তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তজুমদ্দিনে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এসিড নিক্ষেপের নাটক

তজুমদ্দিনে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এসিড নিক্ষেপের নাটক
[ভালুকা ডট কম : ২৭ মে]
ভোলার তজুমদ্দিনে জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এসিড নিক্ষেপের নাটকীয় অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের তদন্তে সাজানো ঘটনার প্রমান মিলেছে বলে পুলিশ দাবী করেছে।

হাসপাতাল, থানা ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের নাছিরউদ্দিন ভুট্টু ও নুরে আলম গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। শনিবার নাছিরউদ্দিন ভুট্টুর স্ত্রী   নুসরাত জাহান তার কাজের মেয়ে লামিয়া আক্তারকে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ এনে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তজুমদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লামিয়া আক্তার (১৭) জানান, ছয় মাস আগে সে নাছির উদ্দিন ভুট্টুর বাসায় কাজে যোগ দেয়। পার্শ্ববর্তী নুরে আলমের ছেলে হৃদয় (১৫) তাকে একাধীকবার প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সে তা প্রত্যাখ্যান করলে ক্ষিপ্ত হয়ে হৃদয় গত বৃহস্পতিবার রাতে বাথরুমের ভেন্টিলেটরের ফাঁকা স্থান দিয়ে এসিড জাতীয় দ্রব্য নিক্ষেপ করলে তার পিঠে পরে। পরে তাকে ৫-৬ ঘন্টা পানি ঢেলে সুস্থ্য করা হয়। এঘটনায় সালিশের মাধ্যমে অভিযুক্তকে মারপিঠও করা হয়। এরপর আবার শুক্রবার ইফতারের পর একই স্থান দিয়ে বাথরুমে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন নেভাতে পানির জন্য দরজা খুলে বাহিরে এলে এই সুযোগে দ্বিতীয় দফায় হৃদয় ও তার মা কুলসুম বেগম তাকে এসিড মারলে তা তার পায়ে পরে বলে সে আরো অভিযোগ করে। এ ঘটনায় লামিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত হৃদয়ের পিতা নুরে আলম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, নাছির উদ্দিন ভুট্টুর সাথে দীর্ঘদিন জমিজমা নিয়ে আমার বিরোধ রয়েছে। লামিয়া ও তার গৃহকর্ত্রীর এমন অভিযোগে থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক আহম্মেদও ঘটনার তদন্তে নামেন। তিনি জানান, ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। তারপরও এমন অভিযোগের কথা শুনে আমি তদন্তের জন্য তিনদফা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বিষয়টি সাজানো মনে হয়েছে। নাছির উদ্দিন ভুট্টুর বাসা থেকে রবিবার সকালে কথিত এসিড নিক্ষেপের আলামত হিসেবে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত একটি চায়ের কাপ উদ্ধার করা হয়।

এর সুত্র ধরেই আশেপাশের প্রায় অধিকাংশ ঘরে তল্লাশি করে একই ডিজাইনের চায়ের কাপ পাওয়া যায়নি। তবে নাছির উদ্দিন ভুট্টোর বাসায় একই ডিজাইনের চায়ের কাপ পাওয়া গেছে। তাছাড়া বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে কিছু ছুড়লে তা ভিকটিমের শরীরের বাম পাশে লাগার কথা, কিন্তু তা না হয়ে ডান পাশে কিভাবে লাগলো ? অফিসার ইনচার্জ আরো জানান, দ্বিতীয় দফায় লামিয়া আক্রান্ত হওয়ার সময় তার পাশে গৃহশিক্ষক সাদ্দাম ও এলিন নামের এক শিশু থাকলেও তারা কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্থ হলো না কিভাবে, তাও সন্দেহ রয়েছে। এসময় কেউ এসিড ছুড়ে মারলে মাটিতে ছড়ানো ছিটানো দাগ থাকবে, তাও পাওয়া যায়নি। এছাড়া এসব অভিযোগের অনেক বিষয়েরই সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত চায়ের কাপে সামান্য কিছু পরিমান বেগুনী রঙের রাসায়নিক দ্রব্য অবশিষ্ট ছিল। ছুড়ে মারলে তো কাপে অবশিষ্ট থাকার কথা নয়।

এ বিষয়ে তজুমদ্দিন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনায় রোগীর শরীরে এসিডের লক্ষন দেখা যায়নি।  আলামত সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই