তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

কে ধর্ষক আর কে ধর্ষতা আর ধর্ষণ কি-হাজী সানি

কে ধর্ষক আর কে ধর্ষতা আর ধর্ষণ কি-হাজী সানি
[ভালুকা ডট কম : ২৬ মে]
প্রতিদিনই পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখ কপালে উঠে আসে একটি শব্দ প্রতিদিন দেখে "ধর্ষণ"।ধর্ষণ কাকে বলে আর ধর্ষক কে এবং এর উৎপত্তি নিয়ে অনেক জ্ঞানীদের কর্থাবার্তা আজ কাল কাগজে,মগজে গিজগিজ করে।মনোবিশ্লেষণ করে ধর্ষকদের মনকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত বলা যেতে পারে এটি নিতান্তই মানসিক বিকৃতির শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েই একজন মানুষ প্রথমে অমানুষ শেষ পর্যন্ত ধর্ষক হয়ে করে ধর্ষণ ।আমাদের মানব সমাজে এই সব অমানুষদের যে ধর্ষণ তা অনাদীকাল হতে চলে আসছে হয়ত এখন আমরা একটু সচেতন, তাই পত্রিকার পাতায় দেখতে পাচ্ছি আর জানতে পারছি মানবতার সূচক কতটুকু নিচে নেমেছে।

একটু দৃষ্টি দেই প্রথমে ধর্ষণ কাকে বলে আর যদি আমরা জানতে পারি ধর্ষণ কাকে বলে তবেই বুঝতে পারব ধর্ষক কে ।ধর্ষণ আমরা যা সাধারন ভাষায় প্রথম বুঝি তা হচ্ছে জোর পূর্বক কাউকে যৌনতায় বাধ্য করাকে বলা হয় ধর্ষণ । তবে কি শুধুই এটাই ধর্ষণ ? কখনও যদি স্বামী তার নিজ স্ত্রীর ইচ্ছার রিরুদ্ধে যৌনতায় বাধ্য করে তবে তা কি ? কোন বাবা মা নিজ কন্যা সন্তানের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে কোন পুরুষের সাথে বিয়েতে বাধ্য করে বিয়ের নামে যৌনতার জন্য বিছানায় পাঠায় তবে তা কি? আমার মতে তাও এক প্রকার ধর্ষণ তবে এই ধর্ষণের জন্য দ্বায়ী কে ?

ধর্ষণের সংবাদ প্রকাশ, বিচার ও অভিযুক্তের শাস্তিপ্রদানের হার বিভিন্ন বিচার ব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রকার। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ধর্ষণ শব্দটা মানেই পুরুষ কাবু করার এক মহা মন্ত্রের নাম কারন নারী নির্যতন ধর্ষণ বর্তমান আইন ব্যাবস্থায় নারীদের এক কালজয়ী হাতিয়ার কোন পারমাণবিক বোমারচে কম কিসে,কোন নারী আজকের সমাজে শুধু যদি বলেই ফেলে আমাকে ঐ ব্যাক্তি ধর্ষণ করেছে তবেই হল আমাদের সমাজ না এদিক না ওদিক এক বাক্যে ঐ পুরুষ ব্যেবিচারী পাপি আর ইসলামের দৃষ্টিতেও জিনা হারাম আর মুসলিম আইনে জিনার জন্য শাস্তি বলা হয়েছে মৃত্যু । যা আমি নিজেও সমর্থন করি তবে আমাদের দেশে প্রচলিত আইনে ধর্ষক বা জিনা কারী শুধূ পুরুষ হয় নারী কেন নয় ?

একজন নারী যদি প্রেমের নামে ইচ্ছে করে কোন পুরুষের সাথে যৌনতায় মিলিত হয় তবে তা কি ? কিন্তু পরক্ষনে যখন প্রেম পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে যায় আর নারী প্রশ্ন তুলে বিয়ের নামে প্রেমের নামে ধর্ষণ করেছ তবে কি সেই নারী ধর্ষতা ? এই অবৈধ যৌনতার জন্য কি শুধুই সেই পুরুষ হয়ে যাবে ধর্ষক আর নারী হয়ে যাবে শুধুই ধর্ষিতা ?

আজকের এই লেখাটার একটাই কারন গত কয়দিন যাবত ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের এক নারীকে ধর্ষণের জন্য নারীর বাবা মামালা করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আর তা নিয়ে আমাদের সাংবাদিক এবং ঐ ছাত্র নেতার বিরোধীদের মোটা মোটা বক্তব্যে কিছু কিছু অনলাইন পত্রিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট অনেক বেশি বেশি তিল কে তাল করার চেষ্টায় অনেকটা সফলও হয়েছে কারন এর মধ্যেই ঐ ছাত্র নেতাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে যা নিয়ে কিছু কথা আজ না বলে থাকতে পারছিনা এতে কেউ কষ্ট পেলে তাতে তেমন কিছু আসে যায়না ।

ময়মনসিংহ কোতয়ালী মডেল থানার এজাহার সূত্রে জানাযায়,কাচিনা ইউনিয়নের মো: রফিকুল ইসলাম তার কন্যা ময়মনসিংহ কোতয়ালী থানাধীন মুসলিম গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী মানসুরা আক্তার মিথিলা (১৭) কে ১১/০১/২০১৭ইং সকালে অপহরন করে জোর পূর্বক ধর্ষন করার অভিযোগে আলমগীর কবির (২৪) পিতা-মাইন উদ্দিন মন্ডলসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২/৩ জন কে অজ্ঞাত নামা করে ময়মনসিংহ কোতয়ালী মডেল থানায় ১৫/০৫/২০১৭ইং মামলা করেছেন (আলমগীর কবির ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি । এজাহারটি নিন্মে যোক্ত করা হয়েছে) ।

যার প্রেক্ষিতে ১৬ ও ১৭ তারিখ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় এই সংবাদটি আসে মূলত “ভালুকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ধর্ষন মামলা আসামি” “ভালুকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির নামে ধর্ষন মামলা ”। এর প্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রকিবুল  ইসলাম রকিব ও সাধারণ সম্পাদক সরকার মোঃ সব্যসাচী ২৩মে স্বাক্ষরিত এক জরুরী প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনকে ছাত্রলীগ থেকে অজীবন বহিস্কার করা হয়েছে।

এজাহার এবং ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আমার কয়টি প্রশ্ন 
(১)    ১১/০১/২০১৭ইং ধর্ষণ আর মামলা ১৫/০৫/২০১৭ইং কারন কি ?
(২)   মানসুরা আক্তার মিথিলা যে গর্ভপাত করিয়ে ছিল তখন কে ধর্ষণ করেছিল ?
(৩)    মানসুরা আক্তার মিথিলার যে সকল অপত্তিকর ছবি এখন অহরহ দেখা যাচ্ছে সোসাল মিডিয়াতে তথাকথিত ধর্ষক হবিরবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর কবিরের সাথে তার মধ্যে যে তারিখ দেখা যাচ্ছে তা গত ৩/৪ বছর যাবত বাংলাদেশের ভিবিন্ন স্থানের আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই ছবি গুলো উঠানোর জন্য ঐ ধর্ষক কত বার অপহরন করেছে আর কতবার ধর্ষণ করেছে ?
(৪)    যদি প্রতি বারই মানসুরা আক্তার মিথিলা ধর্ষতা হয়ে থাকে তবে গত ৩/৪ বছরের মধ্যেতার বাবা কি ১১/০১/২০১৭ইং এর ধর্ষণের খরব পেয়েছেন যা ১৫/০৫/২০১৭ইং ?
(৫)    মানসুরা আক্তার মিথিলার সাথে আলমগীর কবিরের আগের গর্ভপাত পর্যন্ত মিলন যদি প্রেম মিলন বা যৌন মিলন হয় তবে এখন এত বছর পর তা ধর্ষণ হয় কি করে ?
(৬)    ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রকিবুল  ইসলাম রকিব ও সাধারণ সম্পাদক সরকার মোঃ সব্যসাচী কে শুধু একটি প্রশ্ন আপনাদের জীবনে কি কোন দিন প্রেম আসেনি ? প্রেমের সাথে দলীয় শৃঙ্খলার কি যুক্তি আছে ? প্রেম ব্যাক্তির ব্যাক্তি জীবনের অংশ দলীয় কোন ব্যাপার হতে পারেনা ।

*জিনার জন্য বিচার অবশ্যই হওয়া দরকার তবে তা নারী পুরুষ দুজনেরই শুধু নারী বা শুধু পুরুষ একা জিনা করতে পারেনা তার জন্য দুজনের বিচার হওয়া প্রয়োজন ।আর যে নারী,মেয়ে,বোন,মা কোন পুরুষের সাথে বিয়ের আগে বিছানায় চলে যায় আমার দৃষ্টিতে সে রাতের শোভা হতে পারে বিছানার কিন্তু কোন সভ্য সমাজের কারো ঘরের বউ,বেটি,মা হতে পারেনা ।

**২৪/২৫ বছরের যে ছেলে কোন সংগঠনের জন্য নিজের জীবনের ১০/১২ বছর ব্যায় করে দিয়েছে সেই সংগঠনেরও উচিত ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া । আমার মনে হয়না  ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের নেতারা এজাহারটি ভাল করে পড়েছেন যদি পড়তেন এবং একটু তথ্য নিতেন তবে বুঝতেন এটা কোন ধর্ষণ নয় শুধুই প্রেম লিলা আর প্রেম লিলা কোন সংগঠনের দলীয় শৃঙ্খলা মধ্যে আসেনা । মানসুরা আক্তার মিথিলার সাথে আলমগীর কবিরের যৌনতা যদি ধর্ষণ হয় তবে কে ধর্ষক আর কে ধর্ষিতা ? আমার মনে হয় বর্তমান সমাজে তবে কম বেশি সবাই ধর্ষক আর ধর্ষিতা ।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কলাম বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই