তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শিগগিরি প্রকাশ হচ্ছে না রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন,বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া

শিগগিরি প্রকাশ হচ্ছে না রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন,বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া
[ভালুকা ডট কম : ২১ সেপ্টেম্বর]
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান। গত ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকা ফেরত পাওয়ার স্বার্থে এখনই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে না। প্রতিবেদন প্রকাশে কিছুটা দেরি হতে পারে বলে জানান তিনি।রিজার্ভ চুরির বিষয়ে ১৫ মার্চ সরকারের পক্ষ থেকে সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি গত ২০ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দেয়। ৩০ মে দেয়া হয় পুরো প্রতিবেদন। এরপর অর্থমন্ত্রী কয়েকবার তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশের কথা বললেও সেটি আর প্রকাশ করা হয় নি।

গত ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সরিয়ে নেয় সাইবার অপরাধীরা। এরমধ্যে ২ কোটি ডলার শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুরুতেই আটকে দেয় এবং পরে তা বাংলাদেশকে ফেরত দিয়েছে। বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের জুপিটার শাখার কয়েকটি হিসাব থেকে পাচার হয়ে যায় দেশটির ক্যাসিনোতে। ফিলিপাইনের বিভিন্ন সংস্থা চুরি যাওয়া অর্থের কিছু অংশ নানাভাবে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া সেই অর্থের মধ্য থেকে ১ কোটি ৫২ লাখ ডলার ফেরত পেতে ফিলিপাইনের আদালতে বাংলাদেশের একটি আবেদন বিচারাধীন রয়েছে।

গত সোমবার চুরি হয়ে যাওয়া রিজার্ভের অর্থের মধ্যে দেড় কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশকে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ফিলিপাইনের আদালত। অবশিষ্ট অর্থও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে। ফলে চুরি যাওয়া পুরো অর্থই ফেরত আসবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে দুর্নীতি-বিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান রেডিও তেহরানকে বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক আইন-কানুন যেভাবে রয়েছে তাতে বাংলাদেশের চুরি যাওয়া রিজার্ভের অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে এ অর্থ উদ্ধারে হয়ত অনেক জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যেতে হবে এবং বেশ সময় লাগতে পারে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে যদি বাংলাদেশ ব্যাংক বা দেশের প্রভাবশালীদের কেউ জড়িত থাকে তবে সরকারকে অবশ্যই দেশ ও জনস্বার্থের বিবেচনায় তাদেরকে শাস্তি দিতে হবে।

কেউ কেউ মনে করছেন, যদি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশের সূত্র পাওয়া যায় তাহলে ফিলিপাইন, ফেডারেল রিজার্ভ বা সুইট তা থেকে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করবে। তারা বাংলাদেশের অর্থ ফেরত দিতে চাইবে না। এ বিষয়ে গড়িমসি করবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিষয়টা খুবই স্পর্শকাতর। একদিকে মানুষ জানতে চায় মূল বিষয়টা কী ঘটেছে। সেটা জানা গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সহজ হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের কেউ এর সঙ্গে জড়িত থাকলে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত পাওয়া কঠিন হবে।  এছাড়া এ বিষয়ে সিআইডি তদন্ত করছে। তাদের তদন্তেও প্রভাব ফেলতে পারে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই