তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নামে মাত্র শিশু পার্ক বিনোদনের নামে চলছে দিনভর বেহায়াপনা

নামে মাত্র শিশু পার্ক বিনোদনের নামে চলছে দিনভর বেহায়াপনা
[ভালুকা ডট কম : ১৪ ফেব্রুয়ারী]
প্রতিদিন সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে বেহায়াপনা। নামে মাত্র শিশু পার্ক। আসলে এটি প্রেমিক-প্রেমিকাদের একটি ঘনিষ্ট সময় কাটানো জায়গা। ১৪ ফেব্রুয়ারী এই প্রেমিক-প্রেমিকাদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে কয়েক গুন।

বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার শেষ সীমান্তে বগুড়া-সান্তাহার সড়কের দক্ষিণ পাশে একটি চাল কলের চারদিক ঘিরে ফারিস্তা শিশু পার্ক। গেইটে ২০ টাকার মাধ্যমে টিকেট কেটে একবার এই পার্কে প্রবেশ করলে সারাদিন থাকা যায়। প্রবেশের পর পার্কের ভিতরে শিশুদের জন্য শুধুমাত্র ২টি দোলনা ছাড়া আর কিছুই চোখে বড়বে না। চাল কলের গুদাম ঘরের পিছনে রয়েছে একটি পুকুর। আর এই পুকুরের পানি জতই নংড়া হোকনা কেনো এর চার পাশে রয়েছে ঘোন গাছ ও বসার জন্য পাকা ছোট ছোট বেঞ্চ।
 
পার্কের ভেতওে প্রবেশ করলে যেদিকে নজর পড়ে সেদিকেই দেখা যায় প্রেমিক-প্রেমিকারা ভালোবাসা ও আদর সোহাগে মত্ত রয়েছে। কার পাশ দিয়ে কে আসলো আর কেইবা গেলো সেদিকে নজর দেয়ার মতো কোনো সময়ই নেই। যে যার মতো করে প্রেমলীলায় ব্যতিব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। ভদ্র পরিবারের কেউ এ পার্কে একবার যদি ভুলক্রমে প্রবেশ করে পুনরায় আর কখনো সেখানে যাবার নাম মুখে নিবে না।

নামে শিশু পার্ক হলেও শিশুদের চেয়ে উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীরা প্রবেশ করে বেহায়াপনায় লিপ্ত থাকে। যা স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করার মতো নয়। আর প্রেমিক-প্রেমিকাদের আবেগাপ্লুত আদর-সোহাগের দৃশ্য দেখে মনে হয়, ফ্রি সেক্সের দেশের কোনো পরিবেশ। পুরো পার্কের ভেতরে প্রেমিক-প্রেমিকা ছাড়া আর পার্কের লোকজন ছাড়া কোনো শিশুকেই দেখা যায়নি। প্রেমিক-প্রেমিকারা হাতে হাত কাঁধে হাত দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়। এমন কোনো যুবক কিংবা যুবতীকে নজরে পড়েনি একা বসে থাকতে। সকলেই জুটি মিলিয়ে বসে হাতাহাতি করাসহ আপত্তিকর দৃশ্যের অবতারণা করছে। পার্কের সামনে গেইটের বাইরে সিএনজি স্কুটার ও রিক্সা চালকরা ভাড়া নেয়ার জন্যে অপেক্ষার প্রহর গুণছে। আর ভেতরে বেহায়াপনা করার জন্যে মোটর সাইকেল, রিক্সা ও সিএনজি স্কুটার যোগে কিছুক্ষণ পর পর প্রেমিক-প্রেমিকারা প্রবেশ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্কে আসা নওগাঁর এক যুবতী ভেতরে প্রবেশের ৫/৭ মিনিটের মধ্যে বের হয়ে চলে যান। এ সময় তাকে কারণ জিজ্ঞেস করলে সে 'কিছু না' বলে চলে যায়। একটু সামনে গিয়ে পুনরায় জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, এক বড় ভাইয়ের সাথে ঘুরতে এসে দেখি ঘুরার মতো কিছু নেই। আপনি দেখেননি কিছু! তাই একাই চলে যাচ্ছি। রাণীনগর উপজেলা থেকে আসা এক যুবককে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, প্রেমিকা নিয়ে এখানে অনেকক্ষণ সময় কাটানো যায়। খোশ গল্প ও দুষ্টামি করা যায় নিজের মতো করে। ভেতরে কোনো ঝামেলা নেই। সিএনজি স্কুটার চালক আব্দুর রহিম জানান, নামে পার্ক ভেতরে গিয়ে দেখেন প্রেমিক-প্রেমিকারা কী করছে। এ রকম দৃশ্য আমি আর কোথাও দেখি না।

পার্কের পরিচালক খন্দকার আব্দুল লতিব জানান, আমার এই পার্কে আমি কাউকে আসার জন্য হাতে পায়ে ধরি নাই। যার ভালো লাগে সে আসবে। আর যার ভালো লাগবে না সে আসবে না।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই