তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

অসময়ের স্বাদের লাউ গৌরীপুরে বদলে দিলো অর্ধশত কৃষকের জীবনচিত্র

অসময়ের স্বাদের লাউ গৌরীপুরে বদলে দিলো অর্ধশত কৃষকের জীবনচিত্র
[ভালুকা ডট কম : ১০ অক্টোবর]
সুস্বাদু সবজির মধ্যে লাউ অন্যতম। এ সবজির গুনের কথা উঠে আসে জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা’র কন্ঠেও। তবে এবারের স্বাদের লাউ বানায়নি বৈরাগী।ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বদলে দিয়েছে অর্ধশত কৃষক পরিবারের জীবনচিত্র। বীজ ও সারের সহজলভ্যতায় স্বল্প সময়ে এবারের বর্ষায় লাউয়ের বাম্পান ফলন হয়েছে। অধিক মূল্য পেয়ে কৃষকের মুখে ফুটেছে রঙিন হাঁসি।

এক সময় শুধুমাত্র শীতকালীন সবজি হিসাবে পরিচিত ছিলো লাউ! দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে কৃষি গবেষণার মাধ্যমে এ সবজি এখন বর্ষাকালেও চাষ হচ্ছে গৌরীপুরে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাদিকুর রহমান জানান, এ মৌসুমে ১২.৫ একর জমিতে ৫৮জন কৃষক লাউ চাষ করেন। অনুকূল আবহাওয়া, সঠিক সময়ে বীজ ও সার প্রয়োগ, কৃষি বিভাগের নিয়মিত তদারকিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। আনসিজনে হওয়ায় ভোক্তাদের মাঝে ক্রয়ের আগ্রহ বাড়ায় দাম বেড়েছে। স্বল্প সময়ে অধিক লাভের কারণে বাড়চ্ছে লাউ চাষ।

একখন্ড জমিতে লাউ করেন হাবিব উল্লাহ। মাচায় লাউ, মাটির নিচে বাড়ছে মুখী আর মুখী গাছের ফাঁকেফাঁকে নানা সবজি। তিনি উপজেলার তাতিরপায়া গ্রামের জাহেদ আলীর পুত্র। এলাকায় আদর্শ কৃষক। শীতকালে হাইব্রিড জাতের লাউ চাষ করে তাক লাগিয়ে দেন। লাউয়ের ভারে মাচাটা নুয়ে পড়ছে। অসময়ে লাউ ক্রেতা পেয়ে খুবই খুশি, দামও বেশি বলে জানান কৃষক হাবিব উল্লাহ। থাকতেন খড়ে ঘরে। ৪/৫বছর ধরে লাউ চাষ করে সংসারে এনেছেন স্বচ্ছলতার ঝিলিক। বদলে গেছে খড়ের ঘর, বানিয়েছেন টিনের ঘর। তিনি জানান, দুই মেয়ে জাহানারা বেগম ও ইয়াসমিন আক্তারের বিয়ে দিয়েছি। ছোট মেয়ে শারমিন আক্তার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। আর একমাত্র ছেলে আলম ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করে। সব মিলিয়ে আমরা এখন সুখী।

তিনি আরও জানান, ১০শতাংশ জমিতে ১৬হাজার টাকার বিক্রি হয়েছে আরও ৬/৭হাজার টাকার লাউ বিক্রি করা যাবে। শাক বিক্রি হয়েছে ১৭০০টাকার। রামগোপালপুর ইউনিয়নের আব্দুল বারেক, ডৌহাখলার নবী নেওয়াজ, আব্দুস সাত্তার, নওয়াব আলী, ভাংনামারী ইউনিয়নের খালেদ মিয়া, রফিকুল ইসলাম, গৌরীপুর ইউনিয়নের আঃ মোতালিবের ঘরেও স্বাদের লাউ এনে দিয়েছে স্বচ্ছলতার এক ঝিলিক হাঁসি। তাইতো কবি গিয়াস উদ্দিনের সেই কথা ‘লাউয়ে এতো মধু জানিগো যাদু, এতো মধু গো, লাউ ধরলাম সংগের সংগী’। হয়তো বিখ্যাত গানের সেই লাইন বদলে আজকে হয়ে যেতো ‘স্বাদের লাউ বানাইনো মোরো স্বাবলম্বী, লাউয়ের আগ খাইলাম ডুগা খাইলাম, লাউ বেইচ্চা বানাইলাম টিনের ঘর-বাড়ি, লাউয়ের এতো মধু জানে গো জাদু, লাউ হলো কৃষকের সঙ্গের সঙ্গী’।

গৌরীপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ সাদিকুর রহমান বলেন, একই জমিতে দুই বা ততোধিক ফসল চাষাবাদের পদ্ধতিকে আন্তঃফসল চাষ বলা হয়। কৃষক হাবিব উল্লাহ এলাকার মডেল কৃষক। তাকে দেখে আশপাশের কৃষকরাও শাক-সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই