তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকা ভায়া কাঠালী-মল্লিকবাড়ি সড়কের বেহালদশা

ঠিকাদারের গাফলতির কারণে দুইবছরেও মেরামত কাছ শেষ হয়নি
ভালুকা ভায়া কাঠালী-মল্লিকবাড়ি সড়কের বেহালদশা,যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে চরম দূর্ভোগ
[ভালুকা ডট কম : ২৪ এপ্রিল]
ভালুকা ভায়া কাঠালী-মল্লিকবাড়ি সড়কটি ঠিকাদারের গাফলতির কারণে দুই বছরেও মেরামত কাজ শেষ হয়নি। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বের হয়ে যাওয়া শিল্পএলাকার জন গুরুত্বপূর্ণ ৬ কিলোমিটারের ওই সড়কটি মেরামতে দীর্ঘ সময় পাড় করায় চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন প্রতিদিন চলাচলরত যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীরা।

তাছাড়া ওই সড়কটির কাজে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রীও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। এমনকি সড়কের দুই স্থানে দুটি বক্স কালভার্ট নির্মাণেও গাফলতি করায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বেশ কিছু জমির বোরো ধান নষ্ট ও বহু জমি অনাবাদি রয়েছে বলে অভিযোগ কার হয়েছে।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভালুকা ভায়া কাঠালী-মল্লিকবাড়ি ৬ কিলোমিটার ও ১৮ ফুট প্রস্ত সড়কটির মেরামতের জন্য ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ঢাকার সালেহ এন্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পান। সড়কের দুই স্থানে প্রায় ৪০০ মিটার আরসিসি ঢালাই ও দুটি বক্সকালভার্ট রয়েছে। এদিকে গত দুই বছর ধরে কচ্চপগতিতে ওই সড়কটি মেরামতের কাজ করায় চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন প্রতিদিন চলাচলরত কয়েক’শ যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীরা।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই সড়কের বাটারফ্লাই ফ্যাক্টরীর নিচ দিয়ে প্রবাহিত কাঠালী ও মামারিশপুর গ্রামের সীমান্তবর্তী নাগারশি খালের মখে বক্স কালভার্টটি সামন্য কাজ করে ফেলে রাখায় উজানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে দুইি বছর ধরে মামারিশপুর, বিরামনগরপাড়া ও কাঠালী গ্রামের প্রায় শতাধিক একর ধানী জমি অনাবাদি ও প্রায় ৩০/৪০ বিঘা উঠতি বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত দুই বছর পার এমনকি কাজের মেয়াদ শেষ হলেও ৫০ ভাগ কাজ শেষ করতে পারেনি ওই প্রতিষ্ঠানটি।

নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক ওই সড়কে চলাচলরত ও স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সড়কটি নির্মাণের প্রথম থেকেই নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। বক্সকালভার্ট নির্মাণেও নিয়ম মানা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। সড়কটি দিয়ে সার্বক্ষনিক বিভিন্ন ফ্যাক্টরীর মালামাল পরিবহণসহ ভাড়ি যানবাহন চলাচল করায় কালভার্টটি আরো মজবুদ করে নির্মাণ করা দরকার ছিল। যে ঢালাই ও রড দেয়া হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে বেশিদিন টিকে থাকবেনা বক্সকালভাটর্টি।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সালেহ এন্ড ব্রাদার্সের সত্তাধিকারী পরিচয়দানকারী পলিন (পুরো নামটি তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানান) এই প্রতিনিধি কে জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তিনি চার কোটি টাকার ওই কাজটি পেয়েছেন। মালামালের মূল্য বৃদ্ধি, বৃষ্টি ও অফিসিয়াল বিভিন্ন সমস্যার কারণে কাজটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারেননি। উপজেলা প্রকৌশলী ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানালেও তিনি ওই সময়ের মধ্যে মাত্র ২০ ভাগ কাজ শেষ করেছেন বলে জানান।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার ফরিদুল ইসলাম রাস্তার মেরামত কাজে অনিয়মের কথা অস্বীকার করে এই প্রতিনিধি কে জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারীত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় আগামী মে মাস পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সড়কটির ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শণ করেছেন এবং তারা কাজের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই