তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

কাউখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও শিক্ষক সংকটে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশা

কাউখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও শিক্ষক সংকটে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশা
[ভালুকা ডট কম : ২৪ সেপ্টেম্বর]
পিরোজপুরের কাউখালীতে ২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ৫টি বিদ্যালয় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ যা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জরাজীর্ণ হওয়ায় ভবনগুলো পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে গেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জোড়াতালি দিয়ে ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিকল্প ভবন কিংবা বিকল্প কোন ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ না করতে পারায় চরম আতঙ্কের মধ্যে কোমলমতিশিক্ষার্থীরা ও শিক্ষক এবং অভিভাবকবৃন্দ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতেই কার্যক্রম পরিচালনা চালিয়ে যাচ্ছে।

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে ১০ নং আমরাজুড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৩ নং গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫ নং পশ্চিম মাগুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৮ নং পূর্ব আমরাজুড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২১ নং কেউন্দিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৪ নং বাশুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৪ নং দক্ষিণ-পূর্ব জিবগা সাতুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৬ নং দক্ষিণ শিয়ালকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৫ নং কেশরতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৮ নং দত্তেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৯ নং উত্তর হোগলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৫ নং কাঠালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৯ নং জোলাগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪০ নং সাপলেজা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪১ নং দক্ষিণ-পূর্ব জোলাগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪২ নং পূর্ব শিয়ালকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫০ নং জিবগা সাতুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫১ নং মধ্য গোয়ালতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৪ নং মধ্য জোলাগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৫ নং আ: রহমান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৭ নং কাজী হারুণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬২ নং মধ্য জোলাগাতী আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬৩ নং মধ্য চিরাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোতে শ্রেনীকক্ষ সমস্যা, টয়লেট সমস্যা, এবং বর্ষার মৌষুমে জোয়ারের পানিতে মাঠ তলিয়ে থাকে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নামমাত্র সংস্কার করে কিছু বিদ্যালয় শ্রেনীকক্ষ জোড়াতালি দিয়ে পাঠদানের উপযোগী করা হলেও কিছুদিন পরে শ্রেণীকক্ষগুলো আবার পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এর মধ্যে ৪১ নং দক্ষিণ-পূর্ব জোলাগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নির্বাচনী সহিংসতার জেরে দুবৃর্ত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিলেও আজ পর্যন্ত চরম ঝুঁকিপূর্ণভবনেই পাঠদান কার্যক্রম চলছে।

শিয়ালকাঠী হাজীবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন পুকুরের সিঁড়িতে পাঠদানের পর বর্তমানে একটি টিনসেট খোলাঘরে যা সামান্য বৃষ্টিতেই বই-খাতা ভিজে যাওয়ার পর সেখানেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পাঠদান চলছে। ৬২ নং মধ্য জোলাগাতী আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের ঘরে নেওয়া হলেও স্বাভাবিক জোয়ারে পানিতেই তা তলিয়ে যায়।

এদিকে উপজেলার ৬৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ৩৬ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে উপজেলা সদরের কাছাকাছি বিদ্যালয়টি গুলোতে শিক্ষক সংকট না থাকলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশ স্কুলে চরমভাবে শিক্ষক সংকট পরিলক্ষিত হয়। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের লেখাপড়া শহরের চেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: জাবেদ হোসেন জানান, নতুন নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষক পরবর্তীতে সমাধান করা হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো দ্রুত সংস্কার করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

বার্তা প্রেরক
সৈয়দ বশির আহম্মেদ
কাউখালী পিরোজপুর।
তারিখঃ ২৪/০৯/২০১৬ইং




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই