তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

চিকিৎসার অভাবে আদিবাসী সুলিপের মানবেতর জীবন-যাপন

চিকিৎসার অভাবে আদিবাসী সুলিপের মানবেতর জীবন-যাপন
[ভালুকা ডট কম : ১৫ ডিসেম্বর]
নওগাঁর বদলগাছীতে চিকিৎসার অভাবে আদিবাসী সুলিপের মানবেতর জীবন যাপন। উপজেলার পাহারপুর ইউপির দ্বারিশন গ্রামের শ্রী ভুন্ডুলার ছেলে শ্রী: সুলিপ কুমার (২৮) সু-চিকিৎসার  অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে। প্রতি নিয়ত তাকে অসহ্য ব্যাথার যন্ত্রনা সহ্য করতে হচ্ছে। ভূমিহীন এই ছেলে তার শ্বশুর বাড়ীতে সে পায়না সরকারি সুয়োগ সুবিধা। শশুর বাড়ীতে অবস্থানরত অবস্থায় তার স্ত্রীর উপরে নির্ভর করে ৪ বছরের ফুটফুটে শিশু সন্তান সহ অতীব কষ্টে দিন যাপন করছে।

সুলিপের পরিবার সুত্রে জানা যায়, ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের সংস্কার কাজে ২শ টাকা দিন মজুরী কর্মী ছিল সে। দুপুর বেলায় কর্ম বিরতীর সময় জালানি কাঠ কাটতে গাছে ওঠে সে। দূর্ভাগ্যবশত গাছ থেকে পড়ে গিয়ে মেরুদন্ডের হার ও দুই পা ভেঙ্গে যায়। এমন সময়ে সংস্কার কাজে দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সুপার ভাইজারের তত্ত্বাবধানে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখান থেকে বগুড়া জিয়া মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয় সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেয়। অর্থ অভাবে  সেখানেই থেমে যায় সুলিপের পায়ের ভর করে চলা ফিরা। চিকিৎসার টাকা জোগার করতে না পারায় ঢালি কনস্ট্রাকশানের কর্মকর্তার কাছে হাত বাড়ায় সুলিপের স্ত্রী। চিকিৎসা বাবদ দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২ দুই হাজার  টাকা প্রদান করে। এত অল্প টাকায় চিকিৎসা সম্ভব না হওয়ায় বাড়ী এসে কবিরাজী চিকিৎসা করে সে।

কবিরাজী চিকিৎসায় মেরুদন্ডের হার কিছুটা ব্যাথা কমলেও পা অবোশ হয়ে আছে। সুলিপের স্ত্রী জানায়, কবিরাজ বলেছে তার স্বামী প্যারালাইসিস হয়েছে। সহজ সরল সুলিপের স্ত্রী সেটাই বিশ্বাস করে সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব নিজের হাতেই নিয়েছে। সংসার কিভাবে চলবে এমন প্রশ্নের জবাবে  সুলিপের স্ত্রী জানায়, স্বামীর বদলে সংস্কার কর্মী হয়ে কাজ করছে সে। প্রতিদিন ২শ টাকা দিন মজুরীতে তার সংসার চলছে। সংস্কার কাজ ও শেষের পথে কাজ শেষ হলে কি করবে এমনটা এখনো ভাবেনি।

এ বিষয়ে ঢালি কনস্ট্রাকশনের দায়িত্ব প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল আলম জানান, আমরা তাকে চিকিৎসা বাবদ কিছু টাকা দিয়েছি। আমাদের কাজও শেষের পথে তার স্বামীর পরির্বতে আমরা তাকে কাজে নিয়েছি। তবে সে ব্যক্তিগত কাজে তার পা ভেঙ্গেছে বলে আমরা তার দায়িত্ব নিতে পারবনা। এলাকাবাসীর ধারনা উন্নত চিকিৎসা করা গেলে সে আবার নিজের পায়ে দাড়াতে পারবে।  সুলিপরে পরিবার ও এলাকা বাসী বলেন  টাকার অভাবে  তার চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছেনা। উদ্ধর্তন কৃতিপক্ষের আশুহস্থেক্ষেপ কামনা করছেন অসহায় পরিবারটি।  #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

পাঠক মতামত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই