তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

একটি মিষ্টি অসমাপ্ত প্রেম কাহিনী ‘রক্তক্ষরণ’

একটি মিষ্টি অসমাপ্ত প্রেম কাহিনী ‘রক্তক্ষরণ
[ভালুকা ডট কম : ০৮ নভেম্বর]
আশি দশকের কথা বলছি। আন্ত:স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় উপজেলার নামীদামী দুটি স্কুল ফাইনালে উঠেছে। পাশাপাশি দুটি স্কুলের একটি বয়েজ আরেকটি গালর্স। প্রতিষ্ঠান দুটি যদিওবা ভিন্ন কিন্তু প্রতিযোগিতা সব ক্ষেত্রেই। সেটা পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট হোক বা প্রতিযোগিতায় হউক এ দুটি স্কুলের মধ্যে সব সময়ই একটা লড়াইয়ের মনোবৃত্তি। তো যাই হউক বিতর্ক বলে কলা। দীর্ঘ এক মাস ব্যাপী প্রস্তুতি চলছে এ দুই স্কুলেই।

বয়েজ স্কুলের দল নেতা বৈশাখ। সকলের কাছে প্রিয় সে। বিতর্ক প্রতিযোগিতাই হউক আর উপস্থিত বক্তৃতা বা আবৃতিই হউক সব জায়গাতেই রয়েছে অসাধারণ কৃতিত্ব। বিগত বছরেও বৈশাখের নেতৃত্বে আবৃত্তি এবং উপস্থিত বক্তৃতায় জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল বয়েজ স্কুলটি। শিক্ষকদের বৈশাখের প্রতি অঢেল আস্থা আর শিক্ষার্থীদের অবিচল বিশ্বাস। বৈশাখ রাতদিন তার দলকে আস্থাশীল করে তুলছে আমরা চ্যাম্পিয়ন হইব। দিনটা ছিল সম্ভবত রবিবার। বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় শুরু হবে প্রতিযোগিতা। বয়েজ আর গালর্স স্কুলের সকল শিক্ষার্থী উপস্থিত। উপস্থাপক লাউডস্পিকারে বারবার ঘোষণা দিচ্ছিল। মাঠ কানায় কানায় লোকজনে পরিপূর্ণ। সকল অতিথি উপস্থিত। বিতর্কের আদলে সাজানো হলো মঞ্চ। মঞ্চের একপাশে বয়েজ স্কুল আর অপর পাশে গালর্স। সামনের সারিগুলিতে অতিথিরা বসলেন তারপর থেকে গালর্স স্কুলের মেয়েরা। মেয়েদের পিছনের সারি থেকে বয়েজ স্কুলের ছেলেরা বসল। বিচারক মন্ডলী মঞ্চে উঠলেন। বক্তৃতার নিয়ম এবং দিক নির্দেশনা দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু করলেন। করতালিমুখর পরিবেশে তর্ক বিতর্ক চলছিল। বৈশাখ স্কুলের ছেলেরা করতালি আর বৈশাখ ভাই, বৈশাখ ভাই ধ্বনিতে চারদিক মুখরিত করে ফেলল। এরই মাঝে শোনা গেল গালর্স স্কুলেরও কিছু মেয়ে বৈশাখকে উৎসাহ যোগাতে। বৈশাখ মঞ্চে সাবলীল ভাষায় যুক্তিতর্ক খন্ডন আর যুক্তি প্রদান করে যাচ্ছিল। হঠাৎ নিশ্চুপ। বৈশাখ যেন পাথর হয়ে গেছে। কোন শব্দই বের হচ্ছিলনা মুখ দিয়ে। সবাই অবাক হয়ে বৈশাখের পানে চেয়ে রইল। অতিথি, বিচারক, শিক্ষক, বয়েজ স্কুল, গালর্স স্কুলের শিক্ষার্থীরা সবাই যেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। নিস্তেজ যেন পুরো মাঠ। কেউ বুঝতে পারেনি কি হয়েছিল বৈশাখের। সবাই জান্তে চেয়েও উত্তর না পেয়ে ব্যর্থ হয়েছে।

ঐ দিন তাহলে কি হয়েছিল বৈশাখের? বৈশাখকে ঐ সুহাসিনী? যে আমার পানে মুক্তঝরা হাসিতে রবীন্দ্রঠাকুরের কৃষ্ণকলির কালো হরিণ চোখে, নীলাঞ্জনার নীলিমায় এলোকেশ ছড়িয়ে দুধে আলতা গায়ে সোনালি হাত দুটো আমার পানে করতালিতে রক্তাভ করছে? কে সে? তার উৎসাহে নিশপ্রান আমি। কখন যে বাকরোধ হলো  জানিনে, কখন কিভাবে শেষ হলো যুক্তি তর্ক মনে করতে পারিনি। মনে হচ্ছিল তার কাছে ছুটে গিয়ে জিজ্ঞেস করি তুমি কে? কেনইবা আমাকে এমন উৎসাহিত করে যাচ্ছ? ভেবেছিলাম মঞ্চ থেকে নেমেই ছুটে যাব তার কাছে। যেতে পারিনি। না হয় অনুষ্ঠান শেষে দেখা হবে তার সাথে। কী বলব তাকে? কার সাথেই বা তুলনা করব? এমনি হাজার আবেগে কখন যে শেষ হলো যুক্তি তর্কের এই অনুষ্ঠান, কখন যে বেজে উঠল শেষ ঘন্টা মনে নেই। বলতেও পারব না। যুক্তি তর্কে যদিওবা চ্যাম্পিয়ন হলাম কিস্তু আমার কোন কৃতিত্ব নেই বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যে। যাই হউক অনুষ্ঠান শেষে শেষপ্রশ্ন আমি তাকেই করব প্রতিজ্ঞা করলাম মঞ্চে বসেই। অনুষ্ঠান শেষ, চ্যাম্পিয়ন ট্রপি আমার হাতে। জয়জয়কার ধ্বনি। মুখরিত বয়েজ স্কুলের সকল শুভাকাঙ্খী। আনন্দে আন্দোলিত হয়ে গেল সারা শহর। কেউ বলছে বৈশাখ যে দলে আছে সে দল জিতবেই আবার কেউ বলছে আজ বৈশাখের কী হয়েছিল মঞ্চে। কেনইবা সে শেষভাগে কথা বলেনি বা বলতে পারেনি। নানাজনের নানান কথা। আমি সব কথাই শুনতে ছিলাম উত্তর দিতে পারিনি। হাতের ট্রপিটা এক বন্ধুর কাছে দিয়ে ছুটলাম হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ঘটাল যে তাকে খুঁজতে। শতশত মেয়েদের মাঝে খুঁজতে লাগলাম। এগুতে পারছিলাম না। কিছুদুর এগুতেই সকলেই ভীর করে। জিজ্ঞেস করে কি হয়েছিল মঞ্চে কিইবা খুঁজতেছেন হন্নে হয়ে। পেলাম না!

মাঠ জনশূন্য হলো। ট্রপি হাতে আনন্দ করতে করতে বয়েজ স্কুলের সকল ছেলেরাই চলে গেল। মেয়েরা যার যার বাড়ি ফিরে গেল। অতিথিরা আগেই চলে গিয়েছিল। মাঠে একা আমি। শূন্যতা, আকাঙ্খা আমাকে গ্রাস করতে লাগল। মাঠে বসে রইলাম। কতক্ষণ পর মাঠেই সবুজের কার্পেটে ক্লান্ত শ্রান্ত দেহটাকে মিশিয়ে দিলাম। কী ভাবছি, কেনই বা ভাবছি ওর কথা। কেও? নামটাও তো জানিনা। তবে? এমন করছি কেন? অবান্তর চিন্তা আমাকে গ্রাস করবে কেন? আমি তো বৈশাখ। সবাই আমাকে ভালবাসে। এমনটা করব কেন? মনকে বুঝিয়ে বাড়ি চলে এলাম। খেতে পারিনি, ঘুমোতেও পারিনি। বিছানায় শুয়ে অনুষ্ঠানের পুনরাবৃত্তি করছিলাম। কখন যে রাত কেটে গেল টেরও পাইনি। সকালবেলায় গোছল নাস্তা করে আগেই বেরিয়ে পরলাম। কথা হবে, কথা বলব। কিন্তু কিভাবে, আমি তো ঠিকানাও জানিনা। কোন রাস্তায় চলাচল করে তাওতো জানিনা? খুঁজে নিব কীভাবে? না কোন কিছুই আমার দ্বারা হলো না। এমনি করে প্রায় পনের দিন অতিবাহিত হলো। ডাক পরল জেলা সদরে।

উপজেলা চ্যাম্পিয়ন দল বিতর্ক করতে হবে জেলায়। প্রধান শিক্ষক আমাকে ভালভাবে উপদেশ দিলেন। উপজেলার সম্মান, স্কুলের সম্মানের কথা বুঝালেন। আশ্বস্ত করলাম। তিনিও আশ্বস্ত হলেন। পুরো একটা বড় বাস। শিক্ষক এবং ছাত্র একসাথে জেলায় গেলাম। যথানিয়মে যথাসময়ে অনুষ্ঠান শুরু হলো। বিপক্ষ দল জেলার একটা নামকরা স্কুলের মেয়েরা। মঞ্চে বসে দেখলাম ঐ মেয়েটি একজন ভদ্রলোকের সামনে কোন কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস আমার নেই। কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে পেরেছিলাম মেয়েটির এখানে উপস্থিত হওয়ার কারণ। আমিও প্রতিজ্ঞা করলাম প্রাণবস্ত অনুষ্ঠান উপহার দিব। দিলামও তাই। চ্যাম্পিয়ন ও হলাম। মেয়েটি পূর্বের ন্যায় উৎসাহও যোগাল। আজ আর খুঁজতে হয়নি। ভদ্রলোক এগিয়ে গিয়ে অভিনন্দন জানাল। সাথে মেয়েটি। মুচকী মুচকী হাসছে। ভদ্রলোকটি মেয়ে বলে পরিচয় করিয়ে দিল। হতাশ হলাম এ কারণে যে স্বপ্ন বুঝি স্বপ্নই থেকে যাবে। মেয়েটির সাথে আদৌ বুঝি কথা হবেনা। যে ভদ্রলোকের মেয়ে এখানে আমি হাত দিবনা। খুব ভাল মনের মানুষ। আমাকে খুব স্নেহ করেন। তার মেয়ে বলে কথা। না আজ থেকে এ চিন্তা বাদ দিলাম। আসলে বাদ দিতে পারিনি। বিদায় বেলায় মুচকি হেসে কী বলতে চেয়েছে সে। চোখে কিসের আহ্বান তার। পেছন তাকিয়ে বার বার কী বলতে চেয়ে বলতে পারেনি আর আমিই বা কিছু বলতে পারলাম না কেন? হাত পা কাঁপছিল কেন?

এত কবিতা, এতো গান, এতো গল্প সবই তো আমি তার জন্য জমিয়ে রেখেছি। বলতে বা শোনাতে পারলাম না কেন তাকে। চেয়েছিলাম যত দূর দেখা যাচ্ছিল। আমার এক বন্ধু। এখন সে একজন বড় মাপের ডাক্তার। ঢাকা পি জি হাসপাতালের একজন নামীদামী অবস্থানে কর্মরত। সে আমার দলের একজন তার্কিক। সে বলত দোস্ত ‘আলোয়ার আলোর পিছনে ছুটাছুটি করো না। তোমাকে ধ্বংস করে দিবে। পাত্তা দেয়নি। তার কথা গুলি বিষের মতো মনে হলো। ধমক দিয়ে বললাম।’ তর আসলে হিংসে হয়রে দোস্ত’। হাসিমুখে উত্তর দিল’ আচ্ছা! পরে দেখা যাবে’। তো চ্যাম্পিয়নস ট্রপি নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিব এ সময় আমাদের শরীরচর্চা শিক্ষক আমাদের বললেন’ চলো খেয়ে নেই’। শুনলাম টাকাও নাকি মেয়েটির বাবাই খুশি হয়ে দিয়ে গেছেন। এটাও শুনলাম গাড়ীর ভাড়াটাও মেয়েটির বাবা পরিশোধ করেছেন। বন্ধুরা সবাই শিক্ষকদের সাথে নিয়ে নামীদামী একটা হোটেলে খেতে খেতে ভাবছিলাম।’ মেয়ের জামাই হতে পারলে তো আপনার টাকা আরো কত খাব। মনের অজান্তে মুচকি হাসলাম আর মুচকি হাসিতে বন্ধুরা বলিতেছিল।’ তুর মাথা খাইছে ঐ মেয়েটা’। আমাদের শরীরচর্চা শিক্ষক কে উদ্দেশ্য করে বন্ধুরা বলতেছিল’ বস! সামলান, বৈশাখ পাগল হয়ে গেছে, দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখুন, নইলে বৈশাখ শেষ হয়ে যাবে’।

বস একথা গুলো বুঝতে পারলাম না। কোন কথা না বলেই এড়িয়ে গেলেন। যাই হউক গন্তব্যের উদ্দেশ্যে আবার রওয়ানা দিলাম। আমাদের শরীরচর্চা শিক্ষক আর আমি একসাথে বসলাম। বাস চলছে। সকলের আনন্দ উল্ল্যাসের মাঝে নিরব আমি। কেউ বলছিল বৈশাখ আজ দেখিয়ে দিয়েছে শহরের নামীদামী স্কুলদের। আবার কেউ কেউ বলতেছিল দেখেছিল শহরের মেয়েরা আমাদের দিকে কীভাবে ঢেপ ঢেপ করে চেয়েছিল। মনে হচ্ছিল একেবারে পানি ছাড়া গিলে ফেলবে। আমাদের শিক্ষক সহ সবাই আনন্দে মেতেছিল। নিরব ছিলাম আমি। এজন্য অবশ্য অনেক কথাও শুনেছি। কিছুদূর অতিক্রম করার পর হৈ চৈ এর মাঝে আমার পাশে বসা আমার প্রিয় স্যার আমাকে উদ্দেশ্য করে বলতেছিল বৈশাখ তোমাকে কিছু কথা বলি শোন। বৈশাখ বিনয়ের সাথে বলল’ বলেন স্যার’। মনে কর আজ তুমি স্মার্ট, ভদ্র এবং ভাল ছাত্র। একটি মেয়ে তোমাকে পেতে চাইবে। তোমার জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত এমন হাজারো কথার ফুলঝুরি ছড়াবে। আবেগে আপ্লুত হবে তুমি। পাগলের মত ভালবাসবে তুমি। কোন স্বপ্ন দেখবেনা তাকে ছাড়া। কিন্তু যখন তোমার চেয়েও স্মার্ট, হ্যান্ডসাম, ধনী কোন ছেলে যখন মেয়েটির সামনে এসে হাত বাড়াবে। ধূয়ে মুছে যাবে ওর মন থেকে তুমি। চিনবেনা তোমাকে। কে তুমি, যাকে তুমি এতটি বছর পাগলের মত ভালবাসলে সে তোমাকে চিনবেও না। দেখলে মনে হবে সে তোমাকে এইমাত্র দেখেছে। রাস্তায় পরে থাকবে তুমি। ছাইপাঁশ খেয়ে মরবে তুমি। তোমার বুকের উপর পা ফেলে ঐ ছেলের হাত ধরে চলে যাবে এতটুকু করুণাও হবেনা। যদি মারা যাও লাশটিও দেখতে আসবেনা তোমার। কথাগুলি বলছিলেন আর স্যারের দু’চোখ জলে ভরে গিয়েছিল। কিছুই বলতে পারিনি স্যারকে।

শুধু অবাকদৃষ্টিতে চেয়ে থাকলাম স্যারের পানে। আমাকে তিনি  কোন উপদেশ বা কোন আদেশও করেননি। কথাগুলিই শুধু বলে গেলেন। বুঝতে আর বাকী রইল না যে স্যার আমাকে বুঝতে পেরেছেন। যাই হউক পুরস্কার নিয়ে ঘরে ফিরলাম। কিন্তু মন পড়ে রইল মেয়েটির মাঝে। এভাবেই ইশারা, আকারে, ইঙ্গিতে চলে গেল তিনটে মাস। স্যারের কথার পর আমিও একধরনের বাদই দিয়েছিলাম। খেলার মতই খেলছিলাম। স্যার যে বলল এরা খেলতে নয় খেলাতেই ভালবাসে। তাই আমিও আর প্রাধান্য দেইনি। মনোযোগী হয়ে পড়ালেখা শুরু করলাম। বন্ধু সায়র যে আজ বড় মাপের ডাক্তার সে আমাকে আমার স্বীয় অবস্থানে পেয়ে খুব খুশি। এক সাথে সময় কাটাই, স্যারদের বাসায় পড়তে যাই। সায়ব প্রায়শই বলতে দোস্ত আগে পড়ালেখা করে মানুষ হও পরে সব পাবে। আজ বুঝি এ জন্যই হয়ত সায়ব বড় ডাক্তার হতে পেরেছে। এভাবে তিনটি মাস পেরিয়ে গেল। সবকিছু ভুলে গেলাম। ভুলে গেলাম কথাটি আসলে মিথ্যে। ভুলে যাওয়ার ভান করছিলাম। মনের ভিতরে সবসময় একটা প্রশ্ন বার বার নাড়া দিত আর সেই ডাগর দুই নয়নের চাহনি, মুক্তো ঝরা হাসি, হলুদ আলতা হাতের আহ্বান আমি যেন কোন ভাবেই ভুলতে পারছিলাম না। সামনে নির্বাচনী পরীক্ষা। স্কুল রোডে খাতা কলম কিনতে গেলাম। খাতা কলম কিনে রাস্তার ও পাশে চোখ পরতে চোখে পরল মেয়েটি আমার দিকে চেয়ে হাসছে। আমি অপলক দৃষ্টিতে দেখছিলাম। হঠাৎ হাতের ইশারায় আহ্বান। আমার ঘোড়দৌড়ে ছুটে রাস্তা পার হওয়া আর কাছে যাওয়ার আগেই মেয়েটির বাবার চোখে চোখ।

আমাকে দেখে মেয়েটির বাবার জিজ্ঞেস’ কেমন আছে বৈশাখ? হাত পা কাঁপছিল। কম্পনরত অবস্থায় আস্ত বললাম’ ভাল আছি’। আপনি? আস্তে আস্তে সুনয়নার মুখপানে চেয়ে কেটে পরলাম। রাস্তার বিপরীতে পাশে এসে আবার চেয়ে রইলাম। ফাঁকে ফাঁকে মেয়েটি ইশারায় কি যেন বলতে চেয়েও বলতে পারছেনা। এতটি মাস চলে গেল নামটিও জানা হলোনা। একটা সুযোগ পেলাম নামটি জানার আর সে সুযোগটা হলো লাইব্রেরীর মালিক পলাশ ভাই। অপেক্ষা করতেছিলাম কখন মেয়েটি তার বাবাকে নিয়ে দোকান ত্যাগ করে। #

লেখক
মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক তালুকদার
প্রধান শিক্ষক
গোয়ারী ভাওয়ালিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়
ভালুকা, ময়মনসিংহ।       



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

সাহিত্য পাতা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই