তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

টাঙ্গাইল-৮ আ.লীগে প্রার্থী ৮, বিএনপিতে কোন্দল,আলোচনার শীর্ষে সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল-৮ আ.লীগে প্রার্থী ৮, বিএনপিতে কোন্দল,আলোচনার শীর্ষে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী  
[ভালুকা ডট কম : ০৮ অক্টোবর]
বাসাইল-সখীপুর নিয়ে টাঙ্গাইল-৮। এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।  কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করলে এ আসটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার ঝড় ওঠে। উপ-নির্বাচনে প্রয়াত কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহাজাহান আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিজয় লাভ করেন। সেই থেকে আওয়ামী লীগ এ আসনটি তাদের দখলেই রেখেছেন।

এ আসনে বিএনপিরও রয়েছে হেভিয়েট কয়েকজন প্রার্থী।  বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানও নির্বাচন করবেন এ আসন থেকে। বঙ্গবন্ধু হত্যার একমাত্র প্রতিবাদকারী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টর প্রধান হিসেবে সখীপুরে মহানন্দপুর এলাকায় ছিল প্রধান ঘাঁটি। এখান থেকেই তিনি মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করতেন। সেই থেকে সখীপুরের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে রয়েছে তাঁর আত্মার সম্পর্ক। ১৫ আগস্ট প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সৌজন্য সাক্ষাতের পর থেকে কাদের সিদ্দিকী কি আওয়ামী লীগে ফিরে যাচ্ছেন, নাকি মহাজোটে যাচ্ছেন? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ,বিএনপি,জাতীয় পার্টিসহ ভোটারদের মাঝেও। 

এ নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও যেনো আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। যদিও এ বিষয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম এখনো কোন মন্তব্য করেননি। আগামি নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি,কৃষক শ্রমিক জনতালীগ ও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগ করছেন বেশ আগে থেকেই। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, নির্বাচনী এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছা, পোস্টার ও লিফলেট সেঁটে জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। আর তৃণমূল নেতাদের সমর্থন ও কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পেতে লবিং চালাচ্ছেন একাধিক নেতা। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগে শক্তিশালী প্রার্থী থাকলেও দলীয় মনোনয়নের জন্য ক্ষমতাসীন দলটিতেই দৌড়ঝাঁপ বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

এ আসনে কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান (এমপি) মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে তাঁর ছেলে অনুপম শাহজাহান জয় এমপি নির্বাচিত হন। তিনিসহ আওয়ামী লীগের ৮ মনোনয়ন প্রত্যাশী টাঙ্গাইল-০৮ (বাসাইল-সখীপুর) নির্বাচনী এলাকায় নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে বর্তমান এমপি অনুপম শাহজাহান জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ভিপি জোয়াহের, সখীপুর উপজেলা পরিষদের  দুই বারের সফল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শওকত শিকদার,  বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল মালেক মিঞা,  তাঁত বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী একেএম আসাদুল হক তালুকদার,  আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউটের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আতাউল মাহমুদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কার্যকরী সংসদের সাবেক সদস্য, বোয়ালী ডিগ্রি কলেজের  অধ্যক্ষ সাঈদ আজাদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য রোড রানারের চেয়ারম্যান সরকার আরিফুজ্জামান ফারুক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

অন্যদিকে আভ্যন্তরীণ কোন্দল মিমাংসা না হওয়ায় হতাশায় ভোগছে স্থানীয় বিএনপি। দীর্ঘদিনের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে বাসাইল ও সখীপুরের বিএনপি’র  সকল কার্যক্রম হয়ে পড়েছে নড়বড়ে অবস্থা। সম্প্রতি সখীপুর ও বাসাইলের কয়েকজন ত্যাগি নেতাকে দল থেকে অব্যহতি দেয়ার ঘটনায় দলের কোন্দল আরও চরমে ওঠেছে। বাসাইল- সখীপুর বিএনপি সেই থেকে দুই ভাগেই বিভক্ত। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের মনোনয়ন নিশ্চিত বলে মনে করছেন তাঁর কর্মী সমর্থকরা। অপরদিকে জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠা কালীন শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও সখীপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ হাবিবও নির্বাচনী এলাকায় ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে  সর্বদা কৌশল বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এছাড়াও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবেও প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।

বর্তমান এমপি অনুপম শাহজাহান জয় বয়সে তরুণ ও রাজনীতিতে নবীন। তাঁর বাবা কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান এ আসনে চারবার সংসদ সদস্য ছিলেন। বাবার জনপ্রিয়তাই এবারো তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকরা।মনোনয়ন প্রত্যাশী করটিয়া সরকারী সাদত কলেজের দুই বারের ভিপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের দীর্ঘদিনের রাজনীতিক অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে এবার তিনিই দলীয় মনোনয়ন ভাগিয়ে আনবেন বলে দাবি তাঁর সমর্থকদের।

দীর্ঘদিন ধরে সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও  সাবেক তিন বারের বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান, সখীপুর পৌর প্রশাসক, পরপর দুইবারের সফল উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ শওকত শিকদার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া দুই উপজেলারই তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে রয়েছে তাঁর নীবিড় সম্পর্ক। তৃণমূলের সমর্থনে আগামি জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন তিনিই পাবেন শতভাগ আশাবাদী তাঁর সমর্থকদের। অপরদিকে জাতীয় পার্টি (এরশাদ)  কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব কাজী আশরাফ সিদ্দিকী দলের একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। তিনিও ভোটারদের মাঝে তাঁর প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

নির্বাচন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই