তারিখ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁর মান্দা ও পত্নীতলায় ১৯১ মন্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

নওগাঁর মান্দা ও পত্নীতলায় ১৯১ মন্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি
[ভালুকা ডট কম : ২৬ সেপ্টেম্বর]
নওগাঁর মান্দা উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের ১১৬ মন্ডপে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৪টি মন্ডপকে অধিক ঝুকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে পূজা উদযাপনের লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এদিকে মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। পূজা আসন্ন হওয়ায় প্রতিমা শিল্পীরা চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করতে তারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

সোমবার উপজেলার কয়েকটি মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, বাঁশের কাঠামোতে একমাস আগেই মাটি লাগানোর কাজ শেষ করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় তাতে মাটির প্রলেপ দেয়ার কাজ করছেন শিল্পীরা। তবে একজন প্রধান শিল্পী একাধিক মন্ডপে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় একটু আগে থেকেই কাজ গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন তারা। এরপরও শেষ মুহুর্তে এসে তাদের চরম ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় বলে জানা গেছে।

প্রসাদপুর বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে গিয়ে দেখা গেছে দু’জন শিল্পী প্রতিমার গায়ে মাটির প্রলেপ দেয়ার কাজ করছেন। এরা হলেন প্রল্লাদ কুমার পাল ও বৈদ্যনাথ কুমার পাল। প্রল্লাদের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা ও বৈদ্যনাথের বাড়ি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলায়। এরা মাসিক চুক্তিতে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। তারা জানান, প্রতিমা তৈরির সকল উপকরণ মন্ডপ কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করে থাকেন।

শিল্পী প্রল্লাদ কুমার পাল জানান, তাদের মালিক সুশীল চন্দ্র পাল এবছর ১৮টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছেন। রাজশাহী মহানগরের মিশন মন্দিরে ৪০ হাজার ও প্রসাদপুর সার্বজনীন দুর্গামন্দিরে ৩৫ হাজার টাকায় প্রতিমা তৈরির কাজে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মালিক সুশীল চন্দ্র। এসব মন্দিরে পূজা শুরুর আগেই প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে ছয়জন কর্মচারি দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন শিল্পী প্রল্লাদ কুমার পাল।   

উপজেলার এনায়েতপুর হিন্দুপাড়া দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়েছেন সুবাস চন্দ্র নামে এক শিল্পী। এছাড়া নওগাঁ জেলা প্রশাসন আয়োজিত মন্ডপেও প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি। এ মন্দিরে তিনি ২৫ হাজার টাকার চুক্তিতে কাজ নিয়েছেন। একই কাজের জন্য তিনি আরো ৯টি মন্দিরে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

উপজেলার পাঁজরভাঙ্গা গ্রামের সুরেশ চন্দ্র মহন্ত মিষ্টি তৈরি ও বিক্রি প্রধান পেশা হলেও দীর্ঘদিন ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করে আসছেন তিনি। দুর্গাপ্রতিমা ছাড়াও বছরের অন্য সময় বাড়িতে বসেই লক্ষ্মী, স্বরসতীসহ বিভিন্ন প্রতিমা তৈরি করে থাকেন। এবারে তিনি বেশকয়েকটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা মজুরিতে এসব মন্ডপে কাজ করছেন তিনি। একাজে সহযোগিতা করছেন তার ছেলে সুমন কুমার মহন্ত ও গৌর নামে একব্যক্তি।

এদিকে আসন্ন দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষে সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান খানের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম আহসান হাবীব, জামিলা আক্তার ফেন্সি, মান্দা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক খান, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ভাস্কর চন্দ্র মন্ডল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক প্রবীণ কুমার দাস, যুগ্ম আহবায়ক অনুপ কুমার মহন্ত, ইউপি চেয়ারম্যান নওফেল আলী মন্ডল, বেলাল হোসেন খান, আব্দুর রব পিন্টু, ইয়াচিন আলী রাজাসহ মন্ডপ কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পদকরা উপস্থিত ছিলেন।  

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, উপজেলায় এবছর ১১৩টি মন্ডপের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে শেষ মুহুর্তে মন্ডপের সংখ্যা আরো দু’একটি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবারে ৪৪টি মন্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৫০টি মন্ডপকে গুরুত্বপূর্ণের তালিকায় রাখা রয়েছে। পুজা শুরু হলে এসব মন্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে তিনি জানান।

অপরদিকে আসন্ন শারদীয় দূর্গাপুজা সুষ্ঠু ভাবে উদযাপন উপলক্ষে পত্নীতলায় উপজেলা প্রসাশনের আয়োজনে সোমবার উপজেলা অডিটরিয়াম হলরুমে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব ইছাহাক হোসেন, উপজেলা পূঁজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক নির্মল কুমার ঘোষ, সদস্য সচিব গৌতম দে, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার সাইদুর রহমান, পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দীন, পত্নীতলা প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরী, দিবর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ, পিযুষ রঞ্জন দাস।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার অন্যান্য ইউপি চেয়ারম্যান, পূজা উদযাপন কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ, সূধীজন প্রমূখ।এবারে নজিপুর পৌসভা সহ উপজেলায় ৭৫টি পুজা মন্ডবে শারদীয় দূর্গাপুজা উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানাগেছে। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

বিনোদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই