তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ছোট মেহেদীর চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজন সাহায্য করুন

ছোট মেহেদীর চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজন সাহায্য করুন
[ভালুকা ডট কম : ০৪ ডিসেম্বর]
নওগাঁর রাণীনগরে ভবানীপুর মন্ডলপাড়া গ্রামে আবুল কালাম আজাদের ছেলে মেহেদী হাসান (৮) অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে দূর্বিষ জীবন-যাপন করছে। জন্মের ১০/১২ দিন পর থেকেই সে ব্যাপক কান্না করতো। এক পর্যায়ে তার শরীরিরে আস্তে আস্তে বাসা বাধে অজানা এই রোগটি।

সে না পারে হাঁটতে না পারে খেলাধুলা করতে। নিজে নিজে তার দুই হাত দিয়ে খেতেও পারে না। চিকিৎসকরা বলতে পারছেন মেহেদী হাসান কি রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বয়স বারার সাথে সাথে সাড়া শরীরিরে এই রোগের বিস্তার ঘটছে। দিন রাত সব সময় প্রচন্ড ব্যাথা আর শরীরির ফেটে রক্ত ঝড়ায় অধিকাংশ সময় যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে দূর্বিষ জীবন-যাপন করছে।    

মেহেদীর বাবা দরিদ্র ভ্যান চালক আবুল কালাম আজাদ ও মা গৃহিনী জাহানারা বেগমের তিন সন্তানের মধ্যে ছোট ছেলে মেহেদী হাসান। ছেলেকে উপযুক্ত চিকিৎসা করার সামর্থ্য না থাকায় কত দিন বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান, দানবীরসহ সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। মেহেদীর পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা প্রশাসনের সাথে বারবার যোগাযোগ করে কোন ভাতা ও আর্থিক সহযোগিতা না পেলেও শুধু মাত্র আশ্বাস পেয়েছেন।

জানা গেছে, মেহেদী হাসান ২৮ মে ২০০৭ সালে রাণীনগর উপজেলার ভবানীপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ঘরে জন্ম নেয়। জন্মের পর থেকেই মেহেদীর শরীর ধবধবে সাদা। তখন চিকিৎসকের কাছে গেলে ‘রক্ত শূণ্যতা’ বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। জন্মের ১০/১২ দিন পর থেকেই মেহেদীর শরীরে হাত-পায়ে ফাটা ও ফুসকার মত দেখা দেয়।

মা জাহানারা বেগম বলেন, দিন দিন মেহেদীর বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে তার শরীর ফেটে যাওয়ায় ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছেলের চিকিৎসা করানো হয়েছে। কিন্তু রোগটি অজানাই থেকে যায়। একা খেতে পারে না। কিছু ধরতেও পারে না। কারে সাথে খেলাধুলা করতে এমনকি ঠিক মতো শুয়ে থাকতে পারে না। তার সেবা যত্ন নিজেকে করতে হয়। তবে শীতের সময় বেশি সমস্যা হয়। গায়ে জামা কাপড় পরে থাকলে খুবই অসুবিধা হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশ ফেটে রক্ত বের হয়ে জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে কিছুটা দূর্গন্ধ ছড়ায়। যার কারণে কেউ তার সেবা যত্ন করতে চাই না। মেহেদী হাসান জানায়, সে অন্য ছেলে-মেয়ের মতো খেলতে, পড়তে, বাঁচতে চায়।

সে ভবানীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হলেও অজ্ঞাত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে সে স্কুলে যেতে ভয় পায়। তাই বাধ্য হয়ে সে নিয়মিত স্কুলে যায় না। তবে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সাহানা ফেরদৌসি তাকে পড়ালেখায় উৎসাহী করার জন্য সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

মেহেদীর বাবা আবুল কালাম আজাদ জানান, তার বাড়ীর জায়গা ছাড়া কিছুই নেই। ভ্যান চালিয়ে সংসারের খরচ চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। সেখানে মেহেদীর চিকিৎসা করতে ঋণ করতে হচ্ছে। আবার কষ্ট করে ভ্যান চালিয়ে যে টাকা পেয়ে থাকেন সেই টাকা দিয়ে সাধ্যের মধ্যে বিভিন্ন ভাবে এ পর্যন্ত চিকিৎসা দিচ্ছেন। কিন্তু টাকার অভাবে ১ বছর থেকে আর চিকিৎসা করানো এবং ভাল কোন ডাক্তার দেখানো সম্ভব হচ্ছে না।

রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: এসএম নাজমুল আহসান জানান, এটা একটি জটিল চর্ম রোগ। আমার জানা মতে তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এবং ঢাকা পিজি’তে চিকিৎসা করেছে। তবে এ পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত কোন রোগীই সুস্থ্য হয়নি।#

বি:দ্র: - যদি কেউ মেহেদীর চিকিৎসার জন্য অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে চান তবে ভালুকা ডট কম এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা ভালুকা ডট কম এর রাণীনগর প্রতিনিধির মোবা: ০১৭২৯-৩২০০১১ যোগাযোগ করতে পারেন ।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

পাঠক মতামত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই