তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আর কত দূর.........? পর্ব -০৪

আর কত দূর.........? পর্ব -০৪
[ভালুকা ডট কম : ২৫ অক্টোবর]
বিভ্রান্তি:
রাত তখন সম্ভবত ১২.৩৫ বা ১.২৫ এরকম। ঘুম ঘুম ভাব। পাশে স্ত্রী। এমন সময় মোবাইল ফোনে রিং। মোবাইল ফোনটা স্ত্রী -ই এগিয়ে দিয়ে " এই নাও তোমার ফোন "। দেখলাম অপরিচিত একটা নাম্বার। এত রাতে অপরিচিত নাম্বার ধরব কিনা, ভাবতে ভাবতে ফোনটা কেটে গেল। ভাবলাম ভালোই হয়েছে। না যা ভেবেছিলাম তা নয়, আবারো রিং। মোবাইল ফোনটা ধরে আমি সালাম দেওয়ার আগেই " এই সাহেব বিয়ে করার সময় তো ডেং ডেং করে পিছে পিছে ঘুর ঘুর করেছ, এখন সংসার চালাতে এতো অজুহাত কেন? কালকে দশ হাজার টাকা না পাঠালে খবর করে ফেলব। আমি মিসেস এর একটানা কবিতার ফাঁকে বহুবার চেষ্টা করলাম আমার পরিচয় দান করার জন্য। ব্যার্থ হলাম। কি আর করা শুনে যেতে থাকলাম। পাশে জীবন সঙ্গীনী যে সব শুনছে আমি বুঝতে পারিনি। সে অর্থাৎ আমার স্ত্রী আমার হাত থেকে মোবাইল ফোনটা নিয়ে ঐ আবৃতি কারক মহিলাকে বিনীত ভাবে নরম সূরে বললেন " আপা আপনি ভুল করছেন, আপনি দয়া করে ডায়েল নাম্বারটা চেক করুন তো"। হুট করে কবিতা আবৃতি বন্ধ।

আবার মিনিট পাঁচেক পরে একই নাম্বার থেকে রিং। যথারীতি আমার স্ত্রী 'র ফোন ধরা এবং তুফানের বেগে আমার হাতে দেওয়া। বললাম কি হয়েছে? শুন অভদ্র লোকটা কি বলছে। ফোন ধরার সাথে আবৃতি, তবে এবারের আবৃতি পুরুষের কন্ঠে। দূর্গন্ধ, আবর্জনা আর কত তার চেয়েও খারাপ। আমি না- কি উনার স্ত্রীকে মিসকল দিয়েছি। ইত্যাদি ইত্যাদি। তো আমি আর কোন কথা বলার সুযোগ পেলাম না। বাধ্য হয়েই ফোনটা বন্ধ করে দিলাম। ভাগ্যিস স্ত্রী সাথে ছিল।আমার অবশ্য রাতের ঘুম হারাম হয়েছিল। সারারাত ভেবেছি এরা আসলে কারা। যদি মহিলা ভুল করে ফোন দিয়ে থাকে তাহলে তো এই আবর্জনা পুরুষটা এভাবে কথা বলতে পারতনা। যা হওক বিনিদ্র রজনী কাটিয়ে সকাল বেলা আমার এক ভাইকে সমস্ত ঘটনা বললাম। সে নাম্বারটা নিয়ে বার বার কল করল কিন্তু ফোন বন্ধ। এভাবে কয়েকদিন চেষ্টা করে মনকে বুঝিয়েমনের জ্বালা নিভিয়ে, শান্তনা শুধু একটাই "হয়ত এরা ভাল আচরন শিখেনি " নিয়ে নিরব হলাম। এ রকম বহু ঘটনা শুনে মনে মনে হাসতাম। কয়েক ম্যাডাম তো মোবাইল সিম ই নতুন করে নিয়েছে।

এক ম্যাডাম বলত স্যার আমার ছেলে মেয়ে দিয়েও বলিয়েছি "আংকেল আমার আম্মাকে ডিস্টার্ব করবেন না "।এরপরও থামেনি। পরে মোবাইল সিমটাই পাল্টে ফেলেছি। কত ভাল একটা মহিলা। নম্র-ভদ্র। অথচ এই ডিস্টার্ব এর কারনে চাকুরীটাই ছেড়ে দিতে হলো। প্রথমে মোবাইল ফোনে, তারপর  তায়াতের সময় তারপর বাসা পর্যন্ত। স্বামী -স্ত্রী 'র অবিস্বাস, ভুল বোঝাবুঝি। সংসারই প্রায় ভেঙ্গে গিয়েছিল। সংসার আছে ঠিকই কিন্তু চাকুরীটা নেই। আর জেলা পরিবর্তন করে অন্য জেলায় বসতি স্থাপন করতে হয়েছে। ঘটনাগুলি উল্লেখ করলাম এ কারনে, ইদানীং facebook এ একটা বিষয় আমার খুব পীড়া দিচ্ছে। সেটা হলো, দেখবেন কিছু ID আছে বিভিন্ন আর্কষনীয় নামে। নীল পরী,লাল পরী, ফুল পরী, জমিদার, এরকম ছদ্ম নাম। এরা দেখবেন কতক্ষণ পর পর মেসেজ দিচ্ছে " আপনি কি করেন? এভাবে শুরু করবে আর শেষ করবে চৌদ্দগোষ্ঠী দিয়ে। আমার মনে হয় যারা facebook ব্যবহার করেন তাদের কেউএই যন্ত্রনার উর্ধ্বে আছেন। একসময় না একসময় মোকাবেলা হতে হয়েছে। আর যদি কেউ না হয়ে থাকেন তো আপনার ভাগ্য ভালো। মজার ব্যাপার হলো লক্ষ্য করে দেখবেন কিছু কিছু টাইমলাইনে আরব্যোপন্যাস "সহস্র এক রজনীর দেশে " এর নায়িকাদের ছবি উপরে দিয়ে নীচে লিখছে ডা: জগা বিবি। উনি কিভাবে পাটখড়িকে তালগাছ বানানো যায় বা বুড়াকে যুবক বা ঢাকাকে খুলনা করার সকল মহৌষধ তৈরীর কারখানা তার কাছে আছে। অর্থাৎ যুব সমাজের মাথা খারাপ করার ফর্মুলা তার জানা। ICT  যুগ। আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের হাতেই facebook চালানোর মত মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ আছেই। বাবা সন্তান বা মা সন্তান একসাথে বসে facebook এ খেলার খবর বা বিশ্ব খবর দেখছেন হঠাৎ দেখবেন জগা বিবি ঔষধ নিয়ে উপস্থিত। এমনকি ব্যবহারবিধি, যেখানে যেভাবে লাগাতে হবে তার পূর্ণ বিবরণ জগা বিবি প্র্যাকটিক্যাল প্র্যাকটিস সহ দেখিয়ে দিচ্ছেন। আবার অনেক টাইমলাইন তো গরু-ছাগলের হাট। এই অশ্লীলতার কারনে কিন্তু আজকে cinema hall গুলি ধ্বংস হলো। এই অশ্লীলতার কারনে যেন অন্যকিছু বন্ধ না হয়।

facebook আর Mobile এর বিভ্রান্তিকর অবস্থার কথা বলছিলাম। আপনি বাজার করার জন্য হাতে ব্যাগ নিয়ে বাজার করতে গেলেন। দোকান থেকে ব্যাগ ভর্তি বাজার করে দোকানদারকে একহাজার টাকার একটা চকচকে নোট দিলেন। দোকানদার নোটটা হাতে নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করে মুখটা লাল করে আপনাকে বলল " আপনার নোটটা তো জাল "। আপনার মত ভদ্রলোক ও এমন কাজ করেন? অথচ আপনি ব্যাংক থেকে হালাল বেতনের টাকা তোলে বাজার করতে গিয়ে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর পরিবেশের স্বীকার হলেন। কি আর করা বাজার গুলি বাজারের জায়গায় রেখে মুখটা মলিন করে বাসায় চলে আসলেন। বাসায় গিন্নী তো দা নিয়ে বসে আছে কাটাকুটি করার জন্য। এখানেও যে হাসিমুখে বরণীয় হবেন এটাই বা আশা করলেন কিভাবে। আবার বাজারে যান। দোকানদার এবার আর একটু বেশি করে টাকাটা চেক করবে আর আপনার দিকে চেয়ে মুচকি মুচকি হাসবে। আপনি হয়ত ভাববেন লোকটা এমন করছে কেন? আসলে সে এবং আপনার গিন্নী আপনাকে বোকাই ভেবে বসে আছে। আর এটাও শুধু নয় আপনার বন্ধু বান্ধব যেই শুনবে। আপনকে ঐ বোকার সার্টিফিকেটই দিবে। এই যে নকল টাকার উৎপাদন এটা কি আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা জানেনা।আমাদের দক্ষ গোয়েন্দা সংস্থাকে এ ব্যাপারে আরো শক্তিশালী ভুমিকা পালন করতে হবে। দেশের সাধারন জনগনকে এ রকম বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন যেন না হতে হয় সেদিকে সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে। আর কিছুদিন পরপর আমরা খবরের কাগজে যে দেখি জাল টাকা তৈরীর চক্র গ্রেফতার হওয়ার সংবাদ। এদের শান্তি কি হয় বা এরা জামিনে বের হয়ে করেইবা কী? ব্যাংক গুলিতে বা পত্রিকাতে বহু সচেতনতা মূলক বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ঠিকই কিন্তু এই জনসচেতনতা কতটুকু কাজে লাগছে? এর চেয়ে " prevention is better than cure  " এই ফর্মুলা অনুযায়ী কাজ করলে ভাল হতো না?

কন্যা-বধু-মা
০১:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই বিখ্যাত গান " নহ মাতা, নহ কন্যা, নহ বধুসুন্দরী রুপসী --। কন্যা, বধূ, মা। বয়সানুসারে একি রূপের তিনটে ছবি। পৃথিবীর যত সৌন্দর্যএই তিনটে ছবিকে ঘীরে। যত সুখ, যত শান্তি সবএই তিনটে ছবিকে ঘীরেই। পৃথিবীর এমন কোনসৌন্দর্য নেই যা এই তিনটি ছবির সাথে তুলনা হয় না। " মধূর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মুখে ঝরে,মা কে মনে পড়ে, আমার মাকে মনে পড়ে "। বাবাযেমন কন্যার হাসি মুখ দেখে সকল দু:খ কষ্ট ভুলে যায় আবার স্ত্রীর হাসিখুশি মুখে মহাসিন্ধু ওজয় করতে পারে স্বামী। আর "মা এর পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত "ইসলামী বিধান। সন্তানেরদূ:খ কষ্ট, আপদবিপদের খবর বিনা তারে মায়েরমনে পৌঁছে সবার আগে। মরমীসুরে বাংলা গানেফোটে উঠে " বাবায় আনন্দে মাতিয়া সায়রে ভাসাইয়া,, সেই যে চইলা গেল, ফিইরা আইলনা "। এত দু:খ, এত কষ্ট, এত রোগবালাই এর মধ্য দিয়ে দশ মাস অতিবাহিত করে কোলজোড়েযখন ফুটফুটে সন্তান আসল "মা " নিমিষেই সবভুলে যায়। আবার এমন বাংলা গানও আছে যাআমাদের মন প্রাণ নাড়া দেয় " মায়ের মত আপন কেহ নাই রে --------আমি আঘাত পেলে মা তোর চোখে আসে পানি।সেই পানিতে ধূয়ে মা গো কূলেতে লও টানি "।এই যে কন্যা, বধূ, মা। মহান আল্লাহর নিজেরহাতে গড়া সৌন্দর্য মন্ডিত একটা বেহেস্তি পটেআঁকা এক একটি ছবি। তবে আজ আমার আপনার কন্যার লাশ রাস্তার ধারে, বনেবাদারে,নদী, খালে, পাওয়া যায় কেন? কেন স্বামীর ঘরেনির্মমভাবে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে ফাঁসিতে ঝুলতে হয়? কেন দুখীনী "মা" আজও রাস্তায়রাস্তায় কাঁদে? "মা" জাতিকে আজও আমরাসম্মানের আসনে বসাতে পারিনি কেন? রাস্তায়বখাটেদের উৎপাত, মিডিয়ায় নির্মাতাদের পোশাকি উৎপাত, ফেইসবুক এ স্ট্যাটাস প্রদানকারীদের উৎপাত, স্বামীর ঘরে যৌতুকের জন্যউৎপাত। এর মানে কষ্ট আর কষ্ট। আপনি কীজানেন মা বাবার চোখের মণি, বুকেধন আপনারঘরে সুখী হলে কত সুখ পায় তাঁরা। আর কষ্টেকত কষ্ট পায়। তেমনি মা কে যখন কোন সন্তানকষ্ট দেয় তখন স্বয়ং আল্লাহ কষ্ট পান। চলুনআজ থেকে আমরা " কন্যা, বধূ মা অর্থাৎ মাজাতিকে সম্মান করতে শিখি এবং সম্মান করি।

০২ : স্বপ্ন আর অবাস্তবতাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার যে প্রক্রিয়া তাইসম্ববত পরিকল্পনা বা কর্মপন্থা। স্বপ্ন দেখা ক্ষতি বা দোষের নয় নি:শ্চয়। তেমনি আজ দেশের কর্মকালিন ছুটি নিয়ে স্বপ্নের কিছু কথা লিখা --প্রাথমিক, মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা,ব্যাংকসহ সরকারী অফিস আদালত- প্রতিটিবিদ্যালয় বা অফিস এর সরকারী ভাবে একটিবাৎসরিক ছুটির তালিকা দেওয়া থাকে। এছাড়ানৈমত্তিক ছুটি, চিকিৎসা ছুটি, আপদকালিন ছুটিবিশেষ ছুটি ও নিতে পারেন। এ সবই রাষ্ট্রের কর্ম-চারীদের সুবিধার্থে। আমার মনে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে দুইদিন নৈমত্তিক ছুটির স্থলেচারদিন করা উচিৎ। আর বিভিন্ন দিবস গুলিতেশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা উচিৎ। যেদিন যে দিবস ঐ দিন ঐ বিযয়ে বেলা ১২.০০ঘটিকা হতেবেলা ২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত ঐ দিনের উপর আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতে পারে। আরএই বন্ধগুলি বিভিন্ন উৎসবের ছুটির সাথে যোগকরে দেওয়া যেতে পারে। চারদিন নৈমত্তিক ছুটির জন্য বিদ্যালয় গুলোতে যে শিক্ষক সংকটদেখা দিবে তার জন্য শিক্ষক বৃদ্ধি বা Overtime সবসুবিধা দেওয়া যেতে পারে। সরকারী ভাবে Overtime এর বেতন সরকারী মাসিক বেতনেরসাথে যোগ হবে। চিকিৎসা ছুটি বৎসরে ১০ দিনহিসাবে যোগ হয়ে একসাথে বা ভেঙ্গে ভেঙ্গে নিতেপারবে। ব্যাংক চলবে দুই শিফটে। সকাল ৮.০০ঘটিকা হইতে ২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত একটানা ১মশিফট। বিকাল ৩.০০ঘটিকা হইতে রাত ৯.০০ঘটিকা পর্যন্ত ২য় শিফট। রাত ১০.০০ঘটিকার পর দোকানপাট সহ সকল কিছুই বন্ধ হয়ে যাবে।শুক্রবার দিন ১১.৩০ হতে ৩.৩০ পর্যন্তঅফিস, কলকারখানা, দোকানপাট এমনকি যাতায়াত ব্যাবস্থাও বন্ধ থাকবে। (নিরাপত্তা ও চিকিৎসা ব্যতীত)। সকল অফিস Day- ight  এ দুই শিফট অফিসারসহ দুই ভাগে বিভক্ত থাকবে।পরিচালিত ও হবে দুই ভাবে।

নেশা
সিগারেট এর প্যাকেটে সিগারেট না খাওয়া বা ধুমপান না করার জন্য সচিত্র উপদেশ দেওয়া আছে। আবার বিজ্ঞাপনেদেখবেন সংবিধিবদ্ধ সর্তকীকরন " ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর " আবার এটাও দেখা যায়" ধূমপান বিষ পান "। সরকারীভাবে এ সিদ্ধান্ত ওনেয়া হয়েছে যে "কেউ প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান করলে অর্থাৎ "।এত বিজ্ঞাপন, এত প্রচার, এতসিদ্ধান্ত এর পরেও কী ধূমপায়ী কমেছে? কমলেতার হার কত?না কমলে, প্রশ্ন হলো কমে নাই কেন? তাহলে সকল উদোগই কী ব্যার্থ? আজএ ব্যর্থতার কারণ খুজে বের করা আমাদেরনৈতিক দায়িত্ব।নৈতিক দায়িত্ব কথাটা ভুলবললাম কিনা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। কারণ অনেকেইবংশগত ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্যও সিগারেট খায়। আবার অনেকের বুদ্ধি কাজ করেনা সিগারেট না খেলে। সিগারেট ছাড়া তো কোননির্বাচনই জমে না। পূর্বেকার নির্বাচনে বিড়ি হলেও চলে যেত আর এখন দামী সিগারেট দিলেও মন ভরে না। কার্টুন কার্টুন সিগারেট লাগে। এটা আবার আবালবৃদ্ধবনিতা সবার জন্যইনির্ধারিত। মোবাইল নিয়ে আড্তায় তো সিগারেটছাড়া চলার কথা নয়।কারন এখানে চোখের, মনের, জ্ঞান-বুদ্ধির যে পরিমাণে খরচা করে আনন্দ পাওয়ার জন্য। এটা লাগবেই লাগবে।আবার অনুকরণীয় কিছু লোক আছে তারা কোন নায়ক বা নেতা বা বড় ভাই বা কোন অফিসার বা কোন শিক্ষক কিভাবে সুন্দর করেসিগারেট মুখে দেয় তা অনুকরণ করবে। আবারঅনেকেই নিজেকে Heroes বা হুমায়ুন আহাম্মেদর কাল্পনিক চরিত্র "হিমু " বা একালের"মজনু " হয়েও সিগারেট টানে। একসময় বহুলোক এর সাথে পরিচয়। তারপর একটু একটুকরে গাজা। বাবার পকেটের টাকা চুরি, মায়েরহাড়ির চাল চুরি, বোনের গলার চেইন চুরি এভাবেচলতে থাকবে। এরপর দেখা যাবে আরও লোকের পরিচয় এবং ব্যবসায়ী হিসেবে আত্বপ্রকাশ। এরপর দেখা যাবে মদসহ অন্যান্যসকল প্রকার নেশা তার ইশারায় আসে আর যায়। এখন আমার কথা হলো ------

# আপনি যে জনপ্রতিনিধি হলেন জনগনেরসুখেদুঃখে পাশে থাকবেন। আপনি তো জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগেই সিগারেট ধরিয়েনেশার প্রথম শিক্ষা দিয়ে দিলেন।
# আমরা যারা বড় চেয়ারে বসে বড় বড় কথাবলছি আর হাতের সিগারেটকে রাজকীয় ভাবেউপস্থাপন করছি। একবার ভেবে দেখেছেন আপনাকে কেউ না কেউ অনুকরণ করছে? আপনি আপনার জায়গায় থেকে আরেকটা জীবনকে নেশার জগতে ঠেলে দিচ্ছন?
#আর ঞঠ বা ঈরহবসধ এ জগতটা তো হলোপাগলের নৌকা ডুবানোর মত। পর্দায় দেখবেনদেখাচ্ছে ধূমপান বিষপান বা ধূমপানে মৃত্যু।পরেই দেখবেন সিগারেট, মদ, গাজা নিয়ে কীতামাশাটাই না করছে।মনে হয় নেশায় উৎসাহিতকরছে। তাদের কাছে বললেন যে ভাই এটা দেখালেন কেন? তাদের সুন্দর জবাব দেখছেনপরিনতী কি দেখাইয়েছি। হায়রে পরিনতী?

নির্বাচন, অনুকরণ বা ভষরস জগত বাদই দিলাম। তবে---
# একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায় অনেক Ignorance ছেলে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনেযায়। আবার অনেক Student শুধু নামধারী। তাদের কাজ হলো রাস্তার মোড়ে বা অলিগলিতেআড্ডা দেওয়া । আমরা কি কখনও ভেবেছি এরাআসলেই কি করে?
# সিগারেট বা তামাকজাত দ্রব্যে সরকার না Vat, Tax পায়। কিন্তু ইয়াবা বা অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্যে তো Vat, Tax নাই। তাহলে কোটিকোটি টাকার চালান ধরে এর মূল হোতাকে সনাক্ত করে মূল হোতার আদি ইতিহাস জানা উচিৎ।
# দুদক -কে শক্তিশালী করে থানা পর্যায়ে নিয়ে আসা উচিৎ। কে কিভাবে কত টাকার মালিক হলো তা জানা আমার মনে হয় সময়ের দাবী।
# আমাদের সুদক্ষ পুলিশ প্রশাসনকে ইউপি সদস্য বা ইউপি চেয়ারম্যান নেশাখোরদের তালিকা প্রদান করা উচিৎ। যাতে পুলিশ প্রশাসনঅতি সহজেই মূল হোতাকে সনাক্ত করতে পারেন।
# নেশাখোরদের ধরে জেলে না পাঠীয়ে তাদের জন্য আলাদাভাবে কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করা উচিৎ। যাতে সংসার ও ঠিক থাকে আবার নিজেও ভাল হয়ে যায়।
# মূল হোতাদের সনাক্ত করে তাদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ঐ সম্পদ নেশাখোরদেরউন্নোয়নে লাগানো উচিৎ।

ভিক্ষুক :
ইসলাম ধর্মে পাঁচটি মূল স্তম্বের মধ্যে সালাত এর পরেই হলো যাকাত। আমাদের দেশে যে লোক দেখানো যাকাত, যে উদ্দেশ্য প্রনোদিত যাকাত এটা কি না জানা বা না বুঝার কারনে কিনা তাও তো বুঝতে পারিনা। যাকাতের টাকা বা কাপড়ের জন্য পায়ের নীচে পিষে মরে মানুষ। Loud speaker এ ঘোষনা দিয়ে বিতরন করা হয় যাকাতের অর্থ। কিছুদিন যাবৎ চালু হয়েছে এক নতুন পদ্ধতি আর এটা হলো যে এলাকায় নির্বাচন করবেন ঐ এলাকার জনগনকে আগেই একটি কার্ড দিয়ে দেওয়া হয়। তারপর ঐ কার্ড দেখিয়ে যাকাতের টাকা বা মালামাল বিতরণ করা হয়। এটা আবার নিজ দলের লোকদের। কোরবানির গোসত একভাগ নিজের, একভাগ আত্বীয়ের আর একভাগ গরীব দূখীর। এটাই আমরা জানি। কিন্তু অনেকাংশে ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো সৌদি সরকার বাংলাদেশের অনাথ, এতিম, গরীব, দূখীমানুষের জন্য দূম্মার গোসত প্রতিবছর পাঠায় যাতে এরা অন্তত একবেলা গোসত খেতে পারে।আর কি ঘটনা ঘটে আমরা তো স্বচক্ষেই দেখি।আমাদের ভালুকায় আবার বর্তমান UNO স্যারেরসময়ে সারা বাংলাদেশ থেকে ব্যতিক্রম। গত বছর বিতরণ দেখে খুব ভালো লেগেছে। এতিমখানা, বিভিন্ন মাদরাসা, গরীব মানুষ নিজেরাই নিয়ে যাচ্ছে। সারা বাংলাদেশ ভালুকার UNO  স্যারকে অনুসরণ কর। অনুরোধ জানাই।কারো ফ্রিজে যেন অনাথ, এতিমের হক না থাকে।রাস্তাঘাটে, গ্রাম গঞ্জে যে ভিক্ষুক দেখা যায় এদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া উচিৎ। এদেরনিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ। ইউপি সদস্যদের দ্বারা তালিকা করে এদের কর্মসংস্থান বা পূণর্বাসন করা উচিৎ। মসজিদ ভিত্তিক যাকাত ব্যবস্থা চালুকরা উচিৎ। মসজিদের ঈমাম সাহেব তাঁর এলাকার যাকাত দাতার হিসাব, যাকাতের পরিমাণ নির্ধারণ এবং যাকাত আদায় করে ইউপিচেয়ারম্যানের কাছে জমা দিবেন। ইউপি চেয়ারম্যান ঈমাম সাহেবদের নিয়ে এতিম, অনাথ, গরীব, দূখীদের কাজে লাগাবেন। দেখবেন পাঁচ বছর পর কোন গরীব খুঁজে পাবেন না।

দেশপ্রেম
আমরা যারা বাংলারমেহনতি ঘাম ঝরানো মানুষের দেয়া ঞধী এ সরকারি কোষাগার হতে বেতন ভাতাদিভোগ করি তাদের সকলের কাছে আমার একান্তভাবেজানার ইচ্ছা " ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত আর প্রায় দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হারালাম। বিনিময়ে পেলাম স্বাধীন সার্বভৌম " বাংলাদেশ "।পেলাম সবুজের মাঝে লাল বৃত্ত খচিত জাতীয়পতাকা। বিশ্ব দরবারে বীরোচিত উপাধি "আমরাবীরের জাতি "। রবী ঠাকুরের অমৃত কথা ও সুরেপেলাম আমাদের প্রাণের স্পন্দন, আমাদের জাতীয় সংগীত " আমার সোনার বাংলা,আমি তোমায় ভালবাসি "। দেশপ্রেম এর পূর্বশর্তহলো ---শহীদি রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা, জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান আর জাতীয় সংগীতের প্রতি ভালবাসা। কত জন আমাদের জাতীয় সংগীত এর প্রথম ৮ লাইন মুখস্থ বলতে পারবেন? শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয় আর মাধ্যমিকবিদ্যালয় নিয়ে মাথা যন্ত্রণায় ভোগেন। যেহেতু প্রতিটি অফিসেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করাহয় সেহেতু জাতীয় সংগীত এর সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা উচিৎ। প্রত্যেক সরকারীকর্মকর্তা, কর্মচারী অবশ্যই জাতীয় সংগীতের১ম ০৮ লাইন মুখস্থ থাকা উচিৎ । জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু করা উচিৎ। শহীদ এবং গাজী ভাইদের ঋন হয়তবা শোধ করতে পারব না বা মা বোনের সম্ভ্রম আমরা হয়ত ফিরিয়ে দিতে পারব না। কিন্তু অন্তত শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালবাসা তো দিতে পারব! প্রকৃত দেশপ্রেম সবার মনে জাগ্রত হউক। আমরা আমাদের বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।এ বিষয়ে সরকারী প্রজ্ঞাপন কামনা করি যাতে সকল অফিস তাদের কার্যক্রম জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু করেন। সবাই জাতীয় সংগীত মুখস্থ রাখেন। এই হউক আজকের অঙ্গীকার।চলবে....

আর কত দূর.........? পর্ব -০১ আর কত দূর.........? পর্ব -০২ আর কত দূর.........? পর্ব -০৩
লেখক
মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক তালুকদার
প্রধান শিক্ষক
গোয়ারী ভাওয়ালিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়
ভালুকা, ময়মনসিংহ।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কলাম বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই