তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

কাউখালীর দক্ষিন পূর্ব জোলাগাতীতে সড়কের উপরে সাঁকোই ভরসা

কাউখালীর দক্ষিন পূর্ব জোলাগাতীতে সড়কের উপরে সাঁকোই ভরসা
[ভালুকা ডট কম : ২৩ সেপ্টেম্বর]
গ্রামের নাম দক্ষিন পূর্ব জোলাগাতি। যে গ্রামের মানুষ তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তিন দিকে কাউখালী উপজেলা হলেও একদিকে ভান্ডারিয়া উপজেলার পশ্চিম ভিটাবাড়িয়া গ্রাম অবস্থিত। ওই গ্রামটিতে আজো আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। ওই গ্রামের বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌছায়নি। আজো যে গ্রামের ৮০ ভাগ মানুষ লন্ঠন (কুপি) আর হেরিকেনের ওপর নির্ভরশীল। যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত করুন।

রাস্তা নামক সমতল ভুমির ওপর সাঁকো নির্মান করে চলতে হয়। প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। কাউখালী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থিত দক্ষিন পূর্ব জোলাগাতী  গ্রামের লোক সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। ওই গ্রামে একটি বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১ টি দাখিল মাদ্রাসা একটি হাফিজি ও কওমী মাদ্রাসা, ২ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এত লোক সংখ্যা আর প্রতিষ্ঠান সমৃদ্ধ গ্রামটি যোগাযোগ ব্যবস্থা এতই করুন যা চোখে দেখেও বিশ্বাস করা কঠিন। ওই গ্রামের সামান্য ব্যস্ত পাকা থাকলেও বেশিরভাগ এলাকায় সড়কের চিহ্ন থাকলেও নেই সড়কের অবয়ব। বর্ষা ও শরৎ কালে এলাকাটি জোয়ারে তলিয়েযায় আবার ভাটায় জেগেওঠে। যে কারনে গ্রামের মূল সড়কটির গফুর মোল্লার বাড়ী থেকে দারুল উলুম কওমী ও হাফিজি মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের ওপর সাঁকো তৈরি করে চলাচল করতে হয়। অবশ্য ওই রাস্তার নমুনা থাকলেও কোন অবয়ব নেই।

দক্ষিন পূর্ব দারুল উলুম কওমী ও হাফিজি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা দিন মজুর(কাঠ মিস্ত্রী) মোঃ বেলায়েত হোসেন দুঃখ করে বলেন তার পৈত্রিক জমির ওপর একান্ত নিজের প্রচেষ্টায় মাদ্রাসা, হেবজখানা, মসজিদ ও ইয়াতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন।এলাকার মানুষের মুষ্ঠি চাল, শাক সব্জি সংগ্রহ করে, বিভিন্ন এলাকার অর্থশালী ব্যাক্তিদের কাছ থেকে ভিক্ষা এনে তা চালিয়ে রাখছেন। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনের কাছ থেকে ছেলে-পুলেদের যাতায়াতের জন্য রাস্তাাটি নির্মানের জন্য বরাদ্ধ করাতে পারেননি। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসার আগেই এলাকার মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহ করে গাছের ডালপালা, সুপারী গাছ, বাঁশ এনে সাঁকো তৈরি করা হয়। ৫০ জনের অধিক ইয়াতিম থাকলেও মাত্র ৯ জনের অনুদান পান সমাজসেবা দফতর থেকে। মানুষের দানের অর্থে মালামাল কিনে নিজে শিক্ষক মন্ডলী ও এলাকার মানুষকে নিয়ে মসজিদটি ২ তলা সম্পন্ন করে তিন তলার কাজও প্রায় শেষ করা হয়েছে। দেড় শতাধিক ছাত্রদের থাকার জন্য উপযুক্ত ছাত্রাবাস বানাতে পারেননি। মসজিদের তৃতীয় তলা করতে পারলে সেখানে হেফজখানা স্থানান্তর করতে পারলে সমস্যা অনেকটা সমাধান হবে। এজন্য কোন সরকারী সাহায্যও পাননি।

শ্রমজীবি আব্দুল মালেক বলেন এখানে চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই। যতবড় রোগই হোকনা কেন কোয়াক ডাক্তার আর ওঝা ফকিরের ওপরই নির্ভর করতে হয়। কঠিন রোগীদের বিনা চিকিৎসায়ই মরতে হয়। সমাজ সেবক মোঃ এনামুল হক বলেন এখানের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন যার তদারকী না থাকায় খেযাল খুশি মত চলে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় প্রাইমারী থেকেই অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ে। সংগত কারনেই এখানে উচ্চ শিক্ষার হার খুবই কম।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লাবনী চাকমা বলেন, যেহেতু ওই ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্ন হয়নি। কেউই ওই এলাকা সম্পর্কে তাকে জানায়নি। এত অল্প সময়ে সব এলাকা পরিদর্শনেরও সুযোগ হয়নি। তিনি শীগ্রই ওই এলাকা পরিদর্শন করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন।

বার্তা প্রেরক
সৈয়দ বশির আহম্মেদ
কাউখালী পিরোজপুর।
তারিখঃ ২৩/০৯/২০১৬ইং



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই