তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

হালুয়াঘাটে প্রতিবন্ধি কিশোরিকে ধর্ষণ

হালুয়াঘাটে প্রতিবন্ধি কিশোরিকে ধর্ষণ অতঃপর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে হাসপাতালে
[ভালুকা ডট কম : ২২ সেপ্টেম্বর]
হালুয়াঘাট উপজেল্রা আমতৈল গ্রামে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি এক কিশোরিকে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগ উঠেছে। ঐ কিশোরি একমাসের অধিক সময় ধরে হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। পাশাপাশি এ ঘট্নাকে কেন্দ্র করে  রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

কিশোরিটির বয়স হাসপাতালের রেজিষ্টারে দেখানো হয়েছে ১৯ বছর। কিন্তু কেউ কেউ বলেন বয়স ১৪॥১৫ এর বেশী হবেনা। তবে প্রাথমিকভাবে সুত্রমতে কিশোটির কোন বিয়ে হয়নি এমনটিই জানা যায়। মেয়েটি গত একমাস পূর্বে হাসপাতালে সাধারন রোগী হিসেবে ভর্তি হলেও অন্তঃসত্তার  ঘটনাটির  প্রকাশ ঘটে গত বৃহঃপতিবার।

হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, কিশোরিটি ৩১ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। তাকে ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে দুইবার ছুটি দিলেও কিশোরিটি হাসপাতাল থেকে যেতে নারাজ। এমতাবস্থায় ডাক্তারের নজরে আসলে মূল ঘটনার রহস্যের উন্মোচন ঘটে। এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা খবর পেয়ে হাসপাতালে যান।

বৃহঃপতিবার হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় কিশোরির সাথে কথা বললে তিনি জানান, তাকে একাধিকবার বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে মাসুদ নামে এক যুবক। গত রমজান মাসে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে কিশোরি সাংবাদিকদের অবহিত করেন। বর্তমানে তার পেটে বাচ্চা রয়েছে বলে ঐ কিশোরি দাবী করেন। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত সেবিকাও বাচ্চার বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন। অভিযুক্ত মাসুদের পিতার নাম কি? ঐ কিশোরিকে এমন প্রশ্নে নাম জানা নেই বলে জানান। তবে এতটুকু বলতে পেরেছেন যে হাইস্কুলের সামনে ছেলেটির একটি কসমেটিক্সের দোকান রয়েছে, গায়ের রং ফর্সা, উচা লম্বা। মাসুদের ঠিকানার কথা জিজ্ঞেস করলে বড়বাড়ি নামক জায়গার কথা উল্লেখ করেন। পরে কিশোরিটির নাম পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে সে আমতৈল ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের মিরাজ উদ্দিনের কন্যা বলে জানিয়েছেন।

কিন্তু হাসপাতালের রেকর্ড সুত্রে দেখা যায়, কিশোরির বাড়ি হালুয়াঘাট উপজেলার মনিকুড়া গ্রামে। কথা বলার সময় মেয়েটির কোন আত্বীয় স্বজনকে কাছে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার পিতা ও মাতা তাদের কেউই উপস্থিত ছিলোনা। পরে দায়িত্বরত হাসপাতালের সেবিকার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তাকে এর পুর্বে দুইবার ছুটি দেওয়া হয়েছিলো। সে অজ্ঞাত কারনে হাসপাতাল থেকে যেতে চাননি। পরে ২১ সেপ্টেম্বর পুন য়ায় ৩১ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়লে পুনরায় তৃতীয়বারের মতো কিশোরিটিকে ভর্তি দেখানো হয়।

এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিয়াকে অবহিত করলে তিনি জানান, যদি এ ধরনের ঘটনা সত্যিই ঘটে থাকে তাহলে বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই