তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে বৈরী আবহাওয়ায় পুঁজি হারাচ্ছে দেড় হাজার আলুচাষী

গৌরীপুরে বৈরী আবহাওয়ায় পুঁজি হারাচ্ছে দেড় হাজার আলুচাষী
[ভালুকা ডট কম : ৩১ ডিসেম্বর]
শীতের মৌসুমে শীতের দেখা মিলেনি চল্লিশা আলুর কাঙ্খিত ফলন হয়নি। ময়মনসিংহের গৌরীপুরের কৃষকরা হতাশ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে দেড় হাজার চল্লিশা জাতের আলুচাষী এবার পুঁজি হারাচ্ছেন।

কৃষকদের আলু কেনা-বেচার জন্য নিজেরাই গড়ে তোলেন আলুর মোকাম কলতাপাড়ায়। কৃষক ও ফরিয়ারাদের আগমনে জমে উঠেছে আলুর মোকাম। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আলু যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে কৃষকরা কাঙ্খিত উৎপাদন ও মূল্য না পেয়ে পুঁজি হারিয়ে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ফিরছেন বাড়িতে।

ডৌহাখলা ইউনিয়নের চুড়ালী গ্রামের আব্দুল মোতালেব বেপারী। ২একর জমিতে চল্লিশা জাতের আলু চাষ করেন। নিজের শ্রম বাদেই উৎপাদন খরচ প্রায় ২লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। নির্ধারিত সময় গেলেও আলু ক্ষেতের আলু বড় হচ্ছে না। উৎপাদন কমে যাওয়ায় ৬৫হাজার টাকা লোকশান গুনতে হচ্ছে তাকে। ধার-দেনা আর বাকীতে কৃষি উপকরণ নিয়ে চাষাবাদ করেন। এবার সেই টাকা না উঠায় তিনি হতাশ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান বলেন, প্রতিবছর প্রায় ১৭হাজার মেট্টিকটন আলু উৎপাদন হয়।

নন্দীগ্রামের কৃষক ইউসব আলী। ১৫০শতাংশ জমিতে চল্লিশা জাতের আলু রোপন করে খরচ প্রায় ৭০হাজার টাকা। ১১০শতাংশ জমিতে আসল গুনতে পারলেও ৪০শতাংশ জমিতে লোকশান ৭হাজার টাকা। তিনি জানান, আলু চাষ করে বোরো ধান রোপন করবো, সেই স্বপ্ন নিয়ে আলু চাষ করেছি। এখন আসলই মিলছে না। সামন্য লাভের সন্ধান পেয়েছেন একমাত্র চাষী কলতাপাড়ার মোঃ হাইসু মিয়া। তিনি জানান, ৯০শতাংশ জমিতে প্রায় ৪৫হাজার টাকার খরচ করে ৬০হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত আলু চাষে অভিজ্ঞ কৃষক মোঃ রহিম উদ্দিন জানান, এই আলুর জন্যও শীতের প্রয়োজন, অথচ শীতকালে শীত নেই। তাই আলু বড় হয়নি। তিনিও ১০কাটা জমি চাষ করে লোকশান গুনতে হয়েছে প্রায় ১২হাজার টাকা।

একই রকম ক্ষতির সম্মুখীন কৃষক আব্দুল গণি, মাহবুব আলম, আব্দুর রহমান, আব্দুর রশিদ, ফয়েজ উদ্দিন, হাইসুল ইসলাম, আহাম্মদ আলী, হাবিবুর রহমান, সাইদুল ইসলাম জানান, তাদের প্রত্যেককে ১০হাজার টাকা থেকে লাখ টাকাও পুঁজি হারাতে হচ্ছে। আলু বাজারের ইজারাদার মোঃ রহিম উদ্দিন জানান, উপজেলার ডৌহাখলা, ২নং গৌরীপুর ও ভাংনামারীর চরে প্রায় ২হাজার কৃষক চল্লিশা জাতের আলু প্রত্যেক বছর চাষ করে। এবছর উৎপাদন কম হওয়ায় ও আলু কাঙ্খিত মূল্য না পাওয়ায় প্রায় দেড় হাজার কৃষক আগামী মৌসুমে আলু চাষের পুঁজি মিলাতে পারবেন না।

উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ভোলানাথ জানান, ২০১৫-১৬অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯০৩ হেক্টর। চাষ হয়েছে উফশী ডায়ম- ও কার্ডিনাল জাতের ৭৫ হেক্টর, চল্লিশা জাতের ৮৫০ হেক্টর, বগুড়া জাতের ৫০ হেক্টর, জাম জাতের ২৫ হেক্টর। আলু উৎপাদিত হয়েছে উফশী জাতের ১৬৮৫ মেট্টিকটন, চল্লিশা ১২৭৫০ মেট্টিকটন, বগুড়া জাতের ৬০০হেক্টর ও জাম জাতের ২৫০ হেক্টর।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই