তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আর কত দূর.........? পর্ব -০১

আর কত দূর.........? পর্ব -০১
[ভালুকা ডট কম : ২১ অক্টোবর]
সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আমাদেরএই বাংলাদেশ। এমন সবুজাভকার্পেট মোড়ানো দেশ বিশ্বে আর একটিও নেই।ঋতুপতি বাংলা। ষড়ঋতু, বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। স্নেহ, মায়া, মমতাময়এই বাংলার বাসিন্দা। অতিথি পরায়নতায় বিশ্বেঅদ্বিতীয় এই বাংলার জনগন। সংগ্রামী এই বাংলা, বাঙ্গালি বীরের জাতি। এত রক্ত, এত সমভ্রম, দিয়ে অল্প সময়ে দেশ স্বাধীন করার ইতিহাস একমাত্র বাঙ্গালি জাতিরই আছে। স্বপ্নেরবাংলা সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হবে যদি আমরা আমাদের কাজ আর কর্ম পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসি। বিশ্বের অনেক পরিবর্তন আমরা দেখেছি। বিশ্ব রাজনীতি থেকে শুরু করেজলবায়ু, ওজনস্তর, আবিষ্কার, যুদ্ধেরকলাকৌশল, দেশের মানচিত্র এমনকি ধর্মীয়রীতিনীতির পরিবর্তন ও আমরা দেখেছি। বিশ্বপরিবর্তনের দিকে যাব না । আমি আমার প্রিয়মাতৃভূমি বাংলাদেশের কিছু পরিবর্তনের কথা বলব যা আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত।

যুব সমাজ
"তুমি কী দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়? দূখের দহনে করুন রোদনে তিলে তিলে তার ক্ষয়, তিলে তিলে তার ক্ষয়।আমি তো দেখেছি কত যে স্বপ্ন মুকুলেই ঝরে যায়...........বাজে কত সুর বেদনার।ধরনীর বুকে পাশাপাশি তবু কেউ বুঝি কারো নয়-শিল্পী আবদুল জব্বার এর কন্ঠে সেই হৃদয় ছোঁয়াগান। আপনারা যারা আজ স্বপ্নের শিশুকাল পেরিয়ে যুবক। পরিবর্তন আর পরিবর্তন দিয়েই এই সময় আর্বতন করে। আশা, নিরাশা, হতাশা, পাওয়া, না পাওয়া, সবকিছু আবর্তন করে এই বয়সে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহপাঠীদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারায় একধরনের হতাশা কাজ করে। সমবয়সী কেউ বৈধ বা অবৈধ পথেটাকার মালিক হয়ে গেল, এখানেও একধরনেরহতাশা কাজ করে। বাবা - মা’র মধ্যে সুসম্পর্ক নাথাকাও একধরনের হতাশা কাজ করে। আবারঅনেকেই ভাল ছাত্র, চেহারা ছবি ভাল, হুরপরির প্রতি একটু আকর্ষন বেশী, একদিন হুরপরি ও জুটে যায়। স্বপ্নের নাটাই এ স্বপ্নিল ঘুরি উড়াই নীল আকাশে। কিন্তু একদিন নাটাই ছিড়ে ঘুরিযখন দূরে চলে যায়, তখন! না পাওয়ার বেদনাহতাশ হয়ে পড়ে। এরপরে দেখা যায় ---সংসারে অভাব এলাকার বড় ভাইয়ের সাথে ঘুরলে কিছু টাকা পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে মিছিল মিটিং এ গেলে ভাল টাকাও পাওয়া যায়আবার পরিচিতি ওঘটে।পড়ালেখা তো কষ্টকর।মন ও বসেনা। এই শেষ! হতাশার শুরু।নির্বাচনের সময় টাকাও পাওয়া, ভাল খাবার তোপাওয়াই যায় তার উপর আবার দামী সিগারেট।আমি আপনাদের বলি " অর্থ ক্ষনস্থায়ী, সম্মান সৃষ্টিকর্তার হাতে, প্রেম ভালবাসা চোখে ক্ষুধা --এসবই ক্ষনস্থায়ী। জ্ঞান অর্জন এর কোন ওয়ারীশদার নেই। পৃথিবীতে যারা কিছু করতে পেরেছে বা পৃথিবীর মানব সেবায় কিছু দিতে পেরেছে, এ সবই সম্ভব হয়েছে শিক্ষাদ্বারা। তাইবলি -- অর্থের মোহে না পড়ে, জীবনটাকে ছোট মনে না করে, কারো স্বার্থ আদায়কারী না হয়ে বাকারো হাতের পুতুলে পরিনত না হয়ে, আপনার জীবন আপনারই, গড়তেও হবে আপনাকেই এই ব্রত নিয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওন। কবি নজরুলেরমত বলুন " বল বীর! বল উন্নত মমশীর!

পাপুয়ানিউগিনি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা যেখানে আমাদের দেশের গর্বিত সেনাবাহিনী জাতিসংঘের অধীনে শান্তি রক্ষীবাহিনী হিসেবে কাজ করে। এ দেশ গুলি খনিজ সম্পদে ভরপুর।যে পরিমান স্বর্ণ খনি এ দেশগুলিতে আছে তারা ইচ্ছে করলেই যে কোন উন্নত দেশের সাথে তালমিলিয়ে চলতে পারে। তাহলে এদের না খেয়ে, না মরা, না বাঁচা অবস্থায় জীবনযাপন করতে হয় কেন? দেশের খনিজ সম্পদ রাত দিন গাধার মতপরিশ্রম করে তুলে দিচ্ছে অন্য দেশের হাতে। বিনিময়ে পাচ্ছে মদের বোতল আর নারী।আবার তারাই গ্রুপে গ্রুপে বা নিজেদের মধ্যেইচলছে গৃহযুদ্ধ। আরো অনেক কিছু। এতদূর যাওয়া যাবে না। আমি উদাহরণ টানলাম এ কারনে যে, বিশ্ব রাজনীতি এমন একটা বিষয় যাশুরু হয় কিন্তু শেষ হয়না। এই নোংরা রাজনীতিরশুরু যুব সমাজকে নিয়ে আবার শেষও করে যুবসমাজকে ঘিরেই। কিছুদিন আগে গুলশানে বাশোলাকিয়ায় যে যুবকেরা ইতিহাসের নির্মমতারস্বাক্ষী হলো। এরা তো এমন হওয়ার কথা নয়। মা-বাবা কত আদর করে, কত অর্থ খরচা করে, ছেলে মানুষ হয়ে দেশের সেবা করবে, কত স্বপ্ন,নিয়ে ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়ালেন। সবকিছুই ধূলিস্বাৎ হলো কেন? একেই বলে Breinwash বা মাথা ধূলাই। বিশ্বজিৎ বা খাদিজাএদের নির্মম হত্যাকান্ড কারা ঘটাল। এই যুবসমাজ। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকলশিক্ষার্থীদের হাতে বই কলম থাকার কথা তাদেরএকাংশের হাতে দা, কিরিচ বা পিস্তল কেন? এটাই Breinwash. এই যুব সমাজ মনোযোগীহয়ে শুন, তোমাদের হাতে এই দেশ পরিচালিত হবে। তোমরাই হবে সোনার বাংলা গড়ার কৃষক, শ্রমিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী বা রাজনীতিবিদ। তোমাদের বিবেক শক্তিকে জাগ্রত কর। কেহ যেন তোমাদের মাথা ধূলাই করতে না পারে। বিড়ি, সিগারেট বা নেশাজাতিয় কোন কিছুর অভ্যাস থাকলে নিজে ত্যাগকর অন্য বন্ধুদের ত্যাগ করতে বল। দেখবে কততাড়াতাড়ি হাসিতে খুশিতে, সুখে সম্বৃদ্ধিতে ভরেউঠে আমাদের সোনার বাংলা। নিরাশ হইওনা।ফররুখ আহাম্মদ হয়ত তোমাদের উদ্দেশ করেবলেছেন " দূর্গম গীরি, কান্তার মরু, দুস্তর পারাবার।লঙ্গিতে হবে রাত্রি নিশিতে, যাত্রীরা হুশিয়ার "।

আমাদের চিকিৎসা
মৃত্যুর তিলক ললাটিকা নিয়েই প্রত্যেকটি প্রাণির জন্ম। আজ যে শিশুটির জন্ম তার মৃত্যু ও একদিন হবেই। মাঝখানে সময়ের ব্যাপ্তি। মানুষ মারা যাবে এটাই স্বাভাবিক আর বেঁচে থাকাটাই অস্বাভাবিক। এই অস্বাভাবিকতা আর সময়ের ব্যপ্তিকালে প্রত্যেকটি মানুষ কোন না কোন রোগ শোকে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আর এ জন্য প্রয়োজন হয় Doctor, Hospital, Diagunistic center অথবা clinic. মানব সেবার মহান ব্রত নিয়ে যারা সেবা দেন তাঁরা আমাদেরকে পাঠান Diagunistic center এ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য। এই পরীক্ষণের উপর ভিত্তি করে একজন Doctor চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। অসুখ তো সারে না। আবার যান , আবারো পরীক্ষা। আবার একই নিয়মে Prescription. রোগ তো সারে না। এরপরে আরো বড় Doctor, বড় Hospital ধারাবাহিকতা একই। গ্রামে একটা প্রবাদ আছে "হিলে পাডায় ঘষাঘষি, মরিচের দফা শেষ"। অর্থাৎ রোগী শেষ। এখন প্রশ্ন বড় বড় Doctor যে সব Diagunistic center এর উপর নিভর করে Prescription করেন এতে তো আপনাদের দূর্নাম হচ্ছে পাশাপাশি রোগী ও অক্কা পাচ্ছে। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচা করে দেশের মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্যে। জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষনে সবচেয়ে আপনজন একজন Doctor. আর একেকজন Doctor তৈরীর পিছনে সরকরের Investment অনেক। তাহলে! রোগী সুচিকিৎসা পাবেনা কেন?

এখানে আমার কিছু কথা আছে ----
# Medical college গুলোতে পাঠদানের পাশাপাশি হাতেকলমে Diagunistic শিক্ষা দিতে হবে। প্রতিজন Doctor তাঁর বিষয়ের উপর নিজেই Diagunosis করবেন। Interni তেও এক বছর Diagunistic এর উপর পড়তে হবে।

# Medical এ ভর্তি পরীক্ষা হবে চার ধাপে--
* সরকারি Medical college এর সীট অনুযায়ী বোর্ড পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১ম হতে সীট এর অতিরিক্ত পাঁচ সহস্রাধীকশিক্ষার্থী নিতে হবে। এটা হলো ১ম বাছাই।
* দুইশত নম্বরের IQ Test হবে। ১০০ নম্বর হবে Besic subject এর উপর আর ১০০ নম্বর হবে General knowledge এর উপর।
* ৩০০ নম্বরের Written হবে। বিষয় ভিত্তিক।
* এরপর মনত্বাত্ত্বিক, ভ্রমন, শারীরিক, পারিবারিক ইত্যাদি বিষয়ে ১৫ দিন ব্যাপী কর্মশালা হবে। এরপর ভর্তির অনুমতি পাবে।

বেসরকারি Medical college গুলি সরকার নিয়ন্ত্রনাধীন থাকবে। আসন সংখ্যা থেকে শুরু করে শিক্ষক, আবকাঠামোগত সকল দিক সরকারের নজরধারীতে থাকবে। সরকারী বা বেসরকারি হাসপাতাল ব্যাতিত অন্য কোথাও কোন প্রকার Diagunistic center থাকবেনা। কোন clinic থাকবে না। clinic এর সুবিধাদি বেসরকারি Hospital গুলি দিবে। প্রতিটি সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে অত্যাধুনিক ডায়াগনোসিস কেন্দ্র থাকবে। সরকার যন্ত্রপাতীর মান পর্যবেক্ষণ করবে। কোন ঔষধের দোকানদার prescription ছাড়া কোন প্রকার ঔষধ দিতে পারবেনা। সরকারী বা বেসরকারি হাসপতালের ডায়াগনোসিস যদি ভুল বা ব্যতিক্রম ধরা পরে তাহলে রোগীর টাকা জরিমানাসহ ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে এবং যে Doctor ডায়াগনোসিস করবে তাকে আরো প্রশিক্ষণের জন্য বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে সকল সুবিধা সহ একটি " ইউনিয়ন সরকারী হাসপাতাল" থাকবে। প্রতিটি হাসপাতাল তিন শিফটে চলবে।

আমি আমার লেখায় Hospital এবং Students যোগ্যতা সম্পর্কে বলেছি। আজ আমার কিছু শংকার কথা বলি -----গত রমজান মাসের ২৭ তারিখ আমি অসুস্থ হয়ে আমাদের দেশের নামকরা একটি ক্লিনিকে একজন নামীদামী ডাক্তার মহোদয়ের স্বরণাপন্ন হলাম।তিনি যথাযথ নিয়মে কতগুলো পরীক্ষা দিলেন এবং ঐ পরীক্ষার আলোকে বেশ কিছু ঔষধ ও দিলেন। খেয়ে যেতে থাকলাম, কিন্তু আমার কাছে মনে হলো রোগ সারছেনা। তারপর এক বন্ধুর পরামর্শে ওহফরধ তে গেলাম। আমাদের দেশের মত একই নিয়মে তাঁরাও পরীক্ষা দিল ঔষধও দিল। মনে হয় দুই দিন ঔষধ খাওয়ার পর সুস্থতা বোধ করতে লাগলাম। সবচেয়ে অবাক হলাম চেন্নাই, বেলুর, কোলকাতার Hospital গুলোতে বাংলাদেশের রোগী দেখে। প্রায় অধীকাংশ রোগী বাংলাদেশী। আমার প্রশ্ন আমাদের দেশে নামীদামী ডাক্তার আছেন কিন্তু এই ডায়াগনোসিস এর কারনে যে পরিমান রোগী কষ্ট পাচ্ছন, আর যে পরিমান অর্থ খরচা করছেন, পরিনতি রোগী আরও রোগী হচ্ছেন, এটা কি আমাদের ডাক্তার সমাজ গভীর ভাবে উপলব্ধি করার বিষয় নয়? আজ দেখি অনেক দেশ পরিচালক বা দেশের গুরুত্ব পূর্ণ স্থানে যারা অধীষ্ঠিত বা টাকাওয়ালা সবাই ছুটছেন সিংগাপুর না হয় অন্য কোন দেশে।

দেশের জনগন? তাহলে এটা কি এমন হয়ে গেল যে " নিজে বাঁচলে বাপের নাম "। আমি আমাদের দেশের মহান পেশায় যারা বিয়োজিত আছেন আমাদের ডাক্তার সমাজ, আপনাদের বিনীত ভাবে বলছি ডায়াগনোসিস এ রোগী পাঠানোর আগে যন্ত্র পাতি ঠিকঠাক আছে কিনা নিজে ভালভাবে জেনে তারপর রোগী পাঠান। কে ডায়াগনোসিস করছে তাও জানা উচিৎ।
নইলে অল্পকিছু দিন পর জনগন নিয়েই থাকতে হবে এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা। সরকার বাহাদুর যদি সকল ক্লিনিক মালিকদের একসাথে করে ক্লিনিক ব্যবসা বাদ দিয়ে অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে অত্যাধুনিক হাসপাতাল করার সুযোগ করে দেন। এটাও মন্দ হবেন প্রতিটি শহরের আনাচে কানাচে শুধু ক্লিনিক আর ক্লিনিক। এগুলো চালাই কে বা চলে কিভাবে? দেখা উচিৎ। অপারেশন এর পূর্বে রোগীর অভিভাবকদের কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে রোগী OT তে ঢুকান। রোগী মারা গেলে কিছুই করার থাকেনা। রোগী OT তে ঢুকানোর পূর্বে কতজন ডাক্তার, কতজন নার্স, সার্জারি কে করবেন, মেডিসিনের কোন ডাক্তার থাকবেন, এ্যানেসস্থেসিয়া কে করাবেন এ সম্পর্কীয় সকল বিষয় রোগীর অভিভাবকদের লিখিত দিতে হবে। কোন ফার্মেসীতে কোন ডাক্তার বসতে পারবেন না। বিজ্ঞ মহল এখুনি এই বিষয় গুলি নিয়ে ভাবা উচিৎ । ঔষধ বাজারজাত হয় আর ফার্মেসী গুলি হতে রোগী ঔষধ কিনে খায়। কি খাচ্ছে, কি দিচ্ছে ফার্মেসী ওয়ালা যেন দেখার কেউ নাই। ঐ দিন একলোক বলল মিটফোর্ড যাবেন যে ঔষধ চাইবেন আধা ঘন্টার মধ্যে পেয়ে যাবেন। সেটা বিদেশী হলেও। বললাম কিভাবে? সে বলল " স্যার, জিন্জিরাতে জাপানী পাটর্স বানাতে কতসময় লাগে, তার চেয়েও কম সময় লাগে ঔষধ তৈরী করতে "। বেশ! বিজ্ঞ মহল, যারা দেশকে ভালবাসেন, দেশের মানুষকে ভালবাসেন। তাদের এখুনি বিষয় গুলি দেখা উচিৎ।

ভালবাসা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন "সখি ভাবনা কাহারে বলে, সখি যাতনা কাহারে বলে?তোমরা যে বল দি-ব-স রজনি ভালবাসা, ভালবাসা। সখি ভালবাসা কারে কয়? সে কী কেবলি যাতনাময়?তাহলে আমরা এটাকে অনুভূতি বা আবেগীয় বিষয় হিসেবে মনে করব?ধরে নিলাম এটা একটা আবেগীয় বিষয়। হেলেনের জন্য ট্রয় নগরী ধবংশ হলো। লাইলীরজন্য মজনু পাগল হলো বা শিরির জন্য ফরহাদ।সম্রাট শাহজাহান তো তাজমহল তৈরী করে ফেলল।এটা আবেগীয় বিষয় বুঝাই যায়। বুঝতেপারা আর না পারা এটাও কি তাহলে আবেগীয়বিষয়? গোলমেলে হয়ে যাচ্ছে। না! এ বিষয় নিয়ে লেখা মনে হয় আমার ঠিক হচ্ছে না। তবু ওমনের আবেকটা প্রকাশ করি। যা হউক এখানে একটা শব্দ পেলাম প্রকাশ করা। তাহলে আবেগের বহি:প্রকাশই কি ভালবাসা? যদি তাই-ই হয় তবে তো মানব জীবন পুরুটাই আবেগেরসাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। বুদ্ধি, বিবেক এরা কোথায়? এরা কি আবেগের সাহায্যকারী। মানুষের প্রয়োজনে একজন বিজ্ঞানী বৈজ্ঞানিকযন্ত্রপাতি আবিষ্কার করেন। এখানেও আবেগ। বুদ্ধি তার সহায়ক। চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে শুরু মানুষের প্রয়োজনে অদ্যাবধি যা আবিষ্কার সবইপূর্বলক্ষন আবেগ। বুদ্ধি সহায়ক। মানুষ হাসে, মানুষ কাঁদে এটাও আবেগের বহি: প্রকাশ। আমার মনে হয় বিজ্ঞানিদের আবেগ নিয়ে কাজকরা উচিত। পরিমাপ যন্ত্র, মেডিসিন, ইত্যাদি।যদি আবেগ নিয়ন্ত্রন করা যায় তা হলে দেখবেনযুদ্ধ, সামাজিক অপরাধসহ কোন অপরাধ কোনদিনই হবেনা। চোর চুরি করবেনা, ডাকাতডাকাতি করবেনা, যুদ্ধবাজ আর যুদ্ধ করবেনা।নেশাগ্রস্ত মানুষও আর নেশা করবেনা। অর্থাৎআবেগ নিয়ন্ত্রন মানে শান্তি। এখানে একটু লক্ষকরুন--আবেগের বহি: প্রকাশ ভালবাসা আবারআবেগের নিয়ন্ত্রন হলো শান্তি।যুদ্ধ, যেকোন ধরনের অপরাধ এক সময় থাকবেনা। তখনভালবাসা শান্তিতে রূপান্তরিত হবে। চলবে...

লেখক
মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক তালুকদার
প্রধান শিক্ষক
গোয়ারী ভাওয়ালিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়
ভালুকা, ময়মনসিংহ।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কলাম বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই