তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁর মাইদাকোলা বিলের জমি দখল করে পুকুর খনন

নওগাঁর মাইদাকোলা বিলের জমি দখল করে পুকুর খনন
[ভালুকা ডট কম : ০৯ জুন]
নওগাঁর মান্দার কুশুম্বা ইউনিয়নের ঐতিহাসিক মাইদাকোলা বিলের খাস জলাশয়ের পানি শুকিয়ে জোরপূর্বক ৩টি ভেকু মেশিন দিয়ে খনন করে তাতে মাছ চাষের পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা দিলবর হোসেন দিলবর (৪০) নামের এক ভূমিদস্যু সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেদারসে ভেকু মেশিনের সাহায্যে ইতোমধ্যে প্রায় ৫০/৫৫ বিঘা জমি খনন কাজ শেষ করেছে। এতে করে স্থায়ী ভাবে হারিয়ে যাচ্ছে কৃষি জমি।

নতুনভাবে আরো প্রায় ৫০বিঘা জমি খননের অপচেষ্ঠা করে যাচ্ছে। বিলের আশপাশের স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তি এ বিল থেকে প্রায় ৪০-৪৫ বছর ধরে মাছ ধরে তাদের জীবিকা  নির্বাহ করে আসছেন। এ বিলে দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ উৎপাদিত হয়ে থাকে। বর্তমানে তাদের কোন মাছ ধরতে দেয়া হচ্ছে না। এতে তাদের জীবিকা নির্বাহের পথ রুদ্ধ হওয়ায় খনন বন্ধ এবং ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে আইনগত সুব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষরিত অভিযোগ জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বড়বেলালদহ মৌজার ২০০০ দাগে সিএস এবং আরএস খতিয়ানমুলে জমির মূল মালিক ছিলেন নিলকান্ত চট্রোপাধ্যায়। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জহুরুল ইসলামের নির্দেশে কন্ট্রাক্টর দিলবর হোসেন দিলবর বিলে পানি সেচে শুকিয়ে সরকারি খাস জমিতে অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল করে ৩টি ভেকু মেশিনের সাহায্যে খনন করে। এলাকাবাসিরা বাধা দিলে তারা কোন কথা কর্ণপাত করেনি। নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দাখিল করে।

অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুশফিকুর রহমানের নির্দেশে ভুমি সহকারি কর্মকর্তা (টিডিআর) আলাউদ্দিনসহ সার্ভেয়ার ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩টি ভেকু মেশিনের সাহায্যে খনন কাজ দেখতে পেয়ে তা বন্ধের জন্য অনুরোধ করেন। এ সময় সেখানে এলাকাবাসির উপস্থিতিতে দিলবর হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরএস খতিয়ানের কপি প্রদর্শন করেন। তবে আরএস খতিয়ানের আর কোন তথ্য প্রমাণ তিনি দেখাতে ব্যর্থ হন। ফলে সার্ভেয়ার তাৎক্ষনিকভাবে খনন কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু এতে না দমে সার্ভেয়ার চলে আসার পর আবার খনন কাজ শুরু করেন।

এছাড়া ২১৭ নং খতিয়ানের ৩১২ এবং ১০১৯ নং দাগে মোট ১৪৮শতাংশ জমির মালিক ছিলেন নিরঞ্জন লাল আগরওয়ালা। তিনি গত হলে সরকার মিস কেস করে খাস খতিয়ানভূক্ত করে। উক্ত জমি এবং ১৬১৬ দাগের জমিও দখল করে খননের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ঘটনায় এলাবাসিরা চরম ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তারা হতাশায় ভূগছেন। এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে নানা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন বলে ও অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই