তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরের পাঁচটি ইউনিয়ন হাসপাতালেই মেডিকেল অফিসার অনুপস্থিত

গৌরীপুরের পাঁচটি ইউনিয়ন হাসপাতালেই মেডিকেল অফিসার অনুপস্থিত
[ভালুকা ডট কম : ১০ অক্টোবর]
বয়সের ভারে ন্যুজ্ব ভাঙ্গুরহাটির মাহের উদ্দিন (৯৮)। ৩ কিলোমিটার হেঁটে, ঘাম জড়িয়ে পেলেন ২টি প্যারাসিটাল ট্যাবলেট। মেডিকেল অফিসার নেই, মাথা আর পেট ব্যথা নিয়ে আসা মানুষটি তাও ২টি ট্যাবলেট দিলেন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম। এটি হাসপাতাল? তবে বাহির থেকে দেখলে মনে হবে গো-চারণ ভূমি! এ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আসেন প্রতি সোমবার, সেবা দেন এক ঘন্টা।

সূত্র জানায়, এ ডাক্তার প্রতি মাসে বেতন পান প্রায় ৩৬হাজার টাকা। সেবানুযায়ী সরকারের কোষাগার থেকে প্রতি ঘন্টায় নিচ্ছেন প্রায় ৯হাজার টাকা। এটি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়ন হাসপাতালের চিত্র। উপজেলার অচিন্তপুর ও সিধলা ইউনিয়ন হাসপাতালে মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য।

এলাকাবাসী আরো হতাশ করে অচিন্তপুর ইউনিয়ন হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম। রোববার (২ অক্টোবর/১৬) সকাল ৯টা ৩৫মিনিটে চিকিৎসা নিতে আসা অচিন্তপুর গ্রামের সখিনা খাতুন (৫০) গাছের গোড়ায় ঠাঁই মিলেছে। সকাল ১১টা ১৭মিনিটে হাসপাতালের দরজা খুলেন স্বল্প বেতনের খান্দার গ্রামের বকুল আক্তার। দুপুর ২টা পর্যন্ত অসংখ্য মানুষ চিকিৎসা নিতে এলেও মেডিকেল অফিসারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। প্রতিটি রুমে তালা ঝুলছে। হাসপাতালের ভিতরে পরিত্যক্ত ভবনে ৬/৭জন যুবকের চলছিল গাঁজা সেবন। এ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য। সেবা বঞ্চিত হচ্ছে লাখো মানুষ।অনুরূপ দৃশ্য দেখা যায় রামগোপালপুর হাসপাতাল। মেডিকেল অফিসারের দেখা মিলে কম। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হামিদুর রহমানই ইউনিয়নবাসীর একমাত্র ভরসা। মেডিকেল অফিসার কখন আসবেন তা কেউ বলতে পারেননি।

সিধলা ইউনিয়ন হাসপাতালে গেলে কথা হয় সিধলা বারআনির আব্দুল কদ্দুসের স্ত্রী নুর জাহান (৪৩), বালিজুড়ির আবুল কাসেম (৩৮), আইনাল হকের স্ত্রী কুলসুম আক্তার (৩৮) তারা জানান, এ ইউনিয়নে মেডিকেল অফিসার কে তারা চিনেন না। কবে আসে তাও জানা নেই। দৈনিক যুগান্তরে ২১মার্চ/১৬ ‘গৌরীপুরে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এমএলএসএসই ডাক্তার!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ইমান আলীকে সরিয়ে আনোয়ারা বেগম শিল্পীকে পদায়ন করা হয়। তবে রোববার (২ অক্টোবর/১৬) ইমান আলীকে নতুন কর্মস্থল অচিন্তপুর ইউনিয়ন হাসপাতালেও পাওয়া যায়নি। ইউনিয়ন হাসপাতালে ডাক্তার আর কর্মচারীদের হাজিরা খাতা দেখাতে কেউ রাজি হননি।

অচিন্তপুর হাসপাতালের বকুল আক্তার জানান, এসব খাতায় স্টিলের আলমারীতে তালাবদ্ধ আছে। রুমের চাবি আছে, আলমারীর চাবি নেই তাই দেখানো সম্ভব নয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এনামুল কবীর জানান, মেডিকেল অফিসার ইউনিয়ন হাসপাতালে সপ্তাহে কমপক্ষে ২দিন যাবেন। উপজেলা হাসপাতালে ডাক্তার সংকট থাকায় তারা এখানে ডিউটি করতে হচ্ছে। সেবা কার্যক্রম সমন্বয় করা হয়েছে। তবে কারো গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই