তারিখ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় কুরুচিপূর্ণ হারবাল পোস্টারে সয়লাব

ভালুকায় কুরুচিপূর্ণ হারবাল পোস্টারে সয়লাব
[ভালুকা ডট কম : ১৬ অক্টোবর]
হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারণা অব্যাহত রয়েছে ভালুকা ও আশেপাশের প্রায় সবগুলি উপজেলাতে। বিভিন্ন দুরারোগ্য জটিল ও কঠিন রোগ নিরাময়ের আশ্বাস দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এদিকে ভালুকা, গফরগাঁও, ত্রিশাল, শ্রীপুর, সখিপুর ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে আনাচে-কানাচে রঙ্গিন অশ্লীল ও আপত্তিকর বিভিন্ন লেখা সম্বলিত পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। এতে প্রতিনিয়ত সামাজিক ও পারিবারিক নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়ে আসছে।

স্থানীয়ভাবে হারবাল দোকানের এসব অশালীন কুরুচিপূর্ণ বিজ্ঞাপন প্রচার হওয়ায় সমাজে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। এসব বিজ্ঞাপনে পুরুষদেরকে ছোটভাবে উপস্থাপন করা হয়।সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যৌন রোগ, ক্যান্সার, বাত-ব্যাথা, হেপাটাইটিস, প্যারালাইসিস, ডাইবেটিস, টিউমার, হাঁপানি ইত্যাদি জটিল ও পুরাতন রোগের শতভাগ গ্যারান্টিসহ চিকিৎসা দেয়া হয়। যৌন অক্ষমতার চিকিৎসায় ২৪ ঘন্টায় ফলাফল, বিফলে মূল্য ফেরত। শতভাগ গ্যারান্টিতে মাত্র এক মাসের মধ্যে রুগ্ন-ভগ্ন স্বাস্থ্য সুস্থ্য সবল করা হবে- এভাবেই এসব রোগের চটকদার বিজ্ঞাপন চলছে।উপজেলার সাধারণ মানুষ এসব বিজ্ঞাপন দেখে সুচিকিৎসা পাওয়ার আশায় এসব  চিকিৎসকের কাছে গিয়ে যেমন প্রতারিত হচ্ছে তেমনি নতুন নতুন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রশাসনের নাকের ডগায় হারবাল চিকিৎসার নামে এভাবে প্রতারণা চললেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। এসব তথাকথিত চিকিৎসকদের অপচিকিৎসা বন্ধে সিভিল সার্জন মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছন সচেতন নাগরিক সমাজ।

রোগীদের আকৃষ্ট করার জন্য রং বেরংয়ের লিফলেটও বিলি করা হচ্ছে। বিজ্ঞাপন ও লিফলেট পড়ে  অনেকেই বিব্রত হচ্ছেন। চিকিৎসার অন্তরালে রোগীদের সাথে প্রতারণা চলছে। এক শ্রেণীর মানুষ হারবাল চিকিৎসার নামে জমজমাট ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন। মূলত যৌন রোগ সারানোর নামে লাগামহীন বাণিজ্য চলছে। দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী ওষুধের যেকোনো ধরণের বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ থাকলেও হারবাল চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো রাস্তার ধারে, অলিগলিতে, বাসে ইত্যাদি স্থানে এসব প্রতিষ্ঠানের অশ্লীল বিজ্ঞাপনের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে গজিয়ে ওঠা ইউনানী, হারবাল চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে নিজস্ব ফর্মূলায় জোঁকের তেল, বড়ি ও নানারকম মালিশ ইত্যাদি বানিয়ে ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হারবাল ওষুধ নাম দিয়ে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষকে টার্গেট করে কথিত এ চিকিৎসা বাণিজ্য চলছে।

বাজারে হারবাল চিকিৎসার নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে। মানুষে যৌন সংক্রান্ত বিষয়টিকে পুঁজি করে তথা কথিত চিকিৎসকরা গ্রামগঞ্জ থেকে আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিজ্ঞাপন ও লিফলেটের ভাষা দেখে কম লেখাপড়া জানা লোকজন এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এসব হারবাল চিকিৎসার অন্তরালে যৌন উত্তেজক নেশার ব্যবসাও চলছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠান ভেজাল ওষুধ তৈরি করে তা অবাধে বিক্রি করছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ইবনেসিনা হারবাল, আয়ুর্বেদিক হারবাল, জার্মান হারবাল, মাদ্রাজ হারবাল, ভারত হারবাল, মর্ডান হারবাল, কলিকাতা হারবালসহ  মতো অনেক হারবাল প্রতিষ্ঠানের অশালীন, নোংরা, আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ পোস্টারে শহর ও গ্রাম গঞ্জের হাটবাজারগুলো সয়লাব। এসব ভুয়া চিকিৎসক ও নকল স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ বন্ধ না করলে জনস্বাস্থ্য এক বিশাল হুমকির মুখে পতিত হবে। অশালিন এ বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন সমাজ।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই