তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেনা রাবির খেলোয়াড়রা

পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেনা রাবির খেলোয়াড়রা
[ভালুকা ডট কম : ২৩ সেপ্টেম্বর]
বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা বিভাগের শিক্ষকেরা তেমন খোঁজ নেন না। দীর্ঘমেয়াদী  প্রশিক্ষণ  দেওয়া  হয় না , প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা নেই, বিভাগও তেমন সাপোর্ট দেয়না। সব মিলিয়ে প্রতিনিয়ত নিজের সাথে সংগ্রাম করে টিকে আছি। এসব কথা বলেছিলেন  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থী ও জাতীয় সামার অ্যাথেলেটিকস -১৭ হোমার থ্রো-তে ব্রোঞ্জপদক জয়ী মাহফুজ হাসান।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় খেলোয়ার কোটায় ভর্তি বন্ধ করে দেয়। বন্ধের পর থেকে  তুলনামূলক খেলোয়াড়ের সংখ্যা কমে যেতে থাকে। সেই বছরই সিলভার পদক পায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘ দিন আর পদকের দেখা নেই। ১১ বছর পর জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকস-১৭ হোমার থ্রো-তে ব্রোঞ্জপদক পান মাহফুজ হাসান।

অ্যাথলেটিকসে পিছিয়ে পড়ার কারণ জানতে চাইলে অ্যাথেলেটিকসের সাথে জড়িত কোচ খেলোয়াড়রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়াকে দায়ী করেন। তারা মনে করে বিশ্ববিদ্যালয পড়াশোনা করার পাশাপাশি খেলাদুলাকে উৎসাহিত করে এবং পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে খেলোয়াড়রা যেমন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে ধরতে পারবে, অন্যদিকে অন্য শিক্ষার্থীরাও খেলাদুলার প্রতি আগ্রহী হবে।

ব্রোঞ্জপদক জয়ী মাহফুজ হাসান বিভাগের সহযোগিতা না পাওয়ার বিষয়ে বলেন, প্র্যাকটিস বা খেলার জন্য অধিকাংশ সময় ঢাকায় থাকতে হয়। যে কারণে নিয়মিত বিভাগের ক্লাস করতে পারিনা ।ফলে বিভাগ আমাকে নন- কলেজিয়েট করেছে । তবে এত কিছুর পরও বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা তাকে সহযোগিতা করে বলেও জানান। মাহফুজ আরো বলেন শরিরর্চচা বিভাগের দু-একজন খোজ নিলেও অধিকাংশ শিক্ষক খোজ নেন না ।

নিজেদের পিছিয়ে পড়ার বিষয়ে অ্যাথলেটিকসের কোচ পার্থ প্রতিম মল্লিক  জানান  বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে খেলোয়ার কোটা বাদ দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা খেলার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছেন, যারা বিভাগের পড়াশোনার চাপে খেলাদুলায় আগ্রহী হচ্ছেন না । শিক্ষাথীরা পড়ালেখার পাশাপাশি যদি সময়ের সঠিক ব্যবহার করে খেলাদুলা করেন, তাহলে এখান থেকে জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়ার বের হওযয়া সম্ভব। যার প্রমান হোমার থ্রে-তে মাহফুজ ও বাংলাদেশের দ্রুত মানবী শিরিন আক্তার।কিন্তু দুঃখজনক এতকিছুর পরও তাদের বিভাগ থেকে  তেমন একটা সহায়তা দেওয়া হচ্ছেনা। খেলাদুলার কারণে যদি কারো ক্লাসে উপস্থিত কম হয়, সে ক্ষেত্রে জরিমানা দিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়।এটা খুবই দুঃখজনক।

সামার ও ন্যাশনাল গেমসে টানা তিন বছর ধরে দেশের প্রথম স্থান অর্জনকারী শিরিন আক্তার বলেন, অ্যাথলেটিকসের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রাজশহীতে নেই। তাই রাজশাহী ছেড়ে অনুশীলনের জন্য বারবার ঢাকায় ছুটতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে খেলাদুলায় আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দৌড়ের সিনথেটিক ট্রাক বসানোর দাবি জানান শিরিন।

সার্বিক বিসয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা  বলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে ও ব্যক্তিগত ভাবে তাদের সমস্যগুলো সমাধানের চেষ্টা করবো। তবে এ ক্ষেত্রে খেলাদুলায় আগ্রহী মিক্ষার্থীরাও এগিয়ে আসতে হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই