নান্দাইলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের পর ফেসবুকে ভিডিও ছাড়ার অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ০৮ জুলাই]
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম (১৯) ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে লজ্জায় গ্রাম ছাড়তে হয়েছে ভুক্তভোগী কিশোরীকে। সে কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে দাবি করেছে স্বজনরা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মন্নাছ জানিয়েছেন, বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্ত কিশোরের পরিবার আগ্রহ দেখায়নি। ঘটনাটি ঘটে সপ্তাহ খানেক আগে। সম্পর্কে অভিযুক্ত শফিকুল ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই।

ওই কিশোরীর চাচি জানান, শফিকুল প্রায়ই তাঁর ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করত। একদিন সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে এবং গোপনে তা ভিডিও করে। এরপর ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আবার অনৈতিক সম্পর্ক করতে চায়। এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার পর শফিকুল ভিডিওটি ফেসবুকে শনিবার (৭ই জুলাই) ছেড়ে দেয়।

ভুক্তভোগীর এক চাচা বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাইনি। এ জন্য গত শুক্রবার আমরা সাতজন ওই ছেলের বাড়িতে গিয়ে বিচার চেয়েছিলাম। কিন্তু ছেলের বোন রুবিনা উল্টো গালাগাল করে আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

এ বিষয়ে জানতে শনিবার স্থানীয় মিডিয়া কর্মীরা অভিযুক্ত শফিকুলের বাড়িতে গেলে রুবিনা কিংবা শফিকুলের বাবাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার দুই ভাই রফিকুল ও আজিজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তাঁরা শুনেছেন। তবে শফিকুল বাড়িতে না থাকায় বিস্তারিত জানতে পারেননি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মন্নাছ বলেন,ঘটনাটি খুবই ন্যক্কারজনক। সমাজে আমরা মুখ দেখাতে পারছি না। এই অবস্থায় একটা সমাঝোতা করতে দুই পক্ষকেই ডেকেছিলাম। মেয়ে পক্ষ এলেও ছেলের পক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। এখন মেয়ের বাবাকে নান্দাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করতে পরামশ দিয়েছি।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নান্দাইল উপজেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট মকবুল হোসেন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ এনামুল হক বাবুল বিষয়টি জরুরী ভাবে তদন্ত মূলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।#

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।