তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ফুলপুর হাসপাতালে ডাক্তার সংকটসহ নানা সমস্যায় রোগী ভোগান্তি

ফুলপুর হাসপাতালে ডাক্তার সংকটসহ নানা সমস্যায় রোগী ভোগান্তি
[ভালুকা ডট কম : ০৮ জানুয়ারী]
ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার সংকটে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন আগত রোগীরা। প্রায় ৮ বছর ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে এক্স-রে মেশিন ও জেনারেটর। অপারেশন থিয়েটার থাকলেও কোন কাজ হয় না।

জানা যায়, ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের ২০টি অনুমোদিত পদ থাকলেও কার্যত নিয়োজিত আছেন ১২ জন। তাদের মধ্যে ৬ জন কনসালটেন্ট, ৫ জন মেডিক্যাল অফিসার ও ১জন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রয়েছেন। নিয়োজিত ডাক্তারদের মধ্যে সকলেই নিয়মিত আসেন না। কনসালটেন্টদের মধ্যে কেউ ঢাকায় অবস্থান করে সপ্তাহে একদিন আসেন। তারা সারা বছরই একটি ছুটির দরখাস্ত জমা রেখে সপ্তাহে একদিন হাসপাতালে হাজিরা দিয়ে পুরো সপ্তাহের স্বাক্ষর করেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। অপরদিকে ২০টি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে মেডিক্যাল অফিসার নিয়োজিত থাকলে কার্যত কোনোটিতেও ডাক্তার নেই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, তাদের মধ্যে ৪ কেন্দ্রের ডাক্তার মাতৃত্ব ছুটিতে, ৫ কেন্দ্রের ডাক্তার ফান্ডামেন্টাল প্রশিক্ষণে ও ৮ কেন্দ্রের ডাক্তার প্রেষণে অন্যত্র আছেন। এছাড়া ২ কেন্দ্রের ডাক্তার চাকুরীতে যোগদানের ৩ মাস পর থেকে এ পর্যন্ত অনুপস্থিত রয়েছেন। ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে ৫শ’ রোগী চিকিৎসা সেবার জন্য ভিড় জমান। ডাক্তাদের অনুপস্থিতির কারণে সিংহভাগ রোগী চিকিৎসা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান। একই চিত্র ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভিড় থাকলেও ডাক্তার শূন্যতার কারণে সুষ্ঠু চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেনা।

ডাক্তারদের এ অনুপস্তিতি ও অনিয়মের ব্যাপারে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ পরিমল পালের কাছে জানতে চাইলে সমস্যার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, কর্মরত ডাক্তারদের ছুটি দেয়া আমার দায়িত্ব নয়। তবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। হাসপাতালে একটি এক্স-রে মেশিন থাকলে তা ৮ বছর যাবৎ বিকল হয়ে পড়ে আছে। বিকল এক্স-রে মেশিনটি সচল না করায় এখন ধ্বংসের সম্মুখীন। এছাড়া একমাত্র জেনারেটরটিও ৭/৮ বছর ধরে অকেজো। বিদ্যুৎ চলে গেলে জরুরি বিভাগসহ সকল কাজেই মোমবাতিই একমাত্র ভরসা।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ পরিমল পাল জানান, এক্স-রে মেশিনটি মেরামত করার জন্য ইতোমধ্য বেশ কয়েকবার লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোন কাজ হচ্ছে না। সমস্ত যন্ত্রপাতিসহ একটি অপারেশন থিয়েটার থাকলেও কোন অপারেশনের কাজ হয় না। পরিকল্পিতভাবে অপারেশন থিয়েটারটি নিষ্ক্রিয় রাখা হয়েছে বলে অনেকের ধারণা। এ ব্যাপারে ডাঃ পরিমল পাল জানান, অপারেশন থিয়েটার থাকলেও এনেস্তেশিয়া ডাক্তার না থাকায় কোন অপারশনের কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা ।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই