তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ছড়াকার আমিনুল ইসলাম মামুনের ছড়া,কবিতা

কিশোর কবিতা         
সোনার বাংলাদেশ
[ভালুকা ডট কম : ০৭ সেপ্টেম্বর]
শাপলা ফোটা বিল যেখানে হাসে
যে সবুজে স্বপ্ন হাজার ভাসে
যে আকাশে জ্বলে হাজার তারা
পাখির গানে হৃদয়টা হয় হারা
স্বপ্ন জাগায় বেশ
প্রিয় সোনার দেশ।

মানুষগুলো গাঁথে হৃদয় মালা
সম্পদে তার ভরা মাটির থালা
জন্ম দিল অনেক জ্ঞানী-গুণী
রাজনীতিবিদ লেখক পীর ও মুনি।
কোন সে আমার মা?
যার হয় না তুলনা।

নদীগুলো দুগ্ধ স্রোতের মতো
দিনে-রাতে বইছে অবিরত
গা জুড়ানো হিমেল পরশ বয়
সে দেশটি তো যেমন তেমন নয়।
তার কোথায় অবস্থান?  
যার জন্য সবাই মিলে
গায় হৃদয়ের গান।

বঙ্গোপসাগরের কোলে
তার বুকে নীল আকাশ দোলে
তার কথা কি লিখে বলো   
যাবে করা শেষ?  
সে আমাদের প্রাণ জুড়ানো
সোনার বাংলাদেশ।
==০==

ছড়া
ঢাকার ছবি 
বাংলাদেশের রাজধানীটি ঢাকা
শতশত বছর ধরে
ঘুরছে ঢাকার চাকা  
বাংলাদেশের রাজধানীটি ঢাকা।

সকল পেশার মানুষ থাকে
সবাই চোখে স্বপ্ন আঁকে
এই ঢাকাতে কর্ম করে
গড়বে সুখের ঘর
থাকবে সবাই বুকের কাছে
কেউ হবে না পর।

ইতিহাসের সাক্ষী ঢাকা
স্মৃতির ঝুলি আছে রাখা
এই মাটির উপর
পিলখানা ও নাবাব বাড়ি
কত্তো স্মৃতির ঘর।

চওড়া সড়ক অলি-গলি
সকল পথের কথাই বলি
কম ও বেশি সাক্ষী হয়ে
আছে সে সব আজো
সেই গর্বে হার মানবে
হীরায় গড়া তাজও।

বাংলাদেশের রাজধানীটি ঢাকা
ইতিহাসের পাতায় পাতায়
ঢাকার ছবি আঁকা।
==০==

কিশোর কবিতা    
সাত সাগরের ঢেউ  
শিশির মাখা ভোরের ঘাসে
আমার মায়ের হাসি
হৃদয় ভেজা ও মেঠোপথ
তোমায় ভালোবাসি।

পথিক যত, পুলকিত
রস ছড়ানো ঘ্রাণে
সুবাস মাখা হিমেল পরশ
হৃদয় কেমন টানে!

মৌমাছিরা ফুলের কোলে
আদর মেখে যায়
সবুজ মাঠে শীতের সকাল
কী দেখালো হায়!

জিভের গায়ে হরেক পিঠা
স্বাদের গড়াগড়ি
রসুই ঘরে আনন্দবান
খুশির ছড়াছড়ি।

সবুজ গাঁয়ে জন্ম আমার
আজকে থাকি দূরে
গাঁয়ের মায়া ডাকছে আমায়
কেমন মিঠে সুরে!

কোথায় পাবো এমন মায়া
বলতে পারো কেউ?  
বুকের ভেতর আছড়ে পড়ে
সাত সাগরের ঢেউ।
==০==

কিশোর কবিতা 
মায়ের মুখের ভাষা  
বাংলা আমার মায়ের মুখের ভাষা
বাংলা বাবার স্বপ্ন জয়ী আশা
বাংলা হাসে এই সবুজের বুকে
বাংলা হাসে বাবা-মায়ের মুখে।

শব্দ দানব আসলো সেদিন ছুটে
বারুদ গলা গর্জে তখন ওঠে
তপ্ত হলো রক্ত ভেজা মাটি
সবার বুকে দরদ ছিল খাঁটি।

অগ্নিমাখা শব্দগুলো ঝরে
ভাষা খেকোর ভীতটা তখন নড়ে
মায়ের ভাষা কণ্ঠে ওঠে বেজে
সেনানীদের পথটা রোখে কে সে?

মায়ের ভাষা দেয়নি ওদের নিতে
রক্ত দিলো ভাষার বিপরীতে
বাংলা ভাষা বিশ্ব জুড়ে হাসে
পরশ ছড়ায় সবুজ হৃদয়-ঘাসে।

বাংলা ভাষা রক্ত রঙে আঁকা
বাংলা সবার হৃদয় আবেগ মাখা
বাংলা শুনি মুক্ত পাখির ঠোঁটে
এই ভাষাতে হৃদয়ে ফুল ফোটে।  
==০==

       কিশোর কবিতা 
ঘুড়ির মাঠে আয় রে সবে
উড়ছে দেখ আকাশ কোলে
হরেক রঙের ঘুড়ি
ইচ্ছে করে ঘুড়ির সাথে
পাখির মত উড়ি।

কিন্তু আমার নেই তো ডানা
তাই আকাশে উড়তে মানা
স্বপ্ন মেখে দৃষ্টি আমার
ঘুড়ির দিকে ছুঁড়ি
ইচ্ছে করে পাখি কি বা
ঘুড়ির মত উড়ি।

ঘুড়ির নাটাই আমার হাতে
স্বপ্ন উড়াই ঘুড়ির সাথে
রঙিন রঙিন ঘুড়ি উড়ে
দূর আকাশে ওই
নাটাই হাতে মাঠের বুকে
উড়াই ঘুড়ি মনের সুখে
বন্ধু আছ আরো যারা
তোমরা সবে কই?

বাতাস তালে দুলছে ঘুড়ি
সঙ্গে সবুজ মন
ঘুড়ির মাঠে আয়রে সবে
পেরিয়ে সবুজ বন।
==০==    

     কিশোর কবিতা         
স্মৃতির প্রিয় গাঁয়  
আমার দাদী আমার মা সঙ্গে আমার বোন
আজো আমার যায় হারিয়ে রসুইঘরে মন।
রসুইঘরে ঢেকি ছিল এবং ছিল চুলো
বোনের পায়ে থাকতো নূপুর থাকতো হাতে কুলো।
ঢেকির সাথে মা ও দাদী গড়তো মিতালী
সারাটি ক্ষণ তুলতো যেন সুরের গীতালী।
ধান ভেঙে আসতো চাউল কখনো বা গুঁড়ি
কুলোর সাথে ঝুনুর ঝুনুর বাজতো বোনের চুড়ি।
সেই চাউল ও গুঁড়ি থেকে পেতাম প্রাণের ছোঁয়া
চাউল থেকে মুড়ি হতো সেখান থেকে মোয়া।
মায়ের চোখে ঢেকির ছবি সেই ছবি এই মনে
বোনের হাতে কুলোর নাচন ভাসছে ক্ষণে ক্ষণে।
মাও আছে বোনও আছে নেই তো দাদী আজ
বোনটি গেল পরের ঘরে নিয়ে নতুন সাজ।
ঢেকি আজো স্মৃতির পাতায় অতীত মেখে যায়
আজো আমি যাই হারিয়ে স্মৃতির প্রিয় গাঁয়।
==০==

ছড়া
কোমল জায়নামাজে
হাত দিয়েছিস কিসে
নৌকা চলা নদী এবং
সবুজ ধানের শীষে?

মন দে আরেক কাজে
হাত দিবি না আমার পিতার
কোমল জায়নামাজে।
==০==

কবিতা
রূপালী মন
বৃষ্টিতে ভিজে আছে পড়ন্ত বিকেল
ভিজে আছে রূপালী মন
কদম পাতায় খেলা রোদ্দুরে
চেয়ে থাকি অনুক্ষণ।

চেয়ে থাকি মনের জানালা খুলে
তোমার আগমনী পথ চেয়ে
আলতো পরশ মেখে দিই তোমায়
স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে।

তোমার হাসিতে খেলা করে যায়
বিকেলের রোদ্দুর
মন ছোটে সেই হাসির পেছনে
হাসি ছোটে যদ্দুর।

সবুজ বনের সুরেলা পাখি
সঙ্গী হলো সাথে
মনের বাগানে ফোটে আছে ফুল
ফোটেছিল কাল রাতে।

একটি পাতায় কয়-
এমন যদি হয়-
আমার গায়ে লুটানো হাসিটি
তোমার প্রিয়ার নয়!  

এমন কথা আমাকে তুই
বলিস না-রে আর    
চাঁদটা আমি তোকেই দিলাম
একশো হাজার বার।

তার হাসিটি দেখে আমার
দিন চলে যায় বয়ে
জীবনটা যায় ক্ষয়ে
বুকের ভেতর সব মুছে যায়
স্মৃতিরা যায় রয়ে।
==০==

কবিতা
ব্যথা কাব্যের প্রাসাদ
ব্যথা জমিয়ে কাব্যের প্রাসাদ গড়েছি
গড়তে চাইনি কখনো
এ তোমার মহান কৃপা!
প্রাসাদের মূল গেইট দিয়ে
উঁকি-ঝুকি দেয় সুখেরা
কিন্তু ব্যর্থ হয় তারা।

প্রাসাদের গা থেকে বিচ্ছুরিত আলো
আলো নয়
সে-তো গায়ে বিদ্যমান
কষ্টের রেখাগুলো সুক্ষ্মভাবে অবলোকনের জন্য
ব্যথারই অন্য রূপ।

ব্যথা মানে কি?
অন্ধকার?
নরক?
ধ্বংসাবশেষ?
না কি তার চেয়ে যন্ত্রণাদায়ক অন্য কিছু?  

আমি বিশাল এক প্রাসাদের মালিক
বয়ে চলেছি আমি তা আমার বুকে।
এ তোমার মহান কৃপা!
কৃতজ্ঞ আমি তোমার কাছে!

আমাকে এই দেনাদারিত্বের দায় থেকে  
মুক্তি দিয়ে দিও।       
তোমার এ ঋণ
শোধতে পারবো না আমি
কোনদিন।  
==০==
বার্তা প্রেরক -ছড়াকার আমিনুল ইসলাম মামুন

                        
 



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

সাহিত্য পাতা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই