তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে গুলশা মাছের মড়ক প্রতিরোধে চার সদস্যের টিম

গৌরীপুরে গুলশা মাছের মড়ক প্রতিরোধে চার সদস্যের টিম
[ভালুকা ডট কম : ২৩ নভেম্বর]
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় এবার অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে গুলশা মাছ। পুঁজি হারিয়ে শতশত মৎস্য চাষী দিশেহারা।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর/১৬) উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের গুজিখাঁ, নওয়াগাঁও, ভবানীপুর ও পৌর শহরের সতিষা গ্রামে গুলশা মাছ চাষীদের পুকুরগুলো ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পুকুরেই মাছ মরে ভেসে উঠতে। মাছ রক্ষায় চাষীরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। এ প্রতিনিধির মাধ্যমে তথ্য পেয়ে চার সদস্যের একটি টিম ক্ষতিগ্রস্থ পুকুর পরিদর্শন, মৃত-অর্ধমৃত মাছ ও পানি সংগ্রহ করে রোগ নির্ণয়ের জন্য ময়মনসিংহ স্বাদু পানি গবেষণা কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জান্নাত-এ-হুর। মাত্র কয়েকদিন আগেই ক্ষুরা, পিপিআর ও টাইগার হার্ট ডিজিজে মারা যায় ৩শতাধিক গরু ও ছাগল।

দু’দিনে উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের গুজিখাঁ গ্রামের অফিজ উদ্দিনের পুত্র সাহেদ আলীর প্রায় ৬০হাজার, আব্দুল জলিলের পুত্র মোঃ আল আমিনের প্রায় ৮০হাজার, আব্দুল গণির পুত্র জাকির হোসেনের প্রায় ৩০হাজার, মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র আব্দুস সালামের প্রায় ২৫হাজার, তার ভাই গোপাল মিয়া মুনশীর প্রায় ২০হাজার, নওয়াগাঁও গ্রামের হাজী মোঃ ইজ্জত আলীর পুত্র নুরুল হকের প্রায় ২৫হাজার, ইজ্জত আলীর পুত্র মোঃ সামছুল হকের প্রায় ২৪হাজার, সতিশা গ্রামের উসমত আলীর পুত্র সাইদুল ইসলামের প্রায় ১লাখ, পৌর কাউন্সিলার আতাউর রহমান আতার প্রায় ৮০হাজার, নওয়াগাঁও গ্রামের আবুল হকের প্রায় ২৫হাজার, গুজিখাঁ গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র আবুল হকের প্রায় ৩০হাজার, সতিশা গ্রামের মৃত আলী হোসেন ফকিরের পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলামের প্রায় ৪০হাজার, , ইছমত আলীর পুত্র মুখলেছুর রহমানের ২২হাজার, আসমত আলীর পুত্র তোতা মিয়ার ২৭হাজার ও ভবানীপুর গ্রামের নুর হোসেনের পুত্র মোঃ নয়ন মিয়ার প্রায় ৩৫হাজার গুলশা মাছ অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। চাষীরা অবশিষ্ট মাছ রক্ষায় দোকানী ও প্রতিবেশী চাষীদের পরামর্শে নানা রকম ওষুধ দিয়ে যাচ্ছেন। তবু মৃত্যু ঠেকাতে পারছে না।

এ প্রতিনিধির মাধ্যমে খরব পেয়ে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর/১৬) ঈশ্বরগঞ্জের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ.এস.এম সানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে গৌরীপুরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জান্নাত-এ-হুর, গৌরীপুর মৎস্য বীজ প্রজনন কেন্দ্রের খামার ব্যবস্থাপক সুকুমার রায় ও ক্ষেত্র সহকারী মোঃ শামছুল হক ক্ষতিগ্রস্থ পুকুর পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দল এ সময় পুকুরের পানি, মৃত-অর্ধমৃত মাছ সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ স্বাদু পানি গবেষণা কেন্দ্রে প্রেরণ ও চাষীদের মাছের মৃত্যু ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও চিকিৎসা প্রদান করেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই