তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় ইনডেক্স ফিসফিড এর বর্জ্য,বায়ূ ও শব্দ দূষণে এলাকায় দুর্ভোগ

ভালুকায় ইনডেক্স ফিসফিড এর বর্জ্য,বায়ূ ও শব্দ দূষণে এলাকায় দুর্ভোগ
[ভালুকা ডট কম : ০৯ জুন]
ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়িমোড় এলাকায় অবস্থিত ইনডেক্স ফিসফিড  ফ্যাক্টরীর বিষাক্ত বর্জ্য, বায়ূ ও শব্দ দূষণে পাশের একটি আবাসিক এলাকার প্রায় দুই শতাধিক পরিবার চরম দূর্ভোগর শিকার হচ্ছেন। এসব ঘটনায় ভূক্তভোগীদের পক্ষে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ ও মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

সরেজমিন ভূক্তভোগী স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘেষে ভালুকা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মল্লিকবাড়িমোড় এলাকায় বেশ কয়েক বছর আগে কাঠালী মৌজার ১৪০ নম্বর দাগে স্থানীয় মরহুম আব্দুর রশিদ খান মাষ্টারের কাছ থেকে ১৮ শাতাংশ জমিসহ ১০৭ নন্বর দাগ ও অন্যান্য কয়েকটি দাগ থেকে ১৩ একর ৬১ শতাংশ জমির উপর ইনডেক্স ফিসফিড নামে একটি মাছের খাদ্য তৈরীর ফ্যাক্টরী গড়ে উঠে। ফ্যাক্টরীর উৎপাদন শুরু হলে মাছের খাদ্য তৈরীর বিষাক্ত বর্জ্য ও দূয়া বাড়ির দিকে (পশ্চিম পাশে) মুখ করে দেয়া হয়। এতে বিষাক্ত দূয়া ও বর্জ্য পাশের আবাসিক এলাকায় গিয়ে পড়ছে। ফলে আব্দুর রশিদের ভিটায় অবস্থিত আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠা প্রায় দুই শতাধিক পরিবার চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া ওই ফ্যাক্টরীর বিষাক্ত বর্জ্য মরহুম আব্দুর রশিদের বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দুই ছেলে নজরুল ইসলাম খান ও এমরান খানের মাছের খামারের প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ মরে যায়।

মরহুম আব্দুর রশিদ মাষ্টারের বৃদ্ধা স্ত্রী খোদেজা খাতুন জানান, ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ আমাদের ভিটাটি কমদামে তাদের আয়ত্বে নেয়ার জন্য পরিকল্পিত ভাবে বিষাক্ত বর্জ্য ও শব্দের চুঙ্গা আমার ভিটার দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। এতে মিলের পাউডার মিশ্রিত বাতাস বাসা-বাড়িতে এসে পড়ছে। এমনকি মেশিনের বিকট শব্দে চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়তই। এ ব্যাপারে বার বার জানানোর পরও ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ কোন তোয়াক্কা করছেনা। গত ১৫ মে মিলের বিষাক্ত বর্জ্যর্ েআমার প্রতিবন্ধীদের ছেলেদের একমাত্র উপার্জণের মাছের খামারের প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠে। আমার দুইটি ছেলেই বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তাই কোম্পানীর মালিক আমাদেরকে মিথ্যে মামলাসহ বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে আমাদের ভিটাটি পানির দামে কিনে নেয়ার জন্য।

খোদেজা খাতুনের নাতি ইঞ্জিনিয়ার মো: তারেক আজিজ তরফদার জানান, কাঠালী মৌজার ১০৭ ও ২৫৩ নম্বর দাগে ৮ একর ৫২ শতাংশ জমি রয়েছে এবং এর পুরোটাই বনবিজ্ঞপ্তিত। ফ্যাক্টরীর ভেতর ১৩ একর ৬১ শতাংশ জমির মাঝে ৮ একর ৫২ শতাংশ জমিই বনবিভাগের এবং এ নিয়ে বনবিভাগের সাথে কোম্পানীর মামলা রয়েছে।

এ ব্যাপারে মিলের এডমিন ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম সুমন জানান, এই ফ্যাক্টরীতে মাছের খাদ্য তৈরী হয়ে থাকে। আর এর পানিতে মাছ মরতে পারেনা। তাছাড়া বায়ূ ও শব্দ দূষণের জন্য এলাকাবাসির কাছ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আমরা এই সমস্যার সমাধান করবো।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই