তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে খালেদা জিয়ার বক্তব্য ও প্রতিক্রিয়া

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে খালেদা জিয়ার বক্তব্য ও প্রতিক্রিয়া
[ভালুকা ডট কম : ২৪ আগস্ট]
বাংলাদেশের সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে কয়লা-বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপাসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এই দাবির পক্ষে সোচ্চার হওয়ার জন্য ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ বিকেলে তার গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়া উল্লেখ করেন, দেশের উন্নয়ন ও জনজীবনের স্বাচ্ছন্দের জন্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু সেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে যদি দেশ এবং দেশের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জনজীবন বিপর্যস্ত হয়, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র ধ্বংস হয়-তাহলে সেই সিদ্ধান্ত হয় দেশ বিরোধী-গণবিরোধী।

বেগম জিয়া উল্লেখ করেন, রামপাল কয়লা-বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কর্তৃপক্ষ, রামসার কনভেনশনের সচিবালয় এমনকি বাংলাদেশের বন অধিদপ্তরের আপত্তি অগ্রাহ্য করে সরকার এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত চালিয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবনের এত কাছে স্থাপিত কয়লা-বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনিবার্য অশুভ ও মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়ার সব প্রমাণ উপস্থাপনের পরেও সরকার তার অবস্থান পরিবর্তনে শুধু অস্বীকৃতি জানাচ্ছে না বরং আরও দ্রুত এই গণবিরোধী- দেশবিরোধী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগী হয়েছে। এর দ্বারা আবারো প্রমাণিত হলো যে, এই সরকার স্বৈরাচারি বলেই জনমত কিংবা দেশের স্বার্থের পরোয়া করে না।

বেগম জিয়া বলেন,  রামপাল বিদ্যুত প্রকল্প দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রাকৃতিক বেষ্টনী ধ্বংস করবে, জীব-বৈচিত্রের বিলোপ ঘটাবে, লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংসের কারণ হবে, পরিবেশ ও পানি দূষিত করবে, আশে পাশের কৃষি জমির উর্বরাশক্তি এবং মৎসসম্পদ ধ্বংস করবে।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন,  যে প্রকল্প অর্থনৈতিকভাবে অলাভজনক তা বাস্তবায়নে সরকারের যুক্তিহীন জেদ ও দ্রুততা শুধু সন্দেহজনক নয়, দেশবাসীর জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। দেশের অস্তিত্ব ও স্বার্থের বিনিময়ে ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর মুনাফা এবং অনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের অপচেষ্টা রোধ করা তাই সময়ের দাবী।

বেগম জিয়া আরো উল্লেখ করেন, ভারতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কয়লা-বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে আইনি বাধা আছে। অথচ সে দেশেরই একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তাদের নিজের দেশে যা করতে পারে না শুধুমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থে তা বাংলাদেশে করছে। আর জনগণের প্রতি দায়িত্বহীন এবং দেশের স্বার্থের প্রতি উদাসীন বাংলাদেশ সরকার তার অনুমতি দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বামপন্থি রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ডা. ফায়েজুল হাকিম রেডিও তেহরানকে বলেন,  সুন্দরবন রক্ষায় দেশের বামপন্থি সংগঠন ও তেল-গ্যাস-বন্দর বিদ্যুৎ রক্ষা জাতীয় কমিটি অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে। এ ব্যাপারে দেরিতে হলেও বিএনপি‘র বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণকে এ ক্ষেত্রে ভারতের অসৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়া বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক বিকল্প আছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের স্থানেরও অনেক বিকল্প আছে কিন্তু সুন্দরবনের কোন বিকল্প নেই। তিনি সরকারকে পরামর্শ দেন, দেশে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের জন্য বিকল্প বিদ্যুৎ ও বিকল্প জ্বালানির সন্ধান করা উচিত। ছোট গ্যাস জেনারেটর বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পানি বিদ্যুৎ, টাইডাল বিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস প্রকল্প, সোলার এনার্জি ইত্যাদি বিষয়ের দিকে আমাদের মনোযোগী হওয়া দরকার।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই