তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরের মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন অব্যাহত

সহকারী শিক্ষককে অবৈধভাবে বহিষ্কারের প্রতিবাদে
গৌরীপুরের মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন অব্যাহত
[ভালুকা ডট কম : ০৫ মার্চ]
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহিদা আক্তারকে সাময়িক বহিষ্কারের প্রতিবাদে রোববার (৫ মার্চ/১৭) বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস বর্জন অব্যাহত রেখেছে। প্রতিকার চেয়ে অবৈধ সাময়িক বহিষ্কার প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট রোববার (৫ মার্চ/১৭) আবেদন করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, এ বিদ্যালয়ে সাময়িক বহিষ্কারের নামে চলছে বাণিজ্য!বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্ত ৬জন শিক্ষকের মধ্যে ইতোমধ্যে সাময়িক বহিষ্কার বাণিজ্যের শিকার হন ৪জন শিক্ষক। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ.টি.এম শামসুজ্জামান মাসুদ ৩০/০৪/২০১৫ তারিখে সাময়িক বহিষ্কার করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলামকে।

জনশ্রুতি রয়েছে, প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনায় শিক্ষকদের ১০মাসের বেতন আটকে যায়, এ বেতন উত্তোলন করতে গিয়ে ৩০ভাগ উৎকোচ দিতে বাধ্য হন। সহকারী শিক্ষক এ.কে.এম নাজমুল ইসলাম কাসেমের প্রথমে ২০১৬সালে চার মাসের বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর ৮/১১/১৬ তারিখে সাময়িক বহিষ্কারের পর এ আদেশ ৫/০১/২০১৭ প্রত্যাহার করেন। সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদিনও নির্বাচনী জটিলতায় সাময়িক বহিষ্কারের শিকার হন। জুলাই-আগস্ট/১৬ দু’মাসের বেতন বন্ধ ছিলো সহকারী শিক্ষক সাহিদা আক্তারের। এরপর এ শিক্ষককে ১মার্চ/১৭ তারিখে তাকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। সহকারী শিক্ষক এ.কে.এম নাজমুল ইসলাম কাসেম ও সাহিদা আক্তারের ঈদের বোনাস আজও উত্তোলন করতে পারেননি। সাময়িক বহিষ্কার এটি বিদ্যালয়ের নিয়মশৃঙখলার বিষয় উল্লেখ করে সভাপতি এটিএম শামসুজ্জামান মাসুদ বলেন, বাণিজ্য বা উৎকোচের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে।

সাহিদা আক্তার জানান, প্রধান শিক্ষক শুধুমাত্র আমাকে হয়রানি করতেই সমাজবিজ্ঞানে শূন্য দেখিয়ে এনটিআরসিতে তথ্য প্রেরণ করেন। এ তথ্যানুযায়ী সমাজবিজ্ঞানে একজন সহকারী শিক্ষক প্রেরণ করে এনটিআরসি। এখন নবযোগদানকৃত শিক্ষকের এমপিওভুক্ত করতেই আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।  

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ইয়াসিন মিয়া, মঞ্জু মিয়া, তুহিন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার ছুটির পর তারা জানতে পারেন তাদের সমাজবিজ্ঞানে সহকারী শিক্ষক শাহিদা আক্তারকে প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলামের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ মাসুদ করীম অবৈধভাবে ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কারের পত্র দেন। ঘটনাটি বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক এবং এলাকাবাসী প্রিয় শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার প্রত্যাহার ও প্রধান শিক্ষকের একের পর এক স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে এ কর্মসূচী পালন করছে।

দেলোয়ার হোসেন, মনোয়ার হোসেন, রাকিব আহম্মেদ জানান, প্রিয় শিক্ষককে বহালের দাবিতে টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে আমরা ব্যানার তৈরি করেছি, প্রয়োজনে রক্ত বিক্রি করে ম্যাডামের আন্দোলন চালিয়ে যাব।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই