তারিখ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শার্শার মাদক ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত এলাকা ছেড়েছেন অনেকে

শার্শার মাদক ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত এলাকা ছেড়েছেন অনেকে
[ভালুকা ডট কম : ০৫ জুন]
মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করা হবে এমন ঘোষণার পরই বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছেন অনেকে। পুলিশ র‌্যাবের কার্যক্রমে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শার্শার মাদক ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে শার্শার শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর মাদক ব্যবসায়ীদেও মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এালাকাও ছেড়েছে অনেকে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রমান পেলে এমপি বদিকেও আইনের আওতাই নেয়া হবে।সারা দেশের সাথে যশোরের সর্বত্র পুলিশ-র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করছে। আর এ অভিযানের ফলে শার্শার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের জামতলার ট্যাংরা গ্রামের রহমান গাজীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম দুখি বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছে। যার নামে ৫ টি মাদক আইনে মামলা রয়েছে। দুখি সম্প্রতি পুলিশের এক এএসআইকে মাথা ফাটিয়ে হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় পালিয়ে যায়।

একই দিন উপজেলার মহিষকুড়া গ্রামের হারুনর রশিদের ছেলে মুত্তাজুল মোড়ল বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। যার নামে ৪টি অস্ত্র মামলা ও দুটি মাদক মামলা ছিল।এদিকে বেনাপোলেও ২জন মাদক ব্যবসায়ী বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য কোন মাদক ব্যবসায়ী নয়।

শার্শার দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বন্দুক যুদ্ধে নিহতের পর অন্য মাদক ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। অনেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও অধিকাংশরা এলাকায় থেকে গোপনে তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এবং প্রায়ই প্রতিদিনই মরন নেশা ইয়াবা সহ মাদক সেবী ও কারবারীরা আটক হচ্ছে। কিন্তু রাঘব বোয়ালরা রয়ে যাচ্ছে অন্তরালে।

সম্প্রতি শার্শা-বেনাপোলের বিজিবি সদস্যরা বড় বড় মাদকের চালান আটক করলেও পুলিশ কোন বড় ধরনের সাফল্য দেখাতে পারেনি। যার ফলে শার্শার বিভিন্ন পয়েন্টে মাদকের কারবার নির্বিঘেœ চলছেই। শার্শার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা আজ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তারা আন্ডার গ্রাউন্ডে অবস্থান করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তাদের সহযোগীতা করছে দরীদ্র শ্রেণীর বেকার যুবক ও যুবতিরা। এ সকল যুবক ও যুবতিরা পুলিশ ও র‌্যাবের কাছে আটক হলেও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা রয়ে যাচ্ছে অন্তরালে। পুলিশ বলছে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত থাকলেও তাদের আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। এলাকাবাসী তাদের ধরার ব্যাপারে কোন সহযোগীতা করছেও না।

শার্শা-বেনাপোলের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা হলো দক্ষিন বুরুজ বাগান গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের পুত্র জয়নাল ও আয়নাল, জয়নালের পুত্র বাপ্পি, একই গ্রামের রুবেল, শহিদুল, সাইদ, আসাদুল। সম্মন্ধকাটি গ্রামের আলম। কন্দর্পপুর গ্রামের মোড়ল, কন্যাদহের আশানূর, ধান্যতাড়া গ্রামের লুৎফর, সামটা গ্রামের জিয়া মেম্বর, কাগজপুকুরের আরিফ, কাগমারি গ্রামের শামিম, বেনাপোল পোর্ট থানার ভবের বেড় গ্রামের কলুপাড়া এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম, বারোপোতা গ্রামের মোনতাজ আলীর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম। শার্শার কাশিপুর-গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত জয়নালের ছেলে আশাদুল ইসলাম আশা, বেনাপোল পোর্টথানার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত কেরামত মল্লিকের ছেলে বাদশা মল্লিক ও রঘুনাথপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে জাহাঙ্গীর, শার্শার কোটা পশ্চিমপাড়ার শের আলী দফাদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন আনা ।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই