তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়েই মরতে চান আব্দুল কুদ্দুস

মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়েই মরতে চান আব্দুল কুদ্দুস
[ভালুকা ডট কম : ১৩ ফেব্রুয়ারী]
নওগাঁর জেলার পত্নীতলা উপজেলার মাটিন্দর ইউপির শাশইল গ্রামের বাসিন্দা ৭১’ সালে মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে ঝ^াঁপিয়ে পড়েছিলেন। মো: আব্দুল কুদ্দুস মাখনের সঙ্গে আলাপ-চারিতার মাঝে মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে বলতে গিয়ে যেসব কথাবার্তা সাক্ষাতকারে জানান ।

মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজ হাতে রাইফেলস্, গ্রেনেড, হাতবোমা (যাহার ওজন বর্তমান আড়াই’শ গ্রাম হতে দেড় কেজি পর্যন্ত), স্টেনগান ইত্যাতি অস্ত্র পরিচালনা করি।বর্তমান ভারতের পশ্বিম দিনাজপুরের- তেলিঘাঁটা, খড়মদাঙ্গা, পরিলা ক্যাম্প, থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলাম।আমরা বাঙ্গালি ক্যাপ্টেন সলেমন ও কমান্ডার-হিরোহিত সিং এর নেতৃত্বে মক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি এবং অধিনায়ক ছিলেন শহীদ মেজর নাজমুল হক ও ০৭ নং সেক্টর কমান্ডার লে: কর্নেল কাজী নুরুজামান।

আমরা নওগাঁর জেলার সাপাহার, আগ্রাদ্বিগুন, মধইল, শিবপুর এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ করেছি। তাদের মধ্যে আজো বেঁচে আছেন আমার সহকর্মী মুক্তিযোদ্ধা উপজেলার মাটিন্দর গ্রামের মজিবুর রহমান ও উষ্টি গ্রামের সাদেক উদ্দিন।বর্তমান নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার বাকরইল নামক স্থান হতে রাজাকাররা আমাকে ধরে নিয়ে যান তৎকালীন নজিপুর পাকিস্থানি ক্যাম্পে। সেখানে আমাকে ২৫ দিন আটকায়ে রাখে ও বিভিন্ন শারীরিক কষ্ট দেয়। যা আজ এখনও হৃদয়ে পোড়া স্মৃতি দু’চোখে শুধুু নয়, অন্তরের নয়নে ভাসছে ! আর গা শিউরে উঠছে !বর্তমান নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার শিবপুরের চেরু মন্ডল ও নজিপুরের ন্যজমল রাজাকাররা আমাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন।  

আমার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ স্বরুপ বিভিন্ন সনদপত্রাদি রয়েছে এগুলো হচ্ছে:
ভারতের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা- যোদ্ধা নং-১৭৯৬৬১, নাম-মো: আব্দুল কুদ্দুস মাখন, পিতা-কচিমুদ্দীন মন্ডল, গ্রাম-শাশইল, পো:-রসুলপুর, পত্নীতলা, নওগাঁ।

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পারিলা যুব অভার্থনা শিবিরের, খড়মদাঙ্গা প্রশিক্ষণ সনদ-পো:-তেলিঘাঁটা, জেলা-পশ্বিম দিনাজপুর, যাহার তারিখ-০৪/১২/১৯৭১ইং। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন ১৯৯৪ইং সন অনুমোদিত ভোটার তালিকা- সূচক নং-৬৪-৭৫-৫১-০০২, জন্ম তারিখ-১৭/১১/১৯৫৪ ইং। পাটিরাম ইউথ ক্যাম্প ইনচার্জ মহীউদ্দীন আহমেদ কর্তৃক দেওয়া ১০/১২/১৯৭১ ইং তারিখের সনদপত্র। যা ‘এ’ শ্রেণির সার্টিফিকেট।

ক্ষোভ প্রকাশে দু’চোখে এক পশলা জল গড়ে পড়তে পড়তে বলেন, আজ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তালিকায় নাম না থাকায়, মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় মেয়ের সরকারি চাকুরি হচ্ছে না। বর্তমান জাতীয় মক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক সনদপত্র না পাওয়ায়। তবে কয়েক বার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকায় যোগাযোগ করা হলে কর্তৃপক্ষ কাজ হচ্ছে, হবে, চলছে বলে জানায়। আমার সম্মানী ভাতা নয়, মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েই পরকালে যেতে চাই।

পত্নীতলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মো: শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সংগ্রাম করেছি। আমাদের দলে তিনি ছিলেন না। তবে, আমি অনেকের কাছ থেকে শুনেছি আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তাঁর বিভিন্ন প্রশিক্ষণের কাগজপত্রাদিও দেখেছি। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

পাঠক মতামত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই