তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

চলতি অর্থবছরে শুরু হচ্ছেনা মহাসড়কের সংস্কার কাজ

চলতি অর্থবছরে শুরু হচ্ছেনা যশোর-বেনাপোল ও যশোর-খুলনা মহাসড়কের সংস্কার কাজ
[ভালুকা ডট কম : ২৩ এপ্রিল]
চলতি অর্থবছরে যশোর-বেনাপোল ও যশোর-খুলনা মহাসড়কের মূল সংস্কার কাজ শুরু হচ্ছেনা। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাবার কারণে ঠিকাদাররা দরপত্রে অংশ নিচ্ছেন না। তাই আগামী অর্থবছরে সড়ক দু’টির নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। যে কারণে আগামী অর্থবছরের শুরুতে সড়কের কাজ শুরু করবে সড়ল ও জনপথ বিভাগ। তবে আসছে রোজার ঈদের আগে যশোরের সব রাস্তা চলাচলের উপযোগী করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

গত বছরের ইদুল আযহার ১০ দিন আগে সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের। এ সময় জোড়াতালি দিয়ে সড়কগুলো মেরামত করা হয়। কিন্তু মাত্র ৩ মাস পর সেই আগের অবস্থাতেই ফিরে গেছে সড়ক দুটি। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষ। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন যশোর সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ সহ তিন জন এমপি।

এমপি কাজী নাবিল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, যশোরের সব জাতীয় সড়কের অবস্থা খারাপ। আমি সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের সঙ্গে আলাপ করেছি। তিনি বলেছেন আসছে ঈদের আগেই এসব সড়কের কাজ শুরু করবেন। তবে সওজ বলছে, ৫টি জাতীয় সড়ক আসছে রোজার ঈদের আগেই চলাচলের উপযোগী করা হবে। তবে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মূল কাজ আগামী অর্থবছরের আগে শুরু করা যাবেনা।

জাতীয় সড়কগুলো হলো যশোর-খুলনা, যশোর-বেনাপোল, যশোর-ঝিনাইদহ, যশোর-মাগুরা এবং যশোর- নড়াইল। এছাড়া রাজারহাট, মনিরামপুর, কেশবপুর, চুকনগর কেশবপুর-সরষকাঠি-কলারোয়া সড়ক এবং পালবাড়ী-দড়াটানা-মনিহার হয়ে মুড়লী পর্যন্ত সড়কগুলো ভেঙ্গে একাকার হয়ে গেছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোর অফিস থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর-খুলনা মহাসড়ক ৩৮ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে চাঁচড়া মোড়, মুড়লী, রাজঘাট, বসুন্দিয়া, প্রেমবাগ, চেংগুটিয়া ও ভাঙ্গাগেট পর্যন্ত বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যশোর-বেনাপোল সড়কের ৩৮ কিলোমিটারের মধ্যে পুলেরহাট থেকে নাভারণ মোড় পর্যন্ত সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী। সড়কটির এমন অবস্থা যে গাড়ি চলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। যশোর থেকে বেনাপোল যেতে ৪০ মিনিট সময় লাগলেও রাস্তা খারাপের কারণে সময় লাগছে দেড় ঘন্টা। সর্বশেষ সড়কটির গাছ রেখেই সংস্কার কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে ১২ কিলোমিটার সড়ক বিধস্ত। যশোর-মাগুরা সড়কের ২২ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়কের কদমতলী, পুলেরহাট থেকে লেবুতলা বাজার ও রজনীগন্ধা পাম্প পর্যন্ত সড়ক বেহাল। এবং যশোর নড়াইল সড়কের ২০ কিলোমিটার সড়কে মনিহার থেকে হামিদপুর অংশের পুরোটাই অসংখ্য বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, যশোর-খুলনা সড়কের মনিহার থেকে বকচর মুড়লী পর্যন্ত সড়কে বড় ধরণের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। ইতিপূর্বে সংস্কারে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও সড়কটিতে কাটছে না দুর্ভোগ। ইতিমধ্যে সড়ক ও জনপদ রাস্তার মাটি পরীক্ষা করেও কোন সুফল পাননি। প্রতিদিনই এ রাস্তা দিয়ে খুলনা, ঢাকা, কুষ্টিয়াসহ আঞ্চলিক রুটের বাস-ট্রাক চলাচল করে। কিন্তু মণিহার-মুড়লী পর্যন্ত সড়ক চলাচলে চরম অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। কারণ রাস্তার মাঝের অংশ ফুলে-ফেপে উচুঁ ঢিবিতে পরিণত হয়েছে। যাতে গাড়ির নিচের অংশ বেধে যাচেছ। আর ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।যশোর-মাগুরা সড়কের ২২ কিলোমিটার রাস্তাও বেহাল অবস্থায় রয়েছে। একই অবস্থা যশোর-নড়াইল সড়কের ২২ কিলোমিটারের বেশিরভাগ ভাঙ্গাচোরা।

এ ব্যাপারে যশোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম বলেছেন, যশোর-খুলনা এবং যশোর বেনাপোল জাতীয় সড়কের মূল অংশের কাজ চলতি অর্থবছরে শুরু করা সম্ভব হবেনা। আগামী অর্থবছরে সংস্কার কাজ শুরু হবে। তবে আসছে রোজার ঈদের আগেই সব সড়ক চলাচলের উপযোগী করা হবে। কেননা ইতিমধ্যে যশোর-নড়াইল সড়কের ২২ কিলোমিটারের মধ্যে ১৩ কিলোমিটার সংস্কার করা হয়েছে। একইভাবে যশোর-মাগুরা সড়কের ২২ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ কিলোমিটার, যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের ২৩ কিলোমিটার সংস্কার করা হয়েছে। আর যশোর-বেনাপোল এবং যশোর-খুলনা সড়ক চলাচলের উপযোগী করতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই