তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুর পিডিবি'র ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে দিশেহারা গ্রাহক

গৌরীপুর পিডিবি'র ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে দিশেহারা গ্রাহক
[ভালুকা ডট কম : ২৪ মে]
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেও ঘুরছে গ্রাহকের মিটারের চাকা। তবে বাস্তবে নয়, কাগজ-কলমে। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) গৌরীপুর আবাসিক প্রকৌশলী কার্যালয়ের মিটার রিডারের হাতের কৌশলি মারপ্যাঁচে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে মিটারের ডিজিটগুলো। এমনকি ইচ্ছামতো বিল হাঁকিয়ে গ্রাহকদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন বিদ্যুৎ বিলের কপি। নিরুপায় হয়ে এসব অতিরিক্ত বিল পরিশোধেও বাধ্য হচ্ছেন গ্রাহকরা।

প্রতি মাসেই বিলের বোঝা বাড়ছে, এরপরও রিডিং বাড়িয়েই বিল দিচ্ছে পিডিবি মিটার রিডার। অফিসে বসেই মিটার না দেখেই মিটার রিডার বিল করেন ফলে কারও মিটারে ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে শত শত ইউনিট বাড়তি বিল করছেন। আবার কোন কোন গ্রাহক বেশী বিদুৎ ব্যবহার করেলেও বিল আসে কম মিটারে  প্রচুর পরিমাণ বাড়তি রিডিং জমে আছে। বিলের চেয়ে মিটারে রিডিং অনেক বেশী পরে কোন এক মাসে হঠাৎ বকেয়া রিডিং সহ একসাথে বিশাল অংকের বিল চাপিয়ে দেয়া হয় গ্রাহকের উপর। বারতি বিল গ্রাহক যদি সময়মত পরিশোধ করতে না পারে তাহলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসব ভূতুড়ে বিল নিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে পিডিবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিনিয়ত বাকবিতন্ডা হলেও এর কোন সমাধান হচ্ছেনা। এরপর কিছুদিন বিল কমিয়ে এবং বাড়ীয়ে সমন্বয় করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কয়েক মাস পর আবারও  সেই পূর্বের অবস্থা।  দীর্ঘদিন থেকেই বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অরাজকতা বিরাজ করলেও প্রতিকারের জন্য স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। ফলে প্রতি মাসে ভুতুড়ে বিল পরিশোধ করতে গিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের বিড়ম্বনা ও হয়রানীর স্বীকার হতে হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায় এ উপজেলার কলতাপাড়া বাজারের বিদ্যুত ব্যবহারকারী (মইজ উদ্দিন, মিটার নং-২৩৫২/১৭৬১, কনজুমার নং-৭৫৭১২০৭১) মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান গৌরীপুর পিডিবির  মিটার রিডার তার মিটার না দেখেই অফিসে বসে থেকে প্রতিমাসে মনগড়া বিল করেন। এতে পূর্বের মাসগুলো প্রতি মাসে ৫শ/৮ শত ইউনিট দেখিয়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা গড়ে বিল আসতো। সর্বশেষ মার্চ মাসে ৬ হাজার ৮২০ ইউনিট দেখিয়ে  ৭৪ হাজার ১৫০ টাকা ভূতুতে বিল করা হয়। নিরুপায় হয়ে তিনি ০৬ মে বকেয়াসহ মোট ৮৩ হাজার ৪৫৮ টাকা উক্ত বিল পরিশোধ করেন। এর আগে তার বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরমকম অভিযোগ স্থানীয় আরো অনেক বিদ্যুৎ গ্রাহকের এ বিষয়ে চানতে চেয়ে গৌরীপুর আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী তহুর উদ্দিনকে কল করা হলে তিনি সাংবাদিকদের কল রিসিভ করেননি। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই