তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

মহিলাদের স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে জানুন

মহিলাদের স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে জানুন
[ভালুকা ডট কম : ১৯ অক্টোবর]
মহিলাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে স্তনের ক্যান্সার সারানো যায়। তবে ক্যান্সার যদি শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে সাধারণত তা আর সারানো যায় না। এ রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায়। পাশ্চাত্যে মহিলাদের ক্যান্সারের মধ্যে স্তন ক্যান্সারই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তবে আমাদের দেশে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের পর স্তন ক্যান্সারের অবস্থান।

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি:
১। জেনেটিক রিস্ক ফ্যাক্টর- অস্বাভাবিক জিন স্তন ক্যান্সার     
হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
২। পারিবারিক ইতিহাস
*একই পরিবারের দুই বা তার বেশি নিকটাত্মীয়ের স্তনের ক্যান্সার।
*একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অন্যান্য ক্যান্সার- বিশেষ করে মলাশয় ও ভ্রুণকোষের ক্যান্সার।
*৪০ বছরের কমবয়সী একজন নিকটাত্মীয়ের স্তন ক্যান্সার।
৩। ব্যক্তিগত ইতিহাস
যেসব মহিলার এক স্তনে ক্যান্সার হয়েছে, তাদের অন্য স্তনে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
৪। জাতিগত ঝুঁকি
শ্বেতাঙ্গ মহিলাদের এশিয়ান বা আফ্রিকান মহিলাদের চেয়ে বেশি।
৫। অন্যান্য ঝুঁকি
*সন্তানহীনতা বা বেশি বয়সে সন্তান হওয়া।
*খুব অল্প বয়সেই ঋতুস্রাব হওয়া কিংবা ঋতুবন্ধ বেশি বয়সে হওয়া।
*গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহার। যারা ১০ বছরের বেশি সময় আগে বড়ি খাওয়া বন্ধ করেছেন তাদের বেলায় সম্ভবত ঝুঁকি নেই।
*হরমোন থেরাপি।
*শিশুকে বুকের দুধ পান না করানো।
*অ্যালকোহল।
*স্থূলতা, অধিক চর্বিজাতীয় খাবার।  
*শারীরিক কর্মহীনতা।

স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ:
*স্তনে একটি বেদনাহীন পিণ্ড।
*স্তনের আকার বা আকৃতিতে পরিবর্তন।
*স্তনের ত্বকে টোলপড়া।
*স্তনে একটি পিণ্ড বা স্ফীতি দেখা দেয়া।
*স্তনের বোঁটা ভেতরে ঢুকে যায়।
*বোঁটা থেকে রক্তসহ তরল বের।
*বোঁটার চার পাশে চুলকানি।
*বগলের নিচে গুটি।

স্তন ক্যান্সারের অস্তিত্ব ধরা যায় কিভাবে?
বেশির ভাগ মহিলাই প্রথমে তাদের পারিবারিক ডাক্তার অথবা মহিলা বিষয়ক ডাক্তারের কাছে যান। তারা আপনার শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনে অন্যান্য পরীক্ষা করানোর অথবা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিবেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার প্রয়োজনে নিম্নের পরীক্ষাগুলো করতে পরামর্শ দিতে পারেন।
১. ম্যামোগ্রাম
২. আলট্রাসনোগ্রাম
৩. ফাইন নিডল অ্যাম্পিরেশন সাইটোলজি FNAC
৪. নিডল (কোর) বাইয়োপসি
৫. এক্সিসন বাইয়োপসি
৬. রক্ত পরীক্ষা
৭. ম্যামোগ্রাম

চল্লিশোর্ধ বয়সী মহিলাদের প্রতি বছর একবার ম্যামোগ্রাম করানো উচিত
*ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন-২০-৪০ বছর বয়সী মেয়েদের প্রতি তিন বছরে একবার কোনো অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে স্তন পরীক্ষা করানো উচিত এবং চল্লিশোর্ধ বয়সী মহিলাদের প্রতি বছর এ পরীক্ষা করানো উচিত।
*ব্রেস্ট সেলফ এক্সামিনেশন -২০ বছর বয়স থেকে মেয়েদের নিজের স্তন নিজেই পরীক্ষা শুরু করা উচিত। এর উপকারিতা এবং সীমাবদ্ধতা সম্পর্কেও জানা উচিত।

স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা:
সার্জারি ও রেডিয়েশন কেমোথেরাপি, হরমোন, টার্গেটেড থেরাপি।
ফলোআপ কেয়ার:
স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা শেষ হলে স্বস্তি বোধ হয় তবে ক্যান্সার আবার ফিরে আসার দুঃশ্চিন্তা থাকে। চিকিৎসা শেষ হয়ে গেলে নিয়মিত ফলোআপ ভিজিটে আসা উচিত। এসব ভিজিটে ডাক্তার কোনো উপসর্গ আছে কি না জানতে চাইবেন, শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, ম্যামোগ্রাম ও সিটিস্ক্যান করতে উপদেশ দিবেন। ক্যান্সার ফিরে এসেছে কি না বা ছড়িয়ে গেছে কি না তা জানার জন্য ফলোআপ প্রয়োজন। প্রাথমিক অবস্থায় স্তন ক্যান্সার শনাক্ত হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিরাময় সম্ভব। সুতরাং স্তন ক্যান্সার মানেই নিশ্চিত মৃত্যু নয়।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

নারী ও শিশু বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই