তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

পত্নীতলার কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটল,পাঠদান বিঘ্নিত

পত্নীতলার কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটল,পাঠদান বিঘ্নিত
[ভালুকা ডট কম : ২৩ অক্টোবর]
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ৫৫নং কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নানামুখি সমস্যায় জর্জরিত। বিদ্যালয়টিতে পুরানো ভবনের ৪টি শ্রেণিকক্ষে চলছে ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষাদান। বর্তমানে একটি শ্রেণি কক্ষ বেশি ঝুঁকি থাকায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখে ও বিদ্যালয় কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, এই বিদ্যালয়টিতে উপজেলার একমাত্র বর্তমানে ১ম শ্রেণি হতে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস ২০১২ সাল থেকে চালু আছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ মোট ১২ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ৬টি ক্লাস হয় ও ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ১৪টি ক্লাস হয় প্রতিদিন। ২০০৮ সালে পুরানা ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও পরে কিছু সংস্কার করে আবারো ক্লাস চালু হলেও বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করছেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের স্কুলটা মেরামত করা দরকার। ভাঙা-চোরা স্কুলে পড়তে ভালোলাগে না। সবার স্কুল পাকা আর আমাদের স্কুলটা ভাঙ্গা। সামান্য বৃষ্টিতেই ক্লাসরুমের ভিতরে ছাদ চুয়ে পানি পড়ে ও আমরা ভিজে যাই। মাঝে-মধ্যেই ছাদ ও দেওয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ে। এতে ক্লাস চলাকালীন মেডাম ও স্যারেরাসহ আমাদের (শিক্ষার্থীদের) মধ্যে অনেকেই আহত হয়েছেন একাধিকবার।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহের নীগার জানান, বর্তমানে পুরানা ভবনের ৫টি কক্ষের মধ্যো ৪টি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর নতুন ভবনের ৫টি কক্ষের মধ্যে ৪টি শ্রেণি কক্ষ ও একটি অফিস কক্ষ। বিদ্যালয়টি ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু বর্তমানে ওই পুরানা ভবনের ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ছে ও সামান্য বৃষ্টিতেই পানি চুয়ে পড়ে। এখন রড ও খুয়াসহ বড় বড় পলেস্টারের খণ্ড খসে পড়ে। এতে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর পরও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিদ্যালয়টি আত্রাই নদী সংলগ্ন হওয়ায় কমলমতি শিশুরা নদী দেখতে অনায়াসেই চলে যান। এতে শিশুদের প্রাণ নাশের ভয় রয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের মাঠের উপর দিয়ে নদীতে সকল প্রকার মানুষ চলাফেরা করে থাকেন। তাই বিদ্যালয়ের সীমান প্রাচীর নির্মাণ জরুরি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট একাধিকবার লিখিতভাবে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আব্দুল মালেক জানান, বিষয়টি অবগত। তবে, সরকারি তহবিল বা বরাদ্দ এলেই সংস্কার করা হবে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ মো: শহিদুজ্জামান সরকার বাবলু বলেন, সরকারিভাবে পর্যায়ক্রমেই সংস্কার করা হবে। #




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই