তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাজশাহীর মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন

রাজশাহীর মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন
[ভালুকা ডট কম : ০১ জুলাই]
রাজশাহীকে বদলে দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে ইতোমধ্যেই ক্ষমতাশীন দলের নেতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন সহ অনেক নেতা কর্মীরা মিলিত হয়ে যেন জয়ের হিসাব নিকাশ কষে নির্বাচনী প্রচারণায় চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজশাহী মহা নগরীর একজন সন্তান জনগণের খুবই প্রিয় নেতা। রাজশাহী মহানগরীর সাবেক এবং সফল মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। জাতীয় ৪ নেতার অন্যতম শহীদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য পুত্র তিনি।

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী অঞ্চল কিংবা উত্তর বঙ্গের অবিসংবাদিত নেতা বলা চলে। তাঁর নেতৃত্বের জন্যই রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অনগ্রসরতা বৃদ্ধি পায়। তাই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং নগর সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকেই প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে নির্বাচনে জয়ের জন্য একযোগে কাজ করছে নেতাকর্মীরা।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে সাথে রাজশাহীর উন্নয়নে জন্য তাঁর বাবা শহিদ এ.এইচ. এম কামরুজ্জামান ব্যাপক পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু কারাগারে এই জাতীয় নেতার হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়েই রাজশাহীর উন্নয়ন স্হবির হয়ে যায়। ২০০৮ সালে তাঁকে মেয়র পদে নির্বাচিত করে তাঁর বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং রাজশাহী উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ করে দেয় এ শাস্তিপ্রিয় রাজশাহীর জনগণ। তিনি আরও বলেন, তাঁর সৌভাগ্য রাজশাহী উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে যা চেয়েছিলেন তাই পেয়েছিলেন।

দেশনেত্রী "শেখ হাসিনা" বলেছিলেন,তুমি কাজ করে যাও, টাকার কথা ভেবো না। তাই তো রাজশাহীর এমন এই জনপ্রিয় নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সমস্ত ধ্যান জ্ঞান দিয়েই যেন রাজশাহী উন্নয়নে নেমেছিলেন। সুতরাং বলাই যায়, সেই উন্নয়নের নজির আজও রাজশাহীবাসী ভুলতে পারেনি। উন্নয়নের ভাবনা ছিল বহুমাত্রিক। একজন মেয়ের গতানুগতিক কাজের বাইরেও রাজশাহীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সকল ক্ষেত্রে কাজ করার চেষ্টা করেছেন।

রাজশাহীতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস, ১২শো কোটি টাকা ব্যয়ে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ নতুন ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, কর্পোরেশনের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্রি ওয়াই-ফাই জোন, হাইটেক পার্ক, রাজশাহীর বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই কর্পোরেশনের আওতায় আনা, নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও জাতীয়করণ করা, বৃক্ষরোপণ,রাজশাহীর ঐতিহ্য পূর্ণ জনপ্রিয় স্হান শাহ মুখদম কেন্দ্রীয় ঈদগাহকে সম্প্রসারণসহ অন্যান্য ঈদগাহের উন্নয়নসহ শহরের মসজিদ নির্মাণ, মাদ্রাসা, শ্মশানসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের উন্নয়ন, রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধের উন্নয়ন,পূর্ণাঙ্গ টিভি কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ, নভো থিয়েটার, ওয়াসা, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বিকেএসপি, খেলা ধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ, বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমান বন্দর চালু, আধুনিক শপিংমল সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে বাজারের কাঠামো উন্নয়ন, শহর রক্ষা বাঁধের বুলনপুর হতে মিজানের মোড় পর্যন্ত ১২ কি.মি. পাকা রাস্তা নির্মাণ, আলিফ-লাম-মিম ভাটা থেকে চৌদ্দপাই পর্যন্ত ৪ লেন বিশিষ্ট ফ্লাই ওভার সহ রাস্তা, শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রশস্ত করণ ও এর পার্শে চলাচলের জন্যেই রঙ্গিন টাইলস দিয়ে ফুটপাত নির্মাণ, শহর রক্ষা বাঁধের পার্শ্বে চরম বিনোদনের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, রাজশাহী টু ঢাকা নৈশ কালীন ট্রেন চালু, রাত্রি কালীন বর্জ্য অপসারণ ও শহর পরিষ্কারকরণসহ আরও অনেক উল্লেখযোগ্য কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছিলেন। তাছাড়াও তিনি রাজশাহী শহরের বহু তল ভবনের নির্মাণ উদ্যোগ প্রথম গ্রহণ করেছিলেন। এর ফলেই আবাসন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগসহ অনেক ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটে যা এখনও চলমান রয়েছে।

তিনি বলেছেন, অক্লান্ত পরিশ্রম আর নিজ চেষ্টায় ও মহানগরবাসী এবং সরকার সহ দেশ-বিদেশের বহু সংগঠনের সহযোগিতায় শুধুমাত্র সাড়ে চার বছরের মধ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে অনেক অনেক উন্নয়নেরই দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই নগর সেবার উন্নয়নে ও মহানগরের আর্থ-সামাজিক বহু কাজে তিনি ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করেছিলেন তা জনগণের অস্বীকার করার উপায় নেই। এই জন্যই পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে রাজশাহী সকলের কাছেই সুখ্যাতি অর্জন করেছিল। কিন্তু তাঁর শতভাগ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যেন তিনি সামান্যই বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন। সুতরাং বলতেই হচ্ছে এমন অসমাপ্ত অনেক কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে আরও একটিবার নির্বাচিত করা।

সামনে আবারও এই "রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন" নির্বাচন। তাঁকে ইতিমধ্যেই জননেত্রী শেখ হাসিনা মেয়র পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি প্রদান করেছেন। অতীতের নেওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহ রাজশাহী বিশ্বমানের একটি নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়রপ্রার্থী। "বদলে দেই রাজশাহী" স্লোগানে এমন মেয়র প্রার্থী বিভিন্ন এলাকায় প্রচার-প্রচারণা শুরু করা হয়েছেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন, রাসিকের সাবেক মেয়র পত্নি এবং নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহিন আকতার রেণী ও তাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলা যায় পরিশ্রমী এবং মেধাবী নেত্রী। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদেরই সহ সভাপতি আনিকা ফারিয়া জামান অর্ণা। সভা-সমাবেশ এবং উঠান বৈঠককে উপস্থিত হয়ে লিটনের জন্যই ভোট প্রার্থনা করছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের নতুন ভোটারদের নৌকার পক্ষে আনতে কাজ করছেন অর্ণা জামান। তার সঙ্গে রয়েছেন নগর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও দলের সকল নেতৃবৃন্দ। সুতরাং আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রাজশাহী পরিবর্তনে এই মহান জনপ্রিয় সফল নেতার এমন মেয়র নির্বাচনে যাওয়াটাই যেন যথার্থ বলে মনে করি।

লেখক,বার্তা প্রেরক
নজরুল ইসলাম তোফা
টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা,চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

নির্বাচন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই