার পূর্বে তারা একত্রে অন্তত একাধিকবার চরাঞ্চলে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতো। সে দু-একটি মিশনে অংশ গ্রহণ করেছিল। সে দিনাজপুরের নারায়নপুর প্রাইমারী স্কুলে পড়ার পর স্থানীয় একটি কাওমী মাদ্রাসায় প্রায় ৪ বছরের মতো লেখাপড়া করে। পরবর্তীতে মিরপুরের একটি গার্মেন্টস এ ২৫/২৬ দিন চাকুরি করে। তার পর বাড়ি ফিরে যায়। তিন বছর পুর্বে ২০১৩ সালের দিকে সে শফিউলের মাধ্যমে জেএমবিতে যোগদান করে সে আত্মঘাতি স্কোয়াডের অন্তর্ভূক্ত হয়। সে ইতোপূর্বে জঙ্গি হামলার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ফিরোজের নিকট হতে সংগ্রহ করতো এবং এবারও একই উদ্দেশ্যে আগমন করেছে।

মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ শেখ :
মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ শেখ আনসার (২৭) এর অর্থের অভাবে ৫ম শ্রেণীর বেশী পড়াশুনা হয়নি। সে ২০০৮ সালের শেষের দিকে কাজের উদ্দেশে তার দুলাভাই এর সাথে ঢাকায় আসে।  ঢাকায় অবস্থানকালে সে দুটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও ডেসটিনিতে কাজ করছিল। এর পাশাপাশি সে ইসলামিক মাহফিল ও মসজিদে বই বিক্রি করতো। সে ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাড়িতে বেড়াতে গেলে সিরাজগঞ্জের মাহ্মুদুল হাসান এর সাথে তার পরিচয় হয়। মাহমুদুল তাকে জেএমবি ধারায় দীক্ষিত করে। মাহমুদের মাধ্যমে জসীমউদ্দিন রাহমানির দোকানে ২/৩ মাস চাকরি করে। জসীমউদ্দিন গ্রেফতার হলে সে আত্মগোপন করে। পুনরায় সে গাজীপুরে বই এর ব্যবসা শুরু করে । পরবর্তীতে মাহমুদুল তাকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক বই বিক্রির জন্য নির্দেশনা দিতো এবং বিভিন্ন উস্কানিমূলক ওয়াজ তার মোবাইলে আপলোড করে দেয় তা প্রচারের জন্য নির্দেশ দিত। এছাড়া লাইব্রেরী ব্যবসার অন্তরালে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক সরঞ্জামাদির পার্সেল হস্তান্তর ও মজুদ করত। যেহেতু আইন-শৃংখলা বাহিনীর নজরদারিতে বর্তমানে বাড়ীতে জঙ্গিবাদ প্রচার ও বিভিন্ন পার্সেল হস্তান্তর কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই সে লাইব্রেরী ব্যবসার আড়ালে জঙ্গি সরঞ্জামাদি হস্তান্তর, আদান-প্রদান, মিটিং এবং নতুন সদস্যদের পয়েন্ট অব কন্ট্রাক্ট হিসেবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রেরণ করতো।

মোঃ সাইফুল ইসলাম :
মোঃ সাইফুল ইসলাম (২৯) নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানাধীন আশরাফুল উলুম মাদ্রাসায় কৈলাদিতে পড়াশুনা করতো। ২০০৩ সালের দিকে সিলেটের বিশ্বনাথপুর থানাধীন একটি মাদ্রাসায় হাফেজিয়া পড়াশুনা করতে যায় এবং ২০০৭ সাল পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ে এবং তা সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে ২০১০ সালের দিকে ঢাকায় তানজিম সোয়েটার ফ্যাক্টরীতে চাকরিকালীন সময়ে মোঃ আলাউদ্দিন সরকার মসজিদ এ নামাজ পড়তে গিয়ে এক বড় ভাইয়ের সাথে পরিচয়ের সূত্রের মাধ্যমে হাজিরপুকুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মোয়াজ্জিন হিসেবে যোগদান করে। ফলে হাজিরপুকুর মসজিদের নিচে বই বিক্রিকারী ফিরোজের সাথে তার সখ্যতা হলে ফিরোজ তাকে জেএমবিতে দিক্ষিত করে এবং বইয়ের দোকানের পার্শ্বে একটি মোবাইলের ফ্লেক্সিলোড, বিকাশসহ আতর, টুপি ইত্যাদি ব্যবসা শুরু করিয়ে দেয়। তারই বিকাশের দোকানের মাধ্যমে তারা জেএমবি এর আর্থিক লেনদেন করতো এবং ভুয়া নামে রেজিস্ট্রেশন সিম জেএমবি সদস্যদের সরবরাহ করতো। সম্প্রতি গ্রেফতারকৃত জেএমবি’র মহিলা শাখার নেত্রী আকলিমার আর্থিক লেনদেন তার মাধ্যমেই হয়েছে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই