তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আপনার ঈদ স্বাস্থ্য

আপনার ঈদ স্বাস্থ্য
[ভালুকা ডট কম : ২৬ জুন]
আজ পবিত্র ঈদ। ঈদ মানে খুশি! ঈদ মানে আনন্দ! ঈদ আসলে আমাদের সবাইকে একটু বাড়তি স্বাস্থ্য সচেতন হতে হয়। ঈদে গ্রামে যাওয়ার সময় অবশ্যই ব্যবস্থাপত্র এবং ওষুধ সংগে নিতে কখনো  ভুলবেননা। প্রয়োজনে একটি First Aid Box এর ভিতর কিছু তুলা, গজ, ব্যান্ডেজ, এন্টিসেপটিক মলম, জ্বর-ব্যথার ওষুধ ও খাবার স্যালাইন নিন।

ঈদের দিন সবাই নতুন জামা-কাপড় পরেন। শিশুদের নতুন জামা-কাপড় ছাড়াতো ঈদ কল্পনাই করা যায়না। নতুন কাপড় কিনে ধুয়ে গায়ে দেওয়া উচিত। কারন নতুন কাপড়ের রং ও কেমিক্যাল থেকে contact allergy হতে পারে। শরীর লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সেবন করা ভালো। পাশাপাশি যাদের নতুন কাপড়ে allergy হয় তাদের জামা-কাপড় ধুয়ে পরা উচিত। ঈদে শহর থেকে যারা গ্রামে ঈদ করতে যান তাদের অনেকে গ্রামের বাড়ীতে কয়েক দিন থাকেন। বাড়ীর পুকুরে গোসল করেন। এ সময় বিভিন্ন ধরণের চর্মরোগে আক্রান্ত হন যেমন চুলকানি, একজিমা, এলার্জি ইত্যাদি। এ সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা উচিত। পাশাপাশি যে কোন ভালো ময়েশ্চারাইজার লোশন ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। চর্মরোগ দেখা দিলে অবশ্যই  চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো।

ঈদের দিন প্রায় নারী ও শিশুরা হাতে পায়ে মেহেদী পরেন। সাজতে গিয়ে ব্যবহার করা হয় বাড়তি প্রসাধনী। আমাদের দেশে যে সমস্ত মেহেদী পাওয়া যায় এসবের বেশীরভাগ নিম্ন মানের এবং ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো। এতে অনেকের মারত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। মেহেদী লাগানোর স্থান ফুলে যায়, লাল,  তীব্র চুলকানি হয়। যাদের মেহেদীতে এ ধরণের সমস্যা হয় তারা যে কোন এন্টিহিস্টামিন ওষুধ খাবেন এবং আক্রান্ত স্থানে মৃদু বা হালকা মাত্রার স্টেরয়েড ক্রিম লাগালে উপকার পাওয়া যাবে। অনেক সময় মেহেদী allergy এত তীব্র হয় যে, ইনজেকশন পর্যন্ত দেয়ার প্রয়োজন হয়। যাদের allergy আছে তাদের কৃত্রিম মেহেদী না লাগানোই ভালো। তারা প্রাকৃতিক মেহেদী ব্যবহার করতে পারেন। একই ভাবে যাদের কসমেটিকে allergy হয় তারাও ভারী প্রসাধনী  পরিহার করুন।

ঈদের সময় যারা বাড়ীতে যান তাদের অনেকের ঘুমের সমস্যা হয়। ঘুমানোর জন্য রাত না জাগা ভালো। রাত ১০টার মধ্যে ঘুমাতে চেষ্টা করুন। তবে রাতে কফি বা চা পরিহার করুন। পরিমাণ মত পানি পান করুন। রাতে অতিরিক্ত পানি পানে বারবার প্রস্রাবের বেগ হয় ও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।ঈদের সময় সবচেয়ে বড় যে স্বাস্থ্য সমস্যা হয় তা হচ্ছে প্রচুর খাওয়-দাওয়া বিশেষ করে মসালাদার মাংসের নানান ধরনের খাবার। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রকার পিঠাতো থাকেই। যাদের পেটের সমস্যা আছে তারা অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে খাবেন। পেটের সমস্যা না থাকলেও পরিমিত আহারের চেষ্টা করুন।

ঈদের সময় দেখা যায় অতিভোজে অনেকের বদ হজম হতে পারে। বাড়তে পারে গলা ও বুকজ্বালা-পোড়া। এমনকি অনেকের খাদ্যে বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই ঈদে খাবার দাবারের প্রতি অবশ্যই একটু বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। সেমাই, জর্দা এগুলি যথাসম্ভব কম খাওয়া ভালো। শহরে এমনকি গ্রামেও আজকাল নানা ধরণের ভেজাল সেমাই, দুধ বিক্রি হয়। এসব খাবারে পেটের পীড়া দেখা দিতে পারে। হতে পারে পাতলা পায়খানা ও বমি। যাদের খাবারে পেটের সমস্যা হয় তারা স্যালাইন খেতে পারেন। আমাশয় হলে এন্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন হতে পারে। বুকজ্বালা-পোড়া করলে সেবন করতে হবে এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ। মেহমানদের খাবার দিয়ে জোরজবরদস্তি করা ভালো নয়।

গ্রামে শিশুরা সাঁতার কাটা শেখার সময় অবশ্যই অভিভাবক সাথে থাকতে হবে। শুরুতে সময় অপেক্ষাকৃত অগভীর জলে সাঁতার শেখান। শিশুর মৃগী রোগ থাকলে পানিতে গোসল বা সাঁতার কাটবেনা। ঘরের দরজা জানালা সতর্কতার সাথে খোলা ও বন্ধ কর যাতে করে আংগুলে ব্যথা না পায়। বাড়ীর পাশের ঝোপঝাড় ও ইঁদুরের গর্তে হাত দিবেনা। এগুলিতে সাপের কামড়ের ভয় থাকে। শিশুর জ্বর হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দিন। শরীর কুসুম গরম পানিতে মুছে দিন। পাতলা পায়খানায় ওরস্যালাইন দিন। যানবাহনে চলাফেরায় অতিরিক্ত সতর্কতা মেনে চলুন।  রাস্তার পাশে বাড়ী থাকলে শিশুকে লক্ষ্য রাখুন। আপনার ঈদ আনন্দের হউক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সবাই সুস্থ থাকুন। ঈদ মোবারক!#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই