তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে দুই মন্দিরের তালা ভেঙ্গে মূর্তি ভাঙচুর-পূজার উপকরণ লুট

গৌরীপুরে দুই মন্দিরের তালা ভেঙ্গে মূর্তি ভাঙচুর-পূজার উপকরণ লুট
[ভালুকা ডট কম : ০৬ ডিসেম্বর]
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের মধ্য কাউরাট গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুটি কালি মন্দিরের তালা ভেঙ্গে মূর্তি ভাঙচুর, নাগমূর্তি চুরি ও পূজার উপকরণ লুট করে নিয়ে গেছে দুবৃর্ত্তরা।

ঘটনাটি রোববার (৪ ডিসেম্বর/১৬) দিবাগত রাতের কোন এক সময়। সোমবার সকালে মূর্তি ভাঙচুরের বিষয়টি দেখেও আতঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিষয়টি চেপে যান। ঘটনাটি মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর/১৬) জানাজানি হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইউএনও মর্জিনা আক্তার ও গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার আহ্ম্মদ ও মোর্শেদুল হাসান খান।

কাউরাট মধ্যপাড়ার স্বর্গীয় রমেশ চন্দ্র সূত্রধরের পুত্র অনিল চন্দ্র সূত্রধর জানান, মধ্যপাড়া সরকারি পুকুরপাড়ে সার্বজনীন কালি মন্দিরটি দেড়শত বছরের পুরানো অপরটি পারিবারিক কালি মন্দির। এদিকে মূর্তি ভাঙচুরের খবর পেয়ে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর পরিদর্শন শেষে বলেন, আমরা দুটি মন্দির পরিদর্শন করে গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মের লোকজনের সাথে কথা বলেছি। সবাই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গ্রামের ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধন নষ্ট করার উদ্দেশ্যে জামাত-শিবির চক্র এই জঘন্য কাজ করে থাকতে পারে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মইলাকান্দা ইউনিয়নের মধ্য কাউরাট গ্রামের নিখিল চন্দ্র সূত্র ধরের বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে টিনশেড ঘরে নির্মিত মন্দিরটিতে এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পূজা-অর্চনা করে আসছিলো। গত রবিবার রাতে দুবৃর্ত্তরা এই মন্দিরের  তালা ভেঙ্গে কালি, শিব ও অসুরের মাথা ভেঙ্গে ও নাগ মূর্তির চুরি করে নিয়ে যায়।

এ সময় দুবৃর্ত্তরা মন্দিরের পূজার উপকরণ লুট করেছে বলে অভিযোগ করেন সন্তোষ চন্দ্র সূত্রধর।মন্দিরের সভাপতি সুনীল চন্দ্র সূত্র ধর বলেন, সকল ধর্মের লোকজন সম্প্রীতির বন্ধনে দিনযাপন করে আসছি। সম্প্রীতি নষ্ট করতে কোন কুচর্ক্রী মহল এ কাজ করেছে।

এদিকে মধ্য কাউরাট  গ্রামের অনিল চন্দ্র সূত্র ধর গত তিন বছর আগে বাড়ির পাশে টিনশেড ঘরে কালি মন্দির নির্মাণ করে পারিবারিক ভাবে পূজা অর্চনা করে আসছিলেন।  সোমবার সকালে পরিবারের লোকজন মন্দিরে পূজা  করতে এসে দেখে মন্দিরের দরজার তালা খোলা। কালি মূর্তির মাথা ভাঙচুর এবং পূজার উপকরণগুলো তছনছ করা।

অনিল চন্দ্র সূত্র ধর বলেন, গ্রামে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি। গ্রামের কারো সাথে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তাই আমরা এই বিষয়ে কাউকেই সন্দেহ করতে পারছিনা। তবে প্রশাসনের কাছে আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

ঘটনার নিন্দা জ্ঞাপন করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াদুজ্জামান বলেন, দুই শত বছরের ইতিহাসে এই গ্রামে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার আহ্ম্মদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই