তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রক্তদহ বিলে বরেন্দ্র প্রকল্পের বাঁধ,কৃষকের যেন মরণ ফাঁদ

রক্তদহ বিলে বরেন্দ্র প্রকল্পের বাঁধ,কৃষকের যেন মরণ ফাঁদ
[ভালুকা ডট কম : ২৬ এপ্রিল]
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা ও নওগাঁ জেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলে বরেন্দ্র বহুমূখি উন্নয়ন প্রকল্প বৃষ্টির পানি আটকে রাখার জন্য ৭ ফুট উঁচু করে ২টি বাঁধ নির্মাণ করে এ অঞ্চলের কৃষকদের সর্বনাশ করেছে। এক পশলা বৃষ্টি হলেই পানি নিষ্কাশনের এই খালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। গত প্রায় তিন বছর যাবৎ এই বাঁধের সচিত্র রিপোর্ট বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ হলেও আজ পর্যন্ত প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষের কোন টনক নড়েনি। তাই স্থানীয় কৃষকরা বাধ্য হয়ে ইরামতি খালের এই বাঁধে কিছু অংশ ভেঙ্গে ফেলেছে। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হচ্ছে না।

গত ১৯ এপ্রিল থেকে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পানি ও উজান থেকে নেমে আসা পানি এ খাল দিয়ে গড়িয়ে ভাটার দিকে সঠিক ভাবে যেতে পারছে না এই বাঁধের কারণে। তাই এই খালের দুই পাশের হাজার হাজার বিঘা আধা পাকা বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে এ অঞ্চলের কৃষকরা লাখ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখিন হবেন বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান। কৃষক ও এলাকাবাসী ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের এ দু’টি বাঁধ ভেঙ্গে দিয়ে সহজে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রশাসনের নিকট জোড় দাবী জানিয়েছে।

ইরামতি খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ কিলোমিটার। দুপচাঁচিয়া উপজেলার ভাতহান্ডা এই খালের উৎপত্তি নিচু জমিতে। দুপচাঁচিয়া, আদমদীঘি, রাণীনগর, আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল উপজেলার মাঠের পানি গড়িয়ে বর্ষাকালে এই খাল দিয়ে রক্তদহ বিলে পড়ে। রক্তদহ খাল থেকে এই পানি বিভিন্ন খাল পথে প্রবাহিত হয়ে আত্রাই নদীতে যায়। এটা হলো এই ইরামতি খালের স্বাভাবিক গতি ধারা। বিভিন্ন সময় এই অগভীর খাল ভরাট হয়ে গেলে খনন করা হয়।

২০১৩ সাল থেকে এই খাল খনন শুরু হলেও আজ পর্যন্ত খনন কাজ শেয় হয়নি। সবে মাত্র কোঁচকুড়ি রেলওয়ে ব্রীজ থেকে পারইল রক্তদহের বিল পর্যন্ত না পৌছতেই খনন কাজ শেষ হয়ে যায়। এর মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খাল খননে যথেষ্ট ফাঁকি দিয়েছে। যেখানে যতটুকু চওড়া ও গভীর করে খনন করার কথা তা করা হয়নি। ফলে খালে যে পরিমাণ পানি আটকে থাকার কথা ছিল তার অর্ধেক পানিও থাকে না। খোজ নিয়ে দেখা গেছে ইরামতি খাল রক্তদহ বিলে যেতে চকপারইল গ্রামের পার্শ্ব দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে খালের কোন অস্তিতই নেই। এলাকার এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শত শত বিঘা সরকারি খাস জমি দখল করে নিয়ে তৈরি করেছে মাছের খামার।   

উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মহিত তালুকদার জানান, রক্তদহ বিল এলাকা সহ আদমদীঘি উপজেলার ২টি ইউনিয়নের নিুাঞ্চলে প্রায় ৬০ হেক্টর জমির ফসল অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে এ আকষ্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়ে বোরো আবাদ হুমকির মধ্যে পড়েছে। এতে করে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হবে বলে তিনি জানান।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কামরুজ্জামান জানান, রক্তদহ বিলে এ দু’টি বরেন্দ্র প্রকল্পের বাঁধের কারণে ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে উপজেলার আদমদীঘি সদর ইউনিয়ন ও সান্তাহার ইউনিয়নের নিুাঞ্চলের প্রায় ৬০ হেক্টর জমির বোরো আবাদ হুমকির মধ্যে পড়েছে।তাছাড়া কৃষি অফিসের সর্বক্ষনিক তদারকির কারনে এবং আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় ফসলের শুরু থেকে ফলন ভালো হয়েছে । কিন্ত কৃষকের ভাগ্যের করুন পরিহাসে সোনার স্বপ্ন যেন পানির নিচে তলিয়ে যায়।এখন কৃষক দিশেহারা হয়ে পরেছেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই