তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় ফ্যাক্টরীর বালি ভরাটে খাল বন্ধ হয়ে ৪/৫ গ্রামের ধান ক্ষেত পানির নীচে

ভালুকায় ফ্যাক্টরীর বালি ভরাটে খাল বন্ধ হয়ে ৪/৫ গ্রামের ধান ক্ষেত পানির নীচে
[ভালুকা ডট কম : ০২ মে]
ভালুকার কাচিনা ইউনিয়নের বাটাজোর ও কাচিনা গ্রামে নির্মানাধীন টি বি এস ফ্যাক্টরী কর্তৃক বালি ভরাট করে সালদাহ খাল ভরাট করায় উজানে বৃষ্টির পানি জমে বিশাল জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ৪/৫ টি গ্রামের উঠতি বোরো ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এতে ওই এলাকার শত শত কৃষক ফসল হানির আশংকায় আহাজারি করছেন। কোথাও আধা পাঁকা আবার কোথাও পাঁকা ধান গত কয়েক দিন যাবৎ পানির নীচে থাকায় পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানির নীচে থাকায় ধান কাটতে পারছেননা ফলে ধানে শিকর গজানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে কৃষকরা আশংকা করছেন।

বুধবার দুপুরে সরজমিন কাচিনা গ্রামে গিয়ে দেখাযায় এলকার কৃষকরা তলিয়ে যাওয়া ধান ক্ষেতের আশপাশে দলবদ্ধ হয়ে দিশেহারার মত ঘোরাফিরা করছেন। এ সময় কৃষক শামছুল হক ভালুকা ডট কম কে জানান তার ২ একর জমির ধান প্রায় এক ফুট পানির নীচে তলিয়ে গেছে। আমজাত আলীর ২ একর, শাহাবদ্দীন ভান্ডারীর ৩ কাঠা ধান ও বাড়ীতে পানি উঠেছে, শাহ জাহান মিয়ার ২২ কাঠা, নেহাজ আলীর ৩ কাঠা, ছফির উদ্দীনের দেড় একর, জসীম উদ্দীনের ১০ কাঠা, মজিবর রহমানের ৯ কাঠা, আশরাফ উদ্দীনের এক একর পানির নীচে, জুলহাস উদ্দীনের ৪ কাঠা,শামছুদ্দীনের ২ একর পানির নীচে, মোজাম্মেল হকের ৮ কাঠা, সিদ্দিকুর রহমানের ৮ কাঠা, জালাল উদ্দীনের ৩ একর এক ফুট পানির নীচে, চাঁন মিয়ার ৩ একর এক ফুট পানির নীচে,নজরুল ইসলামের ৮ কাঠা, আব্দুল কদ্দুসের ২ একর,আফাজ ফকিরের ২ একর, জুলহাস ফকিরের ১৫ কাঠা  সহ শত শত কৃষকের বোরোধান জলাবদ্ধতায় নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়াও আফতাব উদ্দীনের দুটি পুকুর ডুবে যাওয়ায় তার ৪/৫ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে জানান। পাশে রুফুল আমিনের ৭/৮ টি পুকুরের পার ডুবু ডুবু অবস্থায় ঝুকির মধ্যে রয়েছে।

ওই এলাকার কৃষক প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক ভালুকা ডট কম কে জানান, ভালুকার বন খীরু নদীর মল্লিকবাড়ী হতে সালদাহ নামে একটি অতি পুরানো খাল কাদিগড়, তালাব,পালগাঁও, কাচিনা-বাটাজোর সড়কের সেতুর নীচ দিয়ে দক্ষিনে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর হয়ে তুরাগ নদীতে মিলেছে। এই এলাকার বর্ষার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি সম্প্রতি টিবিএস কোম্পানী কর্তৃক রাস্তার দক্ষিন অংশে বিশাল এলাকা জুড়ে ফসলি জমিতে বালি ভরাট করায় উজানের কাদিগড়, পালগাঁও,তামাট,ঢাকুরিয়া,কাচিনা ও বাটাজোর গ্রামের আংশিক এলাকাজুড়ে বৃষ্টির পানি জমে বিশাল জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ওইসব গ্রামে কয়েক হাজার একর জমির উঠতি বোর ধান পানির নীচে তলিয়ে যায়।

তিনি জানান খালটি উন্মুক্ত করে জলাবদ্ধা নিরশন কল্পে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করলেও জলাবদ্ধতা নিরশনে প্রশাসনের পক্ষ হতে অদ্যাবধি কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় কৃষকরা এখন ক্ষেতের ধান ঘরে তুলতে পারছেননা। তারা ফসল হানির আশংকায় আহাজারি করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামালের সাথে কথা বললে তিনি জানান জলাবদ্ধতার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি এর আগে কোন খবর পাননি, যাতে দ্রুত পানি নিষ্কাশন করা যায় তার ব্যবস্থা করবেন।

এলাকাবাসীর দাবী কৃষিবান্ধব সরকারের প্রিয় কৃষকদের ফসল বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরজমিন পরিদর্শন পূর্বক কৃষকের ঘরে তোলার ধান পানির হাত থেকে রক্ষা করতে জরুরী পদক্ষেপ নিবেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই