তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে সহকারী শিক্ষিকাকে লাঞ্চিত করল প্রধান শিক্ষক

গৌরীপুরে সহকারী শিক্ষিকাকে লাঞ্চিত ও আঙ্গুল ভেঙ্গে দিলেন প্রধান শিক্ষক
[ভালুকা ডট কম :২৭ জুলাই]
ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম ফেরদৌসের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চকপাড়া হেলালউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নুসরাত জাহান নিপাকে লাঞ্চিত ও আঙ্গুল ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বুধবার (২৬ জুলাই/১৭) পৌর মডেল বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

সহকারী শিক্ষিকা নিপাকে লাঞ্চিতকরণ ও আঙ্গুল ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম ফেরদৌস বলেন, স্কুলের জমিতে ছাউনি নির্মাণ করতে গেলে নিপা’র স্বামী আঃ সালাম শ্রমিকদের বাধা দেন। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসলে আব্দুস সালাম ও তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষা নিপা আমার উপর বেঞ্চ ভেঙ্গে তক্তা দিয়ে মারধোর করে। শুধু তাই নয় নিপা এ সময় ‘জুতা’ নিয়েও তেড়ে আসে।

স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু দিন পূর্বে পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক ছাউনি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজের তদারকি করছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস। ওই বিদ্যালয়ের পাশেই ছিলো নিপার জমি। বুধবার নিপার স্বামী আব্দুস সালাম ছাউনি নির্মাণকাজ চলাকালীন নির্মাণ শ্রমিকদের টিন এমন ভাবে স্থাপন করতে বলেন যেনো ছাউনির পানি তাদের সীমানায় না পড়ে। পরে আব্দুস সালাম একই অভিযোগ ফেরদৌসের কাছে করেতে গেলে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে ফেরদৌস ক্ষিপ্ত হয়ে সালামকে মারধোর করতে যায়। খবর পেয়ে নিপা তার স্বামীকে রক্ষা করতে গেলে ফেরদৌস মাস্টার নিপা ওপরও চড়াও হয়। এ সময় তার ডান হাতের আঙ্গুলে আঘাত পান। গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে নিপা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।

নুসরাত জাহান নিপা বলেন, বিদ্যালয়ের ছাউনির এক ফুট টিন আমাদের জমির সীমানায় চলে এসেছিলো। আমার স্বামী ছাউনির টিন ছোট করার কথা বললে ফেরদৌস মাস্টার আমার স্বামীকে মারধর করেন। এ সময় আমি স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি এবং চুলের মুটি ধরে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুয়েল আশরাফ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। দুই পক্ষের অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি পারিবারিক। নিজেদের মধ্যে মিটমাট করতে বলেছি।গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার আহম্মদ বলেন, ঘটনাটি শোনেছি। দুই পক্ষকেই লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই