তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

পত্নীতলায় কোরবানীর পশুর হাটে নেই কোন তদারকি,অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

পত্নীতলায় কোরবানীর পশুর হাটে নেই কোন তদারকি,অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ০৭ সেপ্টেম্বর]
নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলার পশুর হাট গুলোতে পশুর মূল্য বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশী হওয়ায় দালালদের দৌরাত্ব বেড়েছে। হাটের ইজারাদারদের পশু কেনা বেচায় অতিরিক্ত হারে টোল আদায় করার অভিযোগ ক্রেতাদের।

আসন্ন ঈদুল আযহা (কোরবানী)র ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলার পশুর হাট গুলোতে এবারে পশুর আমদানি ও বিক্রি জমে উঠেছে।  ঈদকে সামনে রেখে বর্তমানে এসব পশুর হাট দুপুর থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত লাইটিং ব্যবস্থায় কেনা, বেচা চলছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার পশুর মূল্য অনেক গুন বেশী বলে হাটে পশু কেনার জন্য আগত ক্রেতারা জানান।

উপজেলার সদর নজিপুর নতুন হাট সহ উপজেলার শিবপুর, মধইল বাজারে মোট ৩টি স্থানে হাট বসে। প্রতিটি পশুর হাটেই বিপুল পরিমান কোরবানীর পশু গরু, ছাগল, মহিষ, ভেঁড়া বিক্রির জন্য ওঠে। ঈদকে সামনে রেখে বর্তমানে এসব পশুর হাট সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত জমজমাট ভাবে চলছে।

উপজেলার এসব পশুরহাট ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় গরু এবছর না আসায় হাট, বাজার গুলোতে দেশীয় গরুর আমদানী বেড়েছে। এবার দেশীয় গরুর চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি, দাম বেশি পেয়ে বিক্রেতারা খুশি হলেও ক্রেতাদের নাভিস্বাস অবস্থা। এবারের হাটে দেশী ষাঁড়, এঁড়ে গরুর চাহিদা বেশী। তবে বলদ, বোকনা, বাঁঝা গরু, মহিষ সহ ছাগল, ভেঁড়ার আমদানীও অনেক। এবারের হাটে একটি ষাঁড়, এঁড়ে গরু ৪০ থেকে ১লক্ষ ২৫হাজার টাকা, বলদ, বোকনা, বাঁঝা গরু ৩০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা, ছাগল ৫থেকে ২৫হাজার টাকা, ভেঁড়া ৩ থেকে ১০হাজার টাকা এবং মহিষ ৬০ থেকে ১লক্ষ টাকায় বেচা কেনা চলছে।

এবারে অন্যান্য বছরের তুলনায় পশু কেনা বেচার ক্ষেত্রে দালাল বা ফরিয়াদের দাপট অনেক বেশী। তাদের দাপটে বিক্রেতারা যেমন বিপাকে পড়েছে তেমনি, ক্রেতারাও কোরবানীর পশু কিনতে হিমশীম খাচ্ছে। আবার কেউবা চড়া দামে কিনতে বাধ্যও হচ্ছে। এবাদেও ক্রেতারা পশু কিনে টোল দিতে ইজারাদারদের লোকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এসব হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ ক্রেতাদের। হাটে কোন স্থানেই টোল আদায়ের সরকারী বোর্ড না থাকায় বিতর্কে জড়ছে ইজারাদারদের লোকদের সাথে ক্রেতারা। এসব হাটে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি ঠেকাতে নেই কোন সরকারী তদারকি ব্যবস্থা।

এদিকে উপজেলার প্রতিটি পশুরহাটে সরকারী কোন তদারকি টীম বা জাল টাকা পরীক্ষার কোন সু-ব্যবস্থা না থাকায় গরু কিনতে এসে জাল টাকা পেয়ে অনেকে প্রতারনার শিকার হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি গরুর হাটে গরু অবৈধ ভাবে মোটাতাজা করে বিক্রি করা হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্যও নেই কোন চিকিৎসক দল।

এবারে বিগত বছরের তুলনায় পশুর মূল্য তুলনামূলক বেশী হলেও ক্রেতারা তাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে কোরবানীর পশু কিনছেন। তবে অনেক ক্রেতারা কোরবানীর পশু কিনতে বিলম্ব করছেন, ঈদ আরো আসন্ন হলে পশুর মূল্য কিছুটা কমবে বলে তাদের ধারনা। তবে এবারে হাটে দালালদের দাপটের পাশাপাশি ইজারাদাররা পশুর টোল অতিরিক্ত হারে আদায় করছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করছেন। তারা বলেন প্রশাসন এব্যাপারে পদক্ষেপ না নিলে ক্রেতারা বিপাকে পড়বেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মালেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ২০১৬ সালের হাট-বাজার ইজারার টোল আদায়ের চার্ট নিয়ে রীট পিটিশান হওয়ায় ২০১১ সালের হাট-বাজার ইজারার টোল আদায়ের চার্ট অনুযায়ী টোল আদায়ের কাজ চলছে। তবে হাটে ইজারাদারদের চার্ট বোর্ড লাগানোর জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই