তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ

রাণীনগরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা মূল্যের সরকারি হাটের জায়গা দখলের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ১৯ মে]
নওগাঁর রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ওরফে বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে কোটি টাকা মুল্যের সরকারি হাটের জায়গা দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি ৪৬জন স্থানীয় বাসিন্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ করার বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অচিরেই বেদখল হওয়া সরকারি জায়গা উদ্ধার করে সরকার তা উপযুক্ত কাজে ব্যবহার করবেন এমনটাই দাবী স্থানীয়দের। সরকারি জায়গা দখলকারী রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে।

জানা গেছে, উপজেলা সদরের খাদ্যগুদাম সংলগ্ন স্থানে বালুভরা মৌজার ১৯২০ সালের রেকর্ডে হাল-১৫৬৩ দাগে (শ্রেণী-হাট) ৫০ শতাংশ হাটের জায়গা ছিল। সেখানে বৃহস্পতিবার ও রোববার সপ্তাহে দুইদিন হাটবার ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ১৯৬২ সালের রেকর্ডে ওই দাগে ৪৬ শতাংশ ও ১৯৭২ সালের রেকর্ডে ৪৫ শতাংশ জায়গা ওই শিক্ষকের পিতা অবৈধভাবে নিজ নামে রেকর্ড করে নেয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। জায়গাটি নিজ নামে নেয়ার পর শিক্ষকের পিতা জমির উত্তরদিকে ও পূর্বদিকে বাড়ি নির্মাণ করে। সম্প্রতি আবুল কালাম আজাদ জমির দক্ষিণ দিকে নতুন করে ইটের প্রাচীর দিয়ে পুরো জায়গাটা অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রসাশক ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও ১৯২০ সালের রেকর্ডের সরকারি হাটের জায়গা তাদের নিজের নামে দলিল ছাড়া কিভাবে রেকর্ড হয় তা নিয়েও জনমনে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আনছার আলী, রমজান আলী ও বকুল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগকারী বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আবুল কালাম আজাদের পরিবার অবৈধভাবে ওই জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসার পরও আমরা কোন বাধা দেয়নি। কিন্তু আজাদ নতুন করে হাটের অবশিষ্ট জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণের সময় বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর পর প্রাচীর নির্মাণের কাজ বন্ধ করলেও আবারও তা রহস্যজনকভাবে নির্মাণের অনুমতি প্রশাসন কিভাবে দেয় তা জানা নাই। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি তাদের।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ মিথ্যা বরং রমজান নামে ওই ব্যক্তি অবৈধভাবে আমার জায়গায় বসবাস করে আসছে। আর প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে বলেই আবারও কাজ শুরু করেছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান পিন্টু বলেন, এ বিষয়ে তার কাছে জমির কিছু পুরাতন কাগজপত্র এসেছে সেখানে ওই জমিটি হাটের জায়গা বলে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ওই শিক্ষক কোন আইন ও কাগজপত্রের জোরে হাটের জায়গাটি ভোগদখল করে আসছে তা তার জানা নাই। তিনি  আরো বলেন, ওই শিক্ষক, নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় কতিপয় নেতাকে ম্যানেজ করে পেশীশক্তির জোরে সরকারের কোটি টাকা মূল্যের জায়গা জবরদখল করেছেন ওই শিক্ষক।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া বিনতে তাবিব বলেন, বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর ওই শিক্ষককে ওই জায়গায় প্রাচীর নির্মাণসহ কোন প্রকারের নতুন স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। তবুও যদি উনি জোর করে প্রাচীর নির্মাণ করে থাকেন তাহলে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার পর যদি জায়গাটি সরকারি বলে গণ্য হয়ে থাকে তখন তার নির্মাণ করা সকল স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে জায়গাটি দখল মুক্ত করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই